কলকাতা: লিভার আমাদের শরীরের ডিটক্সিফাইং এবং ফিল্টার করার কাজ করে ৷ কিন্তু যখন এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে চর্বি জমে, তখন এই ডিটক্স প্রক্রিয়াটি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে অক্ষম হয় । এই অবস্থায় শরীরে নানা রোগের বাসা বাঁধতে শুরু করে । ফ্যাটি লিভারের সমস্যার ক্ষেত্রে, একসঙ্গে অ্যালকোহল, ফলের রস, মকটেল বা কোল্ড ড্রিঙ্কস একেবারেই খাওয়া উচিত নয় ৷ তবে লিভার ডিটক্সে সহায়তা করে এমন বৈশিষ্ট্যযুক্ত স্বাস্থ্যকর পানীয়গুলি অবশ্যই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ।
পুষ্টিবিদের মতে, এই ডিটক্স পানীয়গুলি ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে । জেনে নিন, ফ্যাটি লিভারের জন্য কোন পানীয় পান করবেন ?
আপেল বিট স্মুদি: বিট, আপেল, গাজর এবং আদা জল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন ও সঙ্গে সঙ্গে পান করুন । এই ডিটক্স ড্রিঙ্ক লিভার এবং রক্ত পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে ।
হলুদ স্মুদি: এক গ্লাস দুধে এক টেবিল চামচ হলুদ, হাফ টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়ো, এক চিমটি গোলমরিচ, শুকনো আদা এবং মধু যোগ করে একটি চমৎকার লিভার ক্লিনজিং ড্রিংক তৈরি করুন ৷ লিভার ডিটক্সের সঙ্গে এটি ওজন কমাতেও সাহায্য় করে ৷
সবুজ ডিটক্স স্মুদি: পালং শাক, ধনেপাতা, আখরোট, অ্যাভোকাডো, আনারস, নারকেলের জল এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি স্বাস্থ্যকর সবুজ স্মুদি দিয়ে আপনার লিভারকে ডিটক্স করুন । পালং শাকে উপস্থিত ক্লোরোফিল ভারী ধাতুকে শরীর থেকে বের করে ৷ আখরোট অ্যামোনিয়া থেকে লিভারকে ডিটক্সিফাই করে যা লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য় করে ।
মিষ্টি আলু ডিটক্স পানীয়: সেদ্ধ মিষ্টি আলু, দুধ, খেজুর, হলুদ, দারুচিনির গুঁড়ো একসঙ্গে ব্লেন্ড করে সুস্বাদু মিষ্টি আলুর ডিটক্স পানীয় পান করুন । মিষ্টি আলু একটি চমৎকার অ্যান্টি-টক্সিন, যা বিটা ক্যারোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ । লিভার ডিটক্সে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডিটক্স ড্রিঙ্কের চেয়ে ভালো ।
কমলালেবু আদা জুস: এটি তৈরি করা খুবই সহজ । কমলার খোসা ছাড়িয়ে আদার টুকরো দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন । বিটনুন ছিটিয়ে পুদিনা পাতা দিয়ে উপভোগ করুন । কমলালেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং আদার মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ঠ্য একসঙ্গে লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)