বেমেতরা, 6 সেপ্টেম্বর: এক বা দু'টি নয়, 18টি বাঁদরকে হত্যা করার অভিযোগ উঠল এক শিকারির বিরুদ্ধে ৷ সেই ব্যক্তি খেতে পাহারা দিচ্ছিল ৷ জানা গিয়েছে, ছররা বন্দুকের লোহার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ওই বাঁদরগুলির ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিকারি রামাধারকে বন্দুক-সহ গ্রেফতার করেছে বন বিভাগ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের বেলগাঁও এলাকার সাজা ব্লকের ৷
বন দফতর সূত্রে খবর, 26 অগস্ট সাজা তেহসিলদার এবং বন দফতরের একটি দল বাঁদরগুলির মৃতদেহ উদ্ধার করে ৷ এরপর ওই বাঁদরগুলির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ৷ জানা যায় যে, ছররা বন্দুকের লোহার গুলি বিঁধে বাঁদরগুলি প্রাণ হারিয়েছে ৷
একসঙ্গে এতগুলির বাঁদরের মৃত্যু যথেষ্ট গুরুতর একটি ঘটনা ৷ তাই বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন 1972-এর আওতায় একটি মামলা দায়ের করে বন বিভাগ ৷ কে এই কাজ করে থাকতে পারে, তার সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে বন বিভাগ ৷ তদন্ত চলাকালীন বন দফতর জানতে পারে, খেতের পাহারায় থাকা শিকারি এই কাজ করেছে ৷
গ্রামের পঞ্চ সীতারাম বর্মা বলেন, "আমরা যখন ওই খেতের দিকে যাচ্ছিলাম, তখন দেখি অভিযুক্ত বাঁদরগুলির দিকে বন্দুক তাক করে রয়েছে ৷ তার এই নিশানার জন্য 18টি বাঁদরের মৃত্যু হয়েছে ৷ বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনে 28 অগস্ট তল্লাশি অভিযান শুরু হয় ৷"
সিসিএফ এবং ডিএফও
বন দফতর জানিয়েছে, এই অভিযোগ খুবই গুরুতর ৷ সব মিলিয়ে 18টি বাঁদরকে হত্যা করা হয়েছে ৷ এই তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ কী হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্য প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) ৷ তিনি কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন, এখুনি অভিযুক্তকে ধরতে হবে ৷ অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠিন থেকে কঠিনতম পদক্ষেপ করা হবে ৷ সিসিএফ এবং ডিএফও (ড্রাগ সার্কল অফিসার) এই ব্যবস্থা নিয়েছেন ৷ 5 সেপ্টম্বর শিকারি রামাধরকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷