কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: দিল্লিতে আজ যা হয়েছে, কাল বাংলাতেও তাই হবে ৷ 2026 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি জিতবে। রবিবার এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ৷
দীর্ঘদিন পর আপকে ধরাশায়ী করে দিল্লির মসনদে ফিরেছে ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ একই রকম ঘটনা ঘটবে পশ্চিমবঙ্গেও, আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ অন্যদিকে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার বঞ্চনার অভিযোগ করছেন। এই সমস্ত দাবিই মিথ্যা বলে মনে করেন তিনি ৷
এদিন কলকাতায় সাংবাদিকদের মোদি মন্ত্রিসভার এই সদস্য বলেন, "2019 সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভোটের হার আগের থেকে অনেকটা বেড়ে 30-40 শতাংশ হয়েছে ৷ দল যদি আরও 10 শতাংশ ভোট পায় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করে দেবে ৷"
মন্ত্রীর আরও দাবি, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি পরাজয় দেখিয়ে দিয়েছে মানুষ কীভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বিজেপির উপর আস্থা রেখেছে ৷ ধর্মেন্দ্র প্রধানের কথায়, "2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা 77টি আসন জিতেছিলাম ৷ 2024 সালের লোকসভা ভোটে 12টি আসন পেয়েছি ৷ 2019 সাল থেকে বিজেপির ভোটের হার 30-40 শতাংশে পৌঁছেছে ৷ পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসতে হলে আমাদের আরও 10 শতাংশ ভোট প্রয়োজন ৷ 2026 সালে আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় আসব ৷"
কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অসহযোগিতা করছে বলে দাবি ওঠে বিভিন্ন সময়ে ৷ এই প্রসঙ্গে মন্ত্রীর অভিযোগ, তিনি কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী থাকাকালীন 710 কিমি দীর্ঘ গ্যাস পাইপলাইনের কাজ করতে চেয়েছিলেন ৷ এই পাইপলাইনটির তিনটি রাজ্য- ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ৷ এই বিষয়ে একাধিক বার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে ৷ কিন্তু সাত বছর বাদেও পশ্চিমবঙ্গে ওই পাইপলাইনের কাজ হয়নি ৷ তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় রেল প্রজেক্টের কোনও সহযোগিতা করেনি রাজ্য ৷ নবোদয়া স্কুল তৈরির জন্য জমি দিতেও রাজি হয়নি ৷
কটাক্ষের সুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, "হয়তো তৃণমূল মনে করে,কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় কোনও প্রজেক্ট হলে তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুবিধে হবে ৷ 2014 সালে এনডিএ ক্ষমতায় আসে ৷ এরপর রেলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বার্ষিক বরাদ্দ 4 হাজার কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 13 হাজার 995 কোটি টাকা হয়েছে ৷ কিন্তু রাজ্য সরকার সেই টাকা বাস্তবে ব্যবহার করতে পারেনি ৷"