ETV Bharat / business

তৃতীয় মোদি জমানায় প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে ব্রাত্য উত্তরের চা-পর্যটন, হতাশ ব্যবসায়ীরা - UNION BUDGET 2025

নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হল ৷ তাতে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন থেকে শুরু করে চা ও পর্যটন শিল্পের উল্লেখ নেই ৷

Union Budget 2025 disappointed Tea and Tourism Sector of North Bengal
চা ও পর্যটন শিল্পের উল্লেখ নেই এবারের বাজেটে (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 1, 2025, 9:25 PM IST

Updated : Feb 1, 2025, 9:54 PM IST

দার্জিলিং, 1 ফেব্রুয়ারি: মোদি সরকারের আমলে একটানা অষ্টম বার বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৷ 2025-26 অর্ষবর্ষের এই বাজেটেও ব্রাত্য রইল উত্তরবঙ্গ তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি -চা ও পর্যটন শিল্প ৷ চা বলয়ের উন্নয়নে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী, মনে করেছিল শিল্পমহল ৷ কিন্তু আর্থিক প্যাকেজ তো দূর অস্ত, চা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ৷

তৃতীয় মোদি সরকারের এই বাজেটে হতাশ উত্তরবঙ্গের চা ও পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা ৷ ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে চা ও পর্যটনমহলে ৷ এই প্রসঙ্গে পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল বলেন, "অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয় ৷ এটা আশা করিনি ৷" পর্যটন ব্যবসাকে চাঙ্গা করতে তিনি জিএসটি-তে ছাড়ের উপর জের দেন ৷ তাঁর কথায়, "চায়ের জন্য কিছু নেই, উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য কিছু নেই ৷ দরকার ছিল, জিএসটিতে ছাড় ৷ পর্যটনের ক্ষেত্রে জিএসটি'র কাঠামো পুনর্গঠনের প্রয়োজনও ছিল ৷ সেটা করলে পর্যটন এমনিতেই উন্নত হবে ৷ কিন্তু সে ব্যাপারে কোনও নজর দেওয়া হয়নি ৷"

চা ও পর্যটন শিল্পের উল্লেখ নেই এবারের বাজেটে (ইটিভি ভারত)

সমস্যাটা কোথায়?

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশের দাবি, গোটা দেশের মোট আয়ের 20 থেকে 25 শতাংশ উঠে আসে চা ও পর্যটন শিল্প থেকে ৷ উত্তরবঙ্গেই ছোট-বড় মিলিয়ে মোট 400টি চা-বাগান রয়েছে ৷ তেরোটি মূল বড় চা-বাগান বন্ধ রয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ৷ প্রায় দু'হাজারেরও বেশি শ্রমিকের প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া রয়েছে ৷ বকেয়ার পরিমাণ 19 কোটিরও বেশি। একাধিক চা বাগান ধুঁকছে ৷ এক ডজনের বেশি চা-বাগান রুগ্ন অবস্থায় চলছে ৷ তার উপর কেন্দ্রের নজর না-থাকায় নেপালের চা ভারতে ঢুকে পড়ছে হুহু করে ৷ তাতে উত্তরের চায়ের সুনাম এখন তলানিতে ৷ তারপরেও এই বাজেটে চা শিল্পকে রক্ষা করতে কেন কেন্দ্রীয় বাজেটে কোনও প্রতিফলন দেখা গেল না, সেই প্রশ্ন উঠছে ৷

ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া

ফেডারেশন অফ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্পাদক সুরজিৎ পাল বলেন, "উত্তরবঙ্গের জন্য ভীষণভাবে হতাশাজনক বাজেট ৷ উত্তরবঙ্গে চিকেন নেক রয়েছে ৷ চিন, পাকিস্তান, নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কঠিন ৷ এই পরিস্থিতিতে উত্তরাঞ্চলের দিকে দৃষ্টি দেওয়া দরকার ছিল ৷"

চা শিল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "চা শিল্পের অবস্থা খুব খারাপ ৷ এর আগে (2021 সালে) কেন্দ্রীয় বাজেটে এক হাজার কোটি টাকার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ সেই টাকা কে পেয়েছে, কোথায় খরচ হয়েছে তা আমরা জানি না ৷ পাহাড় এবং তরাইয়ের কয়েকটি চা-বাগানের মালিকরা বলছেন, তাঁরা ওই টাকার জন্য আবেদন করেছিলাম ৷ কিন্তু পাননি ৷ যে অর্থ বরাদ্দ হয় তা কেউ পায় না । কেন পায় না সেটা আজও রহস্য, যার কোনও কিনারা হয়নি ৷"

তিনি আরও বলেন, "চা-শিল্পের একটা আন্তর্জাতিক দিক রয়েছে ৷ এই দিকে মোদি সরকারের নজর দেওয়া উচিত ৷ 3 ট্রিলিয়ন অর্থনীতি করতে চাইলে চা-কে বাদ দিলে হবে না ৷ চা-ই হল উত্তরবঙ্গ, অসমের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ৷ উত্তরবঙ্গের উন্নতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি ৷ উত্তরবঙ্গে সার্বিক উন্নতি না করলে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়তে থাকবে ৷"

শ্রমিকদের বক্তব্য

হতাশার সুর শোনা গেল শ্রমিক নেতা নির্জল দে'র গলাতেও ৷ তিনি বলেন, "বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনও করা হয়নি ৷ বারবার চা শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে ৷ এই বাজেটেও তাই হল ৷ পুরো বাজেটে কোথাও 'চা' শব্দটাও উচ্চারণ করেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৷ এটা খুব হতাশাজনক ৷"

আশা-নিরাশা

রাজ্যে বিশেষত উত্তরবঙ্গে চা শিল্পের জন্য এবার অন্তত কেন্দ্রীয় বাজেট দিশা দেখাবে বলে আশা করেছিল ব্যবসায়ীমহল ৷ কিন্তু গোটা বাজেটে চা শিল্প তো বটেই, রাজ্যের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে কোনও বরাদ্দই রাখেনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৷ আর এতেই হতাশ উত্তরের চা শিল্পমহল ৷ এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উত্তরের চা শিল্পের হাল ফেরাতে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছিল একাধিক চা সংগঠন ৷ কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও বাজেটে চা শিল্প নিয়ে কোনও উল্লেখ পাওয়া গেল না ৷

এই বিষয়ে স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, "উত্তরের উন্নয়নের ভিত চা শিল্প ৷ প্রতিবার আমরা চা শিল্পের হাল ফেরাতে স্পেশাল প্যাকেজের দাবি রাখি ৷ আগেও করেছি ৷ এবারও ছিল ৷ কিন্তু এবারও বাজেটে তার কোনও উচ্চবাচ্য নেই ৷ অনেক রুগ্ন চা-বাগান রয়েছে ৷ একাধিক চা বাগান বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে ৷ সেগুলির হাল ফেরাতে এবারের বাজেটে কোনও প্যাকেজ রাখা হল না ৷"

গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মুখপাত্র এসপি শর্মা বলেন, "দুর্ভাগ্যজনক বাজেট ৷ এর আগে বাজেটে এক হাজার কোটি টাকার কথা বলা হয়েছিল ৷ সেই টাকা কোথায় কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে জানা নেই ৷ আর এবার চা বাগান নিয়ে কোনও ঘোষণা হল না ৷"

সারা দেশের মোট চায়ের 30 শতাংশই উত্তরবঙ্গে উৎপাদিত হয় ৷ 13 কোটি কেজি চায়ের মধ্যে প্রায় সাড়ে চার কোটি কেজি চা উত্তরবঙ্গ থেকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে ৷ উত্তরবঙ্গে 16টি বন্ধ ও রুগ্ন চা বাগান আছে ৷ গত দু'টি পর্যায়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন বিজেপি সরকার ডানকানস-এর মতো বন্ধ ও রুগ্ন চা বাগান অধিগ্রহণ ও চা শিল্পের জন্য স্পেশাল প্যাকেজের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি ৷ স্পেশাল প্যাকেজ বা চা শিল্পের জন্য এবার বাজেটে বরাদ্দ হলে বাংলার পাশাপাশি অসম, সিকিম-সহ পূর্ব উত্তর-পূর্ব ভারত উপকৃত হত বলে মনে করছে ব্যবসায়ীমহল ৷

দার্জিলিং, 1 ফেব্রুয়ারি: মোদি সরকারের আমলে একটানা অষ্টম বার বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৷ 2025-26 অর্ষবর্ষের এই বাজেটেও ব্রাত্য রইল উত্তরবঙ্গ তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি -চা ও পর্যটন শিল্প ৷ চা বলয়ের উন্নয়নে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী, মনে করেছিল শিল্পমহল ৷ কিন্তু আর্থিক প্যাকেজ তো দূর অস্ত, চা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ৷

তৃতীয় মোদি সরকারের এই বাজেটে হতাশ উত্তরবঙ্গের চা ও পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা ৷ ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে চা ও পর্যটনমহলে ৷ এই প্রসঙ্গে পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল বলেন, "অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয় ৷ এটা আশা করিনি ৷" পর্যটন ব্যবসাকে চাঙ্গা করতে তিনি জিএসটি-তে ছাড়ের উপর জের দেন ৷ তাঁর কথায়, "চায়ের জন্য কিছু নেই, উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য কিছু নেই ৷ দরকার ছিল, জিএসটিতে ছাড় ৷ পর্যটনের ক্ষেত্রে জিএসটি'র কাঠামো পুনর্গঠনের প্রয়োজনও ছিল ৷ সেটা করলে পর্যটন এমনিতেই উন্নত হবে ৷ কিন্তু সে ব্যাপারে কোনও নজর দেওয়া হয়নি ৷"

চা ও পর্যটন শিল্পের উল্লেখ নেই এবারের বাজেটে (ইটিভি ভারত)

সমস্যাটা কোথায়?

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশের দাবি, গোটা দেশের মোট আয়ের 20 থেকে 25 শতাংশ উঠে আসে চা ও পর্যটন শিল্প থেকে ৷ উত্তরবঙ্গেই ছোট-বড় মিলিয়ে মোট 400টি চা-বাগান রয়েছে ৷ তেরোটি মূল বড় চা-বাগান বন্ধ রয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ৷ প্রায় দু'হাজারেরও বেশি শ্রমিকের প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া রয়েছে ৷ বকেয়ার পরিমাণ 19 কোটিরও বেশি। একাধিক চা বাগান ধুঁকছে ৷ এক ডজনের বেশি চা-বাগান রুগ্ন অবস্থায় চলছে ৷ তার উপর কেন্দ্রের নজর না-থাকায় নেপালের চা ভারতে ঢুকে পড়ছে হুহু করে ৷ তাতে উত্তরের চায়ের সুনাম এখন তলানিতে ৷ তারপরেও এই বাজেটে চা শিল্পকে রক্ষা করতে কেন কেন্দ্রীয় বাজেটে কোনও প্রতিফলন দেখা গেল না, সেই প্রশ্ন উঠছে ৷

ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া

ফেডারেশন অফ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্পাদক সুরজিৎ পাল বলেন, "উত্তরবঙ্গের জন্য ভীষণভাবে হতাশাজনক বাজেট ৷ উত্তরবঙ্গে চিকেন নেক রয়েছে ৷ চিন, পাকিস্তান, নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কঠিন ৷ এই পরিস্থিতিতে উত্তরাঞ্চলের দিকে দৃষ্টি দেওয়া দরকার ছিল ৷"

চা শিল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "চা শিল্পের অবস্থা খুব খারাপ ৷ এর আগে (2021 সালে) কেন্দ্রীয় বাজেটে এক হাজার কোটি টাকার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ সেই টাকা কে পেয়েছে, কোথায় খরচ হয়েছে তা আমরা জানি না ৷ পাহাড় এবং তরাইয়ের কয়েকটি চা-বাগানের মালিকরা বলছেন, তাঁরা ওই টাকার জন্য আবেদন করেছিলাম ৷ কিন্তু পাননি ৷ যে অর্থ বরাদ্দ হয় তা কেউ পায় না । কেন পায় না সেটা আজও রহস্য, যার কোনও কিনারা হয়নি ৷"

তিনি আরও বলেন, "চা-শিল্পের একটা আন্তর্জাতিক দিক রয়েছে ৷ এই দিকে মোদি সরকারের নজর দেওয়া উচিত ৷ 3 ট্রিলিয়ন অর্থনীতি করতে চাইলে চা-কে বাদ দিলে হবে না ৷ চা-ই হল উত্তরবঙ্গ, অসমের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ৷ উত্তরবঙ্গের উন্নতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি ৷ উত্তরবঙ্গে সার্বিক উন্নতি না করলে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়তে থাকবে ৷"

শ্রমিকদের বক্তব্য

হতাশার সুর শোনা গেল শ্রমিক নেতা নির্জল দে'র গলাতেও ৷ তিনি বলেন, "বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনও করা হয়নি ৷ বারবার চা শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে ৷ এই বাজেটেও তাই হল ৷ পুরো বাজেটে কোথাও 'চা' শব্দটাও উচ্চারণ করেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৷ এটা খুব হতাশাজনক ৷"

আশা-নিরাশা

রাজ্যে বিশেষত উত্তরবঙ্গে চা শিল্পের জন্য এবার অন্তত কেন্দ্রীয় বাজেট দিশা দেখাবে বলে আশা করেছিল ব্যবসায়ীমহল ৷ কিন্তু গোটা বাজেটে চা শিল্প তো বটেই, রাজ্যের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে কোনও বরাদ্দই রাখেনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৷ আর এতেই হতাশ উত্তরের চা শিল্পমহল ৷ এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উত্তরের চা শিল্পের হাল ফেরাতে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছিল একাধিক চা সংগঠন ৷ কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও বাজেটে চা শিল্প নিয়ে কোনও উল্লেখ পাওয়া গেল না ৷

এই বিষয়ে স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, "উত্তরের উন্নয়নের ভিত চা শিল্প ৷ প্রতিবার আমরা চা শিল্পের হাল ফেরাতে স্পেশাল প্যাকেজের দাবি রাখি ৷ আগেও করেছি ৷ এবারও ছিল ৷ কিন্তু এবারও বাজেটে তার কোনও উচ্চবাচ্য নেই ৷ অনেক রুগ্ন চা-বাগান রয়েছে ৷ একাধিক চা বাগান বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে ৷ সেগুলির হাল ফেরাতে এবারের বাজেটে কোনও প্যাকেজ রাখা হল না ৷"

গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মুখপাত্র এসপি শর্মা বলেন, "দুর্ভাগ্যজনক বাজেট ৷ এর আগে বাজেটে এক হাজার কোটি টাকার কথা বলা হয়েছিল ৷ সেই টাকা কোথায় কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে জানা নেই ৷ আর এবার চা বাগান নিয়ে কোনও ঘোষণা হল না ৷"

সারা দেশের মোট চায়ের 30 শতাংশই উত্তরবঙ্গে উৎপাদিত হয় ৷ 13 কোটি কেজি চায়ের মধ্যে প্রায় সাড়ে চার কোটি কেজি চা উত্তরবঙ্গ থেকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে ৷ উত্তরবঙ্গে 16টি বন্ধ ও রুগ্ন চা বাগান আছে ৷ গত দু'টি পর্যায়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন বিজেপি সরকার ডানকানস-এর মতো বন্ধ ও রুগ্ন চা বাগান অধিগ্রহণ ও চা শিল্পের জন্য স্পেশাল প্যাকেজের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি ৷ স্পেশাল প্যাকেজ বা চা শিল্পের জন্য এবার বাজেটে বরাদ্দ হলে বাংলার পাশাপাশি অসম, সিকিম-সহ পূর্ব উত্তর-পূর্ব ভারত উপকৃত হত বলে মনে করছে ব্যবসায়ীমহল ৷

Last Updated : Feb 1, 2025, 9:54 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.