নয়াদিল্লি, 15 মার্চ: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য তৈরি হতে চলেছে 1 হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি হস্টেল ৷ নির্ভয়া তহবিল থেকে 272 কোটি টাকা অনুদানের কথা ঘোষণা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই ৷ এই টাকা দিয়েই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর কমপ্লেক্সে হস্টেলটি নির্মাণ করা হবে। সম্প্রতি এক্স হ্যান্ড্লে পোস্ট করে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ।
সেখানেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লেখেন, মহিলা ও শিশু বিকাশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই 272 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ নির্ভয়া তহবিল থেকে এই টাকা দেওয়া হবে ৷ যে সমস্ত মহিলারা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করবেন তাঁদের কাজে লাগবে এই অনুদান ৷ এই পোস্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য বিকশিত ভারত ৷ সেখানে সমাজের সর্বস্তরের মহিলাদের কর্মসংস্থান ও উচ্চশিক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এই মিশনকে সফল করতেই মহিলাদের জন্য নির্ভয়া তহবিল থেকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে ৷ যা দিয়ে 1 হাজার শয্যার হস্টেলটি তৈরি হবে ৷ সেই সঙ্গে নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি বসানো হবে ৷ থাকবে সমস্ত প্রয়য়োজনীয় সামগ্রী ৷
7 মার্চ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বিকাশিত ভারত অ্যাম্বাসেডর-নারী' শক্তি কনক্লেভের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতী ইরানি ৷ সেখানে 'উন্নত ভারত, শক্তিধর নারী'-র মন্ত্র দিয়েছিলেন মন্ত্রী। এদিনই মহিলা হস্টেলের জন্য নির্ভয়া তহবিল থেকে অনুদানের ঘোষণাও করেছিলেন। এই ঘোষণার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে হস্টেল তৈরির জন্য একটি প্রস্তাব তৈরি করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে । 4-5 দিনের মধ্যে এই ছাত্রাবাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে ৷
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ক্যাম্পাসের পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রকাশ সিং বলেন, "কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে ৷ আমাদের জমির অভাব নেই । উত্তর কমপ্লেক্সে খালি জমির উপর দু’টি হস্টেল নির্মাণের কাজ চলছে ৷" দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ক্যাম্পাসে 161কোটি খরচে 1016 শয্যার একটি হস্টেল তৈরি করা হয়েছে ছাত্রীদের জন্য ৷ এছড়াও ছাত্রদের জন্য 289.1 কোটি টাকায় 530 শয্যার একটি হস্টেল নির্মাণ করা হচ্ছে। বিশ্ব বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনে প্রধান অতিথি হিসেবে এসে এই দু’টি ছাত্রাবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷
আরও পড়ুন: