আগ্রা, 12 অগস্ট: সিনিয়রের কথায় গাড়িতে উঠতে চাননি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই ছাত্রী ৷ জুনিয়র ছাত্রীকে জোর করে গাড়িতে তুলে হাত, পা-বেঁধে ধর্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সিনিয়র ছাত্র ৷ ডক্টর ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই ছাত্রীকে তারপর অর্ধনগ্ন অবস্থায় গাড়ি থেকে রাস্তায় ফেলে দেয় অভিযুক্ত ৷ ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের ৷
শনিবার সিকান্দ্রা এলাকার রাস্তায় ওই ছাত্রীকে জোর করে তোলা হয় ৷ এরপর তাঁকে হাত ধরে টেনে জোর করে গাড়িতে তোলে ৷ তারপরই এই জঘন্য ঘটনা ঘটায় অভিযুক্ত শিবংশ শর্মা ৷ বর্তমানে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী লখনউয়ের বাসিন্দা ৷ তিনি ডক্টর ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং-এর চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী ৷ শনিবার সন্ধ্যায় তিনি কার্গিল মোড়ের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর সিনিয়র শিবংশ গাড়িতে করে আসে ৷ তিনি উঠতে না-চাইলে অস্বীকার জোর করে তার হাত ধরে টেনে নেয়। হাত-পা বেঁধে রাখে ও ধর্ষণ করে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ছাত্রী অভিযোগ করেছে, তিনি চিৎকার করলে ওই গাড়ি জানালা বন্ধ করে উচ্চস্বরে মিউজিক সিস্টেম চালু করে দেয় শিবংস। ধর্ষণের পর অর্ধনগ্ন অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দেয়। তারপর সে পালিয়ে যায়। রাস্তা থেকে কোনওরকমে বাড়িতে পৌঁছয় নির্যাতিতা ৷ ঘটনার পরের দিন রবিবার নির্যাতিতা সিকান্দ্রা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সিকান্দ্রা থানার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নীরজ শর্মা জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে ৷
নির্যাতিতা দাবি করেছেন, অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। সে যেভাবে আমার জীবন নষ্ট করেছে, তার জীবনও সেভাবে নষ্ট হোক। আমি নিজেই ওকে শাস্তি দিতে চাই।