নয়াদিল্লি, 13 জুলাই: জরুরি অবস্থা জারি করাকে নিয়ে কংগ্রেসের উপরে চাপ আরও বাড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রতি বছর 25 জুন দিনটি সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালিত হবে । 1975 সালের এদিনেই জরুরি অবস্থা জারি করেছিল ইন্দিরা গান্ধির সরকার । মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস থেকে শুরু করে তৃণমূলের মতো দলগুলি । মুম্বইতে উদ্ধব ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর মতে, মোদি সরকারের আমলের পরিস্থিতি জরুরি অবস্থা থেকেও খারাপ ।
নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শাহ বলেন, "ভারতের মতো দেশে গণতন্ত্রকে কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল তা মনে করিয়ে দিতেই এই পদক্ষেপ । পাশাপাশি আগামদিনে যাতে কেউ এমন কিছু করার সাহস না দেখায় তা নিশ্চিত করাও আমাদের লক্ষ্য।"
স্বাগত এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছে কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিরোধীদল গুলি। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি ইটিভি ভারতকে জানিয়েছেন, পাঁচ দশক আগের কোনও ঘটনাকে সরকার কেন এভাবে ফিরিয়ে আনতে চাইছে তা বোধগম্য হচ্ছে না । সেই ঘটনার পর থেকে একাধিকবার দেশ নিজের রায় জানিয়েছে। আর 25 জুন তারিখ যদি সংবিধান হত্যা দিবস হয় তাহলে গত 10 বছর ছিল সংবিধান হত্যা যুগ।
মুম্বই গিয়ে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদির সময় গণতন্ত্রের উপর সবচেয়ে বেশি আক্রমণ নেমে এসেছে। তার মতে এই সময়টি জরুরি অবস্থা থেকেও খারাপ।
এর আগে অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে জরুরি অবস্থা জারির প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন । অধিবেশন শুরুর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও একই বিষয়ে সরল হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও জরুরি অবস্থায় নারীর প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন। তার প্রতিবাদ করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি। আর এবার নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলোনতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল জরুরি অবস্থা লাগু করার প্রসঙ্গ।