নয়াদিল্লি, 29 জানুয়ারি: বিচার প্রক্রিয়াকে অবশ্যই সামাজিক এবং রাজনৈতিক চাপ থেকে এবং মানুষের অন্তর্নিহিত পক্ষপাত থেকে মুক্ত হতে হবে । এমনটাই রবিবার বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ তিনি জানিয়েছেন, আদালত একমাত্র গ্যারান্টার নয় ৷ তবে এটি চূড়ান্ত বিচারক ৷ আদালতের ক্ষমতাকে কোনও কিছুকে মুক্তি দিতে এবং শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ তবে কখনই নিপীড়ন বা বঞ্চিত করার জন্য এই ক্ষমতা ব্যববার করা উচিত নয় ৷ নিজেকে একটি বৈধ প্রতিষ্ঠান হিসাবে তুলে ধরতে গেলে আদালতকে নাগরিকদের সম্মানের রক্ষা করতে হবে ।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেন, "সামাজিক পরিস্থিতির ফলে লিঙ্গ, অক্ষমতা, জাতি, বর্ণ এবং যৌনতা নিয়ে মনোভাব তৈরি হয় ৷ সেগুলি থেকে মুক্ত করতে এবং বিচারপতিদের শিক্ষিত ও সংবেদনশীল করার জন্য প্রতিষ্ঠানের তরফে সবরকম প্রচেষ্টা করা হচ্ছে ।" সুপ্রিম কোর্টের হীরক জয়ন্তী বর্ষ উদযাপনের সূচনা হয়েছে ৷ সেই উপলক্ষে সর্বোচ্চ আদালতের তরফে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, "একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থা বলতে কেবল কার্যনির্বাহী এবং আইনসভা শাখা থেকে প্রতিষ্ঠানের অন্তরণ নয়, বরং বিচারপতি হিসেবে তাদের ভূমিকা পালনে ব্যক্তির স্বাধীনতাকেও বোঝায় ।"
সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলা নিয়ে তিনি বলেন, "বর্তমানে মোট 65 হাজার 915টি মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে । কী করা দরকার সে সম্পর্কে আমাদের কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে হবে । সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে ৷ আমি বিশ্বাস করি যে আমরা কীভাবে সওয়াল করি এবং কীভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিই এবং সর্বোপরি আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যে মামলাগুলি নির্বাচন করি সে সম্পর্কে আমাদের একটি সাধারণ ধারণা থাকতে হবে ৷ আমরা যদি কঠিন সিদ্ধান্ত না নিই এবং এই চাপা সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ না করি, তবে অতীতে যে উচ্ছ্বাস ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যাবে ।"
আরও পড়ুন: