তিরুঅনন্তপুরম, 8 নভেম্বর: ইন্ডিয়া জোটে কি ফাটল ? এবার কার্যত বিজেপি-র সুরে সুর মিলিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে আক্রমণ করলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ৷ কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে বিজয়ন অভিযোগ করেন, "কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি জামাত-ই-ইসলামির সমর্থনে ওয়েনাড় লোকসভা উপনির্বাচনে লড়াই করছেন।"
বৃহস্পতিবার একটি ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দাবি করে লিখেছেন, "ওয়েনাড়ের উপনির্বাচন কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ মুখোশ সম্পূর্ণরূপে খুলে দিয়েছে।" একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেছেন, "প্রিয়াঙ্কা গান্ধি সেখানে জামায়াত-ই-ইসলামির সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুতরাং, কংগ্রেসের অবস্থান ঠিক কী ? আমাদের দেশ জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে অপরিচিত নয়। সেই সংগঠনের আদর্শ কি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে মিল খায় ?"
জামাত-ই-ইসলামি জাতি বা গণতন্ত্রকে মূল্য দেয় না ৷ দেশের শাসন কাঠামোকে উপেক্ষা করে বলে উল্লেখ করে বিজয়ন জানিয়েছেন, সংগঠনটি ওয়েলফেয়ার পার্টির মাধ্যমে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ছদ্মবেশে কাজ করছে ৷ এই মুখোশটি জম্মু ও কাশ্মীরেও স্পষ্ট ছিল। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ, "জামাত-ই-ইসলামি দীর্ঘদিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিল ৷ শক্তিশালী সাম্প্রদায়িক অবস্থানকে প্রচার করেছিল। পরে, তারা (কাশ্মীরে) বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয় ৷"
থ্যালাসেরির একটি উপনির্বাচনে, ইএমএস প্রকাশ্যে বলেছিল, "আমরা আরএসএস ভোট চাই না।" এই উদাহরণটি উল্লেখ করে বিজয়ন প্রশ্ন করেছেন, কংগ্রেস একই নীতিগত অবস্থান নিতে পারে কি না। বিজয়ন সিপিআই-এর সত্যান মোকেরির ওয়েনাড়ে বাম প্রার্থীর সমর্থনে সভায় বক্তব্য রাখার সময় একই অভিযোগ করেছিলেন। রাহুল গান্ধি ওয়েনাড় এবং রায়বরেলি উভয় আসনেই গত লোকসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন ৷ পরে ওয়েনাড় আসনটি ছেড়ে দেওয়ায় সেখানে উপনির্বাচনের ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। দাদার ছেড়ে দেওয়া আসনে বোন প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস ৷ আগামী 13 নভেম্বর সেখানে এই আসনের উপনির্বাচন।