মালদা, 2 জানুয়ারি: বৃহস্পতিবার সকালে মালদায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু জেলা তৃণমূলের সহসভাপতি দুলাল সরকারের। ঝলঝলিয়া মাতাল মোড়ে দু'টি মোটরবাইকে চার দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বলে অভিযোগ। একটি গুলি লাগে তৃণমূল নেতার মাথার পিছন দিকে। এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দুষ্কৃতীরা তৃণমূল নেতাকে তাড়া করে একটি দোকানের ভিতরে ঢুকিয়ে গুলি চালিয়েছে ৷
তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় ৷ ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে, নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশেই গুলি চালানো হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকাল 10টা নাগাদ নিজের অফিস থেকে প্লাইউডের কারখানার দিকে যাচ্ছিলেন দুলাল সরকার। সেই সময় দু'টি মোটরবাইকে চারজন দুষ্কৃতী মুখ ঢাকা অবস্থায় পিছন থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। তৃণমূল নেতার মাথায় একাধিক গুলির আঘাত লেগেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্য়ালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে মালদা মেডিক্য়ালে ছুটে আসেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং দলীয় ও বিরোধী কাউন্সিলররা। হাসপাতাল থেকে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে, তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম ও গৌতম দেব এখানে আসছেন ৷
চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, "চাঁচল থেকে ফিরছিলাম। রাস্তাতেই খবর পাই বাবলা (দুলাল) সরকারকে গুলি করা হয়েছে। দু'টি মোটরবাইকে চারজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে পিছন থেকে গুলি চালায়। তাঁর তিন-চারটে গুলি লেগেছে। এমন ঘটনায় আমাদের মতো জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।"