ETV Bharat / entertainment

'গুপী গাইন বাঘা বাইন' ছবির মুক্তি আটকাতে দল করেন উত্তম কুমার-জহর রায়, দাবি 'অপরাজিত' জিতুর - Jeetu Kamal on Satyajit Ray Movie

Jeetu Kamal on Goopy Gyne Bagha Byne Screening: টলিউডের মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব লেগেছিল নায়ক ছবির পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ৷ শুধু উত্তম কুমার নন, পরিচালকের ছবি 'গুপী গাইন বাঘা বাইন' মুক্তির বিরুদ্ধে দল করেছিলেন বিকাশ রায়, অসিত চৌধুরী, জহর রায়ও ৷ সোশাল মিডিয়ায় সেই সময়ের ঘটনা তুলে ধরে দাবি অভিনেতা জিতু কমলের ৷

Jeetu Kamal on Goopy Gyne Bagha Byne Screening
গুগাবাবার মুক্তিতে বাধা উত্তমকুমারের, দাবি জিতু কমলের (সোশাল মিডিয়া)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 2, 2024, 3:47 PM IST

হায়দরাবাদ, 2 অগস্ট: পরিচালক-ফেডারেশন দ্বন্দ্ব বা পরিচালক-অভিনেতার ঝামেলা শুধু এযুগের টলি ইন্ডাষ্ট্রিতে নেই ৷ ছয়ের দশক থেকেই নাকি ঝামেলার সূত্রপাত ৷ বৃহস্পতিবার অভিনেতা জিতু কমল সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ৷ সেখানে তিনি দাবি করেন, সত্যজিৎ রায়ের কাল্ট ছবি 'গুপী গাইন বাঘা বাইন' প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাক, চাননি স্বয়ং উত্তম কুমার ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিকাশ রায়, অসিত চৌধুরী, জহর রায়-সহ আরও অনেকে ৷

এদিন জিতু লেখেন, "2024 সালে দাঁড়িয়ে যখন বাংলা ছবি প্রেক্ষাগৃহ পায় না,বাংলা ছবির হলের সময় নিয়ে বাকবিতণ্ডা লেগেই থাকে,তখন আমরা সচরাচর স্বর্ণযুগের কথা তুলে ধরি। তখনও মানসিক খুন-খারাপি ছিল।শুধু ডেটাপ্যাক ছিল না ৷ তাই সংক্রমণের রূপ নেয়নি। গুগাবাবা’র শুটিং, এডিটিং শেষ। প্রিন্ট বেরোনোর পথে। মুক্তি নিয়ে বাধল বিরাট ঝামেলা। মিনার, বিজলী, ছবিঘর চেন আগে থেকেই ঠিক হয়ে আছে। ওই সময় তপন সিংহের 'আপনজন' সিনেমাটি চলছে (1968)। এরপরই গুগাবাবা আসবে কথা হয়েই ছিল। হঠাৎই 'চলচ্চিত্র সংরক্ষণ সমিতির' পক্ষ থেকে বলা হল মিনার,বিজলী,ছবিঘরে আগে বিজয় বসুর 'আরোগ্য নিকেতন' মুক্তি পাবে ৷ গুগাবাবার প্রিন্টই বের করতে দেওয়া হবে না ইন্ডিয়া ল্যাব থেকে।"

এরপর তিনি আরও লেখেন, "তবে 'গুগাবাবা'র পরিচালকের নাম শ্রীযুক্ত সত্যজিৎ রায়। উনি ওনার ডিস্ট্রিবিউটার নেপালবাবুকে দিয়ে বোম্বে (বর্তমানে মুম্বই) থেকে গুগাবাবার প্রিন্ট করিয়ে নিলেন। সঙ্গে সঙ্গে নেপালবাবুও হল চেনের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করেই ফেললেন 'আরোগ্য নিকেতন'-এর পর গুগাবাবা’ই মুক্তি পাবে ৷ কাগজে বিজ্ঞাপনও বেরিয়ে গেল। ব্যাস, শুরু হল মিছিল পর্ব। মিছিলে নেতৃত্ব দিলেন- উত্তম কুমার, বিকাশ রায়, জহর রায়,অসিত চৌধুরীরা। যাতে রিলিজ না হয় গুগাবাবা। সন্ধ্যেতে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করারও কার্যক্রম রাখা হয়েছিল। সেখানে অবশ্য স্টার উত্তম কুমার আসেননি। বাকিরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিজলির বাইরে টুলের উপর দাঁড়িয়ে দিয়েছিলেন বক্তৃতা। স্লোগান তোলা হয়েছিল হলের বাইরে 'গুগাবাবা চলবে না-চলবে না'।"

অভিনেতা জিতু বলেন, "এমতাবস্থায় প্রথম শো ভাঙল ।'চলচ্চিত্র সংরক্ষণ সমিতি'র লোক হলের মধ্যেই ছিলেন। তাঁরা টোন-টিটকিরি দিতে দিতে বেরোলেন 'এই রে ভুতুড়ে ছবি/ও কেউ দেখবে না/আর কত গাঁজাখড়ি দেখব রায় মশাই' ৷ কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে সেকেন্ড শো থেকে জনতা জনার্দন ছবিটিকে নিয়ে মেতে উঠল । টানা 103 সপ্তাহ চলল ছবিটি। যা বোধহয় এখনও পর্যন্ত বাংলা ছবির দৃষ্টান্ত।"

হায়দরাবাদ, 2 অগস্ট: পরিচালক-ফেডারেশন দ্বন্দ্ব বা পরিচালক-অভিনেতার ঝামেলা শুধু এযুগের টলি ইন্ডাষ্ট্রিতে নেই ৷ ছয়ের দশক থেকেই নাকি ঝামেলার সূত্রপাত ৷ বৃহস্পতিবার অভিনেতা জিতু কমল সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ৷ সেখানে তিনি দাবি করেন, সত্যজিৎ রায়ের কাল্ট ছবি 'গুপী গাইন বাঘা বাইন' প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাক, চাননি স্বয়ং উত্তম কুমার ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিকাশ রায়, অসিত চৌধুরী, জহর রায়-সহ আরও অনেকে ৷

এদিন জিতু লেখেন, "2024 সালে দাঁড়িয়ে যখন বাংলা ছবি প্রেক্ষাগৃহ পায় না,বাংলা ছবির হলের সময় নিয়ে বাকবিতণ্ডা লেগেই থাকে,তখন আমরা সচরাচর স্বর্ণযুগের কথা তুলে ধরি। তখনও মানসিক খুন-খারাপি ছিল।শুধু ডেটাপ্যাক ছিল না ৷ তাই সংক্রমণের রূপ নেয়নি। গুগাবাবা’র শুটিং, এডিটিং শেষ। প্রিন্ট বেরোনোর পথে। মুক্তি নিয়ে বাধল বিরাট ঝামেলা। মিনার, বিজলী, ছবিঘর চেন আগে থেকেই ঠিক হয়ে আছে। ওই সময় তপন সিংহের 'আপনজন' সিনেমাটি চলছে (1968)। এরপরই গুগাবাবা আসবে কথা হয়েই ছিল। হঠাৎই 'চলচ্চিত্র সংরক্ষণ সমিতির' পক্ষ থেকে বলা হল মিনার,বিজলী,ছবিঘরে আগে বিজয় বসুর 'আরোগ্য নিকেতন' মুক্তি পাবে ৷ গুগাবাবার প্রিন্টই বের করতে দেওয়া হবে না ইন্ডিয়া ল্যাব থেকে।"

এরপর তিনি আরও লেখেন, "তবে 'গুগাবাবা'র পরিচালকের নাম শ্রীযুক্ত সত্যজিৎ রায়। উনি ওনার ডিস্ট্রিবিউটার নেপালবাবুকে দিয়ে বোম্বে (বর্তমানে মুম্বই) থেকে গুগাবাবার প্রিন্ট করিয়ে নিলেন। সঙ্গে সঙ্গে নেপালবাবুও হল চেনের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করেই ফেললেন 'আরোগ্য নিকেতন'-এর পর গুগাবাবা’ই মুক্তি পাবে ৷ কাগজে বিজ্ঞাপনও বেরিয়ে গেল। ব্যাস, শুরু হল মিছিল পর্ব। মিছিলে নেতৃত্ব দিলেন- উত্তম কুমার, বিকাশ রায়, জহর রায়,অসিত চৌধুরীরা। যাতে রিলিজ না হয় গুগাবাবা। সন্ধ্যেতে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করারও কার্যক্রম রাখা হয়েছিল। সেখানে অবশ্য স্টার উত্তম কুমার আসেননি। বাকিরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিজলির বাইরে টুলের উপর দাঁড়িয়ে দিয়েছিলেন বক্তৃতা। স্লোগান তোলা হয়েছিল হলের বাইরে 'গুগাবাবা চলবে না-চলবে না'।"

অভিনেতা জিতু বলেন, "এমতাবস্থায় প্রথম শো ভাঙল ।'চলচ্চিত্র সংরক্ষণ সমিতি'র লোক হলের মধ্যেই ছিলেন। তাঁরা টোন-টিটকিরি দিতে দিতে বেরোলেন 'এই রে ভুতুড়ে ছবি/ও কেউ দেখবে না/আর কত গাঁজাখড়ি দেখব রায় মশাই' ৷ কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে সেকেন্ড শো থেকে জনতা জনার্দন ছবিটিকে নিয়ে মেতে উঠল । টানা 103 সপ্তাহ চলল ছবিটি। যা বোধহয় এখনও পর্যন্ত বাংলা ছবির দৃষ্টান্ত।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.