নয়াদিল্লি, 3 জুলাই: মণিপুরে হিংসা ক্রমাগত কমছে ৷ আর হিংসাত্মক ঘটনা কমায় রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে স্কুলগুলিও খুলে গিয়েছে ৷ বুধবার রাজ্যসভায় এমনই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷
দিন দুয়েক আগে লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মণিপুরের হিংসার ঘটনা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে ৷ রাহলু-সহ কংগ্রেস নেতারা মণিপুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী-সহ সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেন ৷ এদিন রাজ্যসভায় কার্যত তারই উত্তর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তাঁর স্পষ্ট দাবি, "মণিপুরে সম্পূর্ণ শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য যাবতীয় চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ রাজ্যে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পাশাপাশি অন্য বিভিন্ন সংগঠন একসঙ্গে কাজ করছে।"
সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জানান, মণিপুরে 500 জনেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ 11 হাজারেরও বেশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মোদি এদিন আরও জানান, মণিপুর এখন বন্যা পরিস্থিতির মুখোমুখি ৷ কেন্দ্র সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র দুটি দল পাঠিয়েছে।
রাজ্যসভায় মণিপুর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস ৷ এদিনই কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দাবি আশ্চর্যজনক ৷ সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ বাস্তবে এই রাজ্য এখনও উত্তেজনাপূর্ণ। একই সঙ্গে, কংগ্রেস এও দাবি করেছে, গত বছরের মে মাসে রাজ্যে হিংসা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী এখনও সেই রাজ্যে যাননি। রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, "এই ইস্যুতে কয়েক মাস নিঃশব্দ নীরবতার পরে, 'অজৈবিক' প্রধানমন্ত্রী বিস্ময়কর দাবি করেছেন যে মণিপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক !"
রমেশের কথায়, "আসলে, পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ ৷ মণিপুরেরই সাংসদ সোমবার লোকসভায় সে কথা উল্লেখ করেছিলেন। অজৈবিক প্রধানমন্ত্রী 2023 সালের 3 মে রাতে বিস্ফোরণের পর থেকে মণিপুরে যাননি ৷ তিনি রাজ্যের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও দেখা করেননি।"