ETV Bharat / bharat

জিমি কার্টারের নামেই হরিয়ানায় রয়েছে একটি গ্রাম ! কীভাবে, কবে এই নামকরণ ? - INDIAN VILLAGE NAMED AFTER CARTER

রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রয়াত জিমি কার্টারের সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্ক ছিল ৷ তাঁর নামেই নাম রাখা হয় হরিয়ানার একটি গ্রামের ৷

Indian Village Named After Carter
1979 সালে কেন্টাকির রোড শো-এ জিমি কার্টার (ফাইল চিত্র, এপি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 30, 2024, 2:22 PM IST

নয়াদিল্লি, 30 ডিসেম্বর: প্রয়াত নোবেলজয়ী প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ৷ একশো বছর বয়সে জর্জিয়ার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমেরিকার সবচেয়ে বেশি বয়সি এই প্রেসিডেন্ট ৷ শান্ত ও নম্র স্বভাবের এই রাষ্ট্রনেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বিশ্ব ৷ দীর্ঘদিনের 'বন্ধু'কে হারিয়ে শোকাহত বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷ পুরনো দিনের কথা মনে করে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেছেন তিনি ৷

বিশ্ব দরবারে আমেরিকার উন্নতিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেন জিমি কার্টার ৷ প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বরাবর ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখেন তিনি ৷ 1977 সালে জরুরি অবস্থার অবসান ও জনতা পার্টির জয়ের পর প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারত সফরে আসেন তিনি ৷ বক্তব্য রাখেন ভারতের সংসদ ভবনে ৷ অবশ্য, রাজনীতি ছাড়াও ভারতের সঙ্গে গভীর যোগ ছিল প্রাক্তন এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের ৷ এমনকী, তাঁর নামেই নামকরণ করা হয় হরিয়ানার আস্ত একটি গ্রামের ! গ্রামটির নাম 'কার্টারপুর' ৷

কবে এবং কীভাবে বদলে গেল গ্রামের নাম ?

ভারতীয় সংসদ ভবনে 1978 সালের 2 জানুয়ারি বক্তব্য রাখার একদিন পর 3 জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের সঙ্গে দিল্লি চুক্তি সাক্ষর করেন জিমি কার্টার ৷ 'কার্টার সেন্টার'-এর তথ্য অনুযায়ী, এরপরই মার্কিন ফার্স্ট লেডি রোসালিন কার্টারের সঙ্গে হরিয়ানার গুরগাঁওয়ের (বর্তমানে যা গুরুগ্রাম) দৌলতপুর নাসিরাবাদ গ্রামে পৌঁছন জিমি ৷

নয়াদিল্লি থেকে প্রায় ঘণ্টাখানেকের দূরত্বে অবস্থিত ছোট এই গ্রামে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর হয়ে ওঠে সেই সময়ের চর্চার বিষয়ে ৷ সকলেই প্রশ্ন করেন কেন এই গ্রামে এলেন কার্টার? আসলে এই গ্রামের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল জিমির ৷ 1960-এর দশকের শেষের দিকে প্রত্যন্ত এই গ্রামে 'পিস কর্পস'-এর হয়ে স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বেশ কিছুদিন কাজ করেছিলেন জিমি কার্টারের মা লিলিয়ান ৷ আর সেই সূত্র ধরেই ভারত সফরে এসে ওই গ্রামে গিয়েছিলেন 39 তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৷

পরে 'কার্টার সেন্টার'-এর তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় ৷ ওই বিবৃতি অনুযায়ী, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি এলাকাবাসীর মন জয় করে নেয় ৷ মিষ্টভাষী প্রেসিডেন্টের আচারণ ও ব্যবহারে খুশি হয়ে গ্রামের নাম পরিবর্তন করে 'কার্টারপুর' রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এলাকার মানুষজন ৷ অল্প সময়ের সফরে খুশি হন খোদ প্রেসিডেন্ট কার্টারও ৷ সেই কারণে, প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত এই গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন তিনি ৷ 2002 সালে তাঁর নোবেল শান্তি পুরষ্কার পাওয়ার আনন্দে মেতে উঠেছিল 'কার্টারপুর' গ্রাম ৷ আজও 3 জানুয়ারি সেই গ্রামে ছুটি পালন করা হয় ৷

পড়ুন: প্রয়াত নোবেলজয়ী প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার

নয়াদিল্লি, 30 ডিসেম্বর: প্রয়াত নোবেলজয়ী প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ৷ একশো বছর বয়সে জর্জিয়ার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমেরিকার সবচেয়ে বেশি বয়সি এই প্রেসিডেন্ট ৷ শান্ত ও নম্র স্বভাবের এই রাষ্ট্রনেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বিশ্ব ৷ দীর্ঘদিনের 'বন্ধু'কে হারিয়ে শোকাহত বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷ পুরনো দিনের কথা মনে করে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেছেন তিনি ৷

বিশ্ব দরবারে আমেরিকার উন্নতিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেন জিমি কার্টার ৷ প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বরাবর ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখেন তিনি ৷ 1977 সালে জরুরি অবস্থার অবসান ও জনতা পার্টির জয়ের পর প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারত সফরে আসেন তিনি ৷ বক্তব্য রাখেন ভারতের সংসদ ভবনে ৷ অবশ্য, রাজনীতি ছাড়াও ভারতের সঙ্গে গভীর যোগ ছিল প্রাক্তন এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের ৷ এমনকী, তাঁর নামেই নামকরণ করা হয় হরিয়ানার আস্ত একটি গ্রামের ! গ্রামটির নাম 'কার্টারপুর' ৷

কবে এবং কীভাবে বদলে গেল গ্রামের নাম ?

ভারতীয় সংসদ ভবনে 1978 সালের 2 জানুয়ারি বক্তব্য রাখার একদিন পর 3 জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের সঙ্গে দিল্লি চুক্তি সাক্ষর করেন জিমি কার্টার ৷ 'কার্টার সেন্টার'-এর তথ্য অনুযায়ী, এরপরই মার্কিন ফার্স্ট লেডি রোসালিন কার্টারের সঙ্গে হরিয়ানার গুরগাঁওয়ের (বর্তমানে যা গুরুগ্রাম) দৌলতপুর নাসিরাবাদ গ্রামে পৌঁছন জিমি ৷

নয়াদিল্লি থেকে প্রায় ঘণ্টাখানেকের দূরত্বে অবস্থিত ছোট এই গ্রামে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর হয়ে ওঠে সেই সময়ের চর্চার বিষয়ে ৷ সকলেই প্রশ্ন করেন কেন এই গ্রামে এলেন কার্টার? আসলে এই গ্রামের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল জিমির ৷ 1960-এর দশকের শেষের দিকে প্রত্যন্ত এই গ্রামে 'পিস কর্পস'-এর হয়ে স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বেশ কিছুদিন কাজ করেছিলেন জিমি কার্টারের মা লিলিয়ান ৷ আর সেই সূত্র ধরেই ভারত সফরে এসে ওই গ্রামে গিয়েছিলেন 39 তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৷

পরে 'কার্টার সেন্টার'-এর তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় ৷ ওই বিবৃতি অনুযায়ী, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি এলাকাবাসীর মন জয় করে নেয় ৷ মিষ্টভাষী প্রেসিডেন্টের আচারণ ও ব্যবহারে খুশি হয়ে গ্রামের নাম পরিবর্তন করে 'কার্টারপুর' রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এলাকার মানুষজন ৷ অল্প সময়ের সফরে খুশি হন খোদ প্রেসিডেন্ট কার্টারও ৷ সেই কারণে, প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত এই গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন তিনি ৷ 2002 সালে তাঁর নোবেল শান্তি পুরষ্কার পাওয়ার আনন্দে মেতে উঠেছিল 'কার্টারপুর' গ্রাম ৷ আজও 3 জানুয়ারি সেই গ্রামে ছুটি পালন করা হয় ৷

পড়ুন: প্রয়াত নোবেলজয়ী প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.