কলকাতা, 25 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ডের পর মহিলাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাতে মেয়েদের ডিউটি দেওয়া নিয়ে বেশকিছু বিধিনিষেধ আনার কথা চলছে ৷ এই নিয়ে নানা মহলে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতেও শুরু করেছে ৷ মহিলা কর্মীদের মতে, তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে ৷ তবে যে কোনও সময় কাজের অধিকার কেড়ে নিলে ফের পিছিয়ে পড়তে হবে মহিলাদের ৷ এবার এই নিয়ে গর্জে উঠলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও ৷ তাঁর প্রশ্ন, কেন রাতে কাজে বেরোতে পারবেন না মহিলারা ? রাতে কি রাস্তায় শুধু হায়নার দল ঘুরে বেড়াবে ?
ঠিক কী বলেছেন ঋতুপর্ণা ?
আরজি কর কাণ্ডের জেরে রাতে মেয়েদের কাজ করা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে ৷ নারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি উঠেছে ৷ নারীদের নাইট ডিউটিতে না-রাখারও কথা চলছে ৷ এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ৷ তাঁর মতে, এটা করা হলে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে মেয়েদের বঞ্চিত করা হবে ৷
তাঁর কথায়, "মেয়েরা রাতে কাজ করবে না তো কি সেই সময়ে রাস্তায় হায়নার মতো হিংস্র জন্তুরা ঘোরাফেরা করবে ? এটা কী ধরনের সমাজ ?"
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এতদিন পথে নামা হয়নি টলিকুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের । কারণ তিনি ছিলেন শহরের বাইরে । বাইরে থেকেই বার্তা দিয়েছিলেন - অপরাধীর শাস্তি চাই । সেই বার্তা দিতে গিয়ে শঙ্খ বাজানোর ভিডিয়ো পোস্ট করায় অবশ্য ট্রোলিংয়ের মুখেও পড়তে হয় তাঁকে । তবে, সেসবে পাত্তা দেননি ইন্ডাস্ট্রির ঋতু । তিনি মনে-প্রাণে অপরাধীর শাস্তি চেয়ে গিয়েছেন ৷
গতকাল আর্টিস্ট ফোরামের গণ অবস্থানে হাজির হন অভিনেত্রী । সেখানেই তিনি বলেন, "অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড চাই । নাহলে এহেন কাজ দিন দিন বাড়বে । এরকম মানসিকতার মানুষ সমাজে দিন দিন বাড়বে । এরকম কাজ করলে ছাড় পাওয়া যায় এটা মনের মধ্যে চলে এলে এই কাজ চলতেই থাকবে । ভীতি আসা দরকার যে, এরকম কাজ করলে মৃত্যুদণ্ড বরাদ্দ আছে তাদের জন্য । তাহলেই কমবে এরকম কাজ ।"
দিনকয়েক আগেই আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে নেট নাগরিকদের রোষের মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী ৷ জলশঙ্খ হাতে নিয়ে শঙ্খ বাজানোর ভঙ্গিমা এবং তার সঙ্গে শঙ্খধ্বনির রেকর্ড বাজানোকে ঘিরে তুমুল চর্চা হয় সোশাল মিডিয়ায় । সে ব্যাপারে এদিন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, "এই ব্যাপারে আমি ভাবছিই না । আমি অন্তর থেকে কী চাইছি সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ । মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে যায় । ভাবি, কিছু কি ভালো খবর হল ? সুতরাং কে আমাকে ট্রোল করল সেই নিয়ে আমার চিন্তা নেই । এগুলো খুবই ছোট বিষয় ৷"