নয়াদিল্লি, 7 জুলাই: "সাধারণ মৃত্যু হবে না আমার ৷ গুলির আঘাতেই মরব ৷" স্ত্রীর সঙ্গে শেষ কথোপকথনে এমনটাই জানিয়েছিলেন ভারতীয় সেনার শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং ৷ এরপরই এক দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণ যায় । স্বামীর কীর্তিচক্র হাতে নিয়ে শেষ সময়ের স্মৃতিচারণ করলেন স্ত্রী স্মৃতি সিং ৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপত্রের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে তাঁর সেই স্মৃতিচারণের ভিডিয়ো ৷
Cpt #AnshumanSingh was awarded #KirtiChakra (posthumous). It was an emotional moment for his wife & Veer Nari Smt Smriti who accepted the award from #President Smt #DroupadiMurmu. Smt Smriti shares the story of her husband's commitment & dedication towards the nation. Listen in! pic.twitter.com/SNZTwSDZ1Z
— A. Bharat Bhushan Babu (@SpokespersonMoD) July 6, 2024
অসামান্য সাহসিকতা এবং বীরত্বের জন্য শুক্রবার মরণোত্তর কীর্তিচক্র সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে ভারতীয় সেনার ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংকে ৷ তাঁর তরফে এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে সম্মানটি গ্রহণ করেন ক্যাপ্টেনের স্ত্রী স্মৃতি সিং এবং মা মঞ্জু সিং ৷ স্বামীর হয়ে সম্মান হাতে নিয়ে শেষ কথোপকথন সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন স্ত্রী ৷ তিনি জানান, আট বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর চার হাত এক হয় তাঁদের ৷ বিয়ের দু'মাসের মধ্যে সিয়াচেনে পোস্টিং হয় ক্যাপ্টেনের ৷ ঘটনার আগের দিন দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছিল তাঁদের ৷
স্মৃতি আরও জানান, সেদিন তাঁরা আগামী 50 বছরের পরিকল্পনা করেন ৷ কথা হয় বাড়ি তৈরি থেকে শুরু করে সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানো নিয়ে ৷ পরের দিনই অংশুমানের মৃত্যু সংবাদ পান স্মৃতি ৷ তিনি বলেন, "প্রথম 7-8 ঘণ্টা আমরা কেউ মেনে নিতে পারিনি যে এমন কিছু ঘটেছে । আজ পর্যন্তও মেনে নিতে পারিনি । প্রতিটা মুহূর্তে ভাবি ওঁর চলে যাওয়াটা সত্যি নয় । কিন্তু কীর্তিচক্র হাতে পাওয়ার পর আবারও বুঝতে পেরেছি এটাই সত্যি । তবে তিনি একজন নায়ক ।"
স্মৃতি জানান, কলেজে প্রথম আলাপ হয়েছিল দুজনের । প্রথম দেখাতেই অংশুমানকে ভালো লেগে যায় তাঁর । প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পরে সেখান থেকে আর্মড ফোর্সের মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করতে যান অংশুমান ৷ এর পর দীর্ঘ আট বছর ধরে তাঁদের প্রেম চলে । 2023 সালে বিয়ে হয় তাঁদের । বিয়ের 2 মাসের মাথায় সিয়াচেনে পোস্টিং হয় অংশুমানের ৷ পঞ্জাব রেজিমেন্টের 26তম ব্যাটেলিয়নের ক্যাপ্টেন ছিলেন তিনি । গত বছর সিয়াচেনে আর্মি ক্যাম্পে একটি অগ্নিকাণ্ডে সহযোদ্ধাদের রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারান তিনি । তাঁর সেই বীরত্বকে সম্মান জানিয়ে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ।