নয়াদিল্লি, 2 জুলাই: এনডিএ সাংসদদের সকল সংসদীয় নিয়ম ও আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ আর এক্ষেত্রে প্রয়োজনে বরিষ্ঠ এবং অভিজ্ঞ সাংসদদের থেকে শিক্ষা নিতে বলেছেন তিনি ৷ এনডিএ সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে একথা বলেছেন মোদি ৷ উল্লেখ্য, সোমবার লোকসভার অধিবেশনে রাহুল গান্ধির বক্তব্যকে 'দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাষণ' হিসেবে উল্লেখ করেছিল এনডিএ শিবির ৷ আর তার পরেই জোট সরকারের সাংসদদের এই বার্তা দিয়েছেন এনডিএ শিবিরের নেতা ৷
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এনডিএ-র ওই বৈঠকে বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোট তথা কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করেছেন নরেন্দ্র মোদি ৷ সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, বৈঠকে মোদি বলেছেন, "দেশের প্রথমবার কোনও অকংগ্রেসি নেতা টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেছে ৷ তাও আবার একজন 'চা-ওয়ালা' ৷ সেই কারণে, বিরোধী শিবির হতাশ হয়ে পড়েছে ৷" পিটিআই তার সূত্রকে উল্লেখ করে আরও জানিয়েছে, মোদি এই ইস্যুতে নেহরু-গান্ধি পরিবারকেও ব্যঙ্গ করেছেন এনডিএ-র বৈঠকে ৷ তিনি বলেছেন, বিরোধীপক্ষের সদস্যদের পূর্বপুরুষ প্রধানমন্ত্রী ছিল ৷ তাই তাঁরা নিজেদের বৃত্তের বাইরের লোকজনকে খুব একটা মান্যতা দেয় না ৷
যদিও, বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ৷ তিনি জানিয়েছেন, এনডিএ সাংসদদের সংসদীয় নিয়ম ও আচরণবিধি পালনের নির্দেশ মোদি দিয়েছেন ৷ রিজিজু বলেন, "মোদি সকল সাংসদদের সংসদীয় ইস্যুগুলিকে নিয়ে পড়াশোনা করতে বলেছেন ৷ নিয়মিত সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে হবে এবং নিজেদের সংসদীয় এলাকার সমস্যার কথা অধিবেশনে তুলে ধরতে হবে ৷"
পিটিআই সূত্রের খবর, কোনও বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কথা বলার আগে, তা নিয়ে ভালো করে জেনে ও বুঝে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মোদি ৷ তবে, বৈঠকে রাহুল গান্ধির সোমবারের বক্তব্য নিয়ে মোদি কোনও মন্তব্য করেছেন কিনা, জানতে চাওয়া হয় ৷ জবাবে কিরেণ রিজিজু বলেন, "তিনি কারও নাম নিয়ে কিছু বলেননি ৷ তবে, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন কিছু বলেন, সেই বার্তাটা সবার জন্য দেন ৷" উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধি সোমবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ করেন ৷ যার বিরুদ্ধে লোকসভার ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে প্রতিবাদ করা হয় ৷