নয়াদিল্লি, 23 মার্চ: লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই সারা দেশে লাগু হয়ে গিয়েছে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বা আদর্শ আচরণবিধি ৷ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগে পর্যন্ত দেশজুড়ে বলবৎ থাকবে এই মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট ৷ প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে অবশ্যই আদর্শ আচরণবিধির নির্দেশিকাগুলি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে ৷ তারপরে এবার উৎসব পালনের ক্ষেত্রেও নির্দেশিকা দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৷
এদিন নির্বাচন কমিশনের তরফে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যে নির্বাচন চলাকালীন সরকারি খরচে কোনও উৎসব পালন করা যাবে না । এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন হলে তা আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির বিরূপ কাজ হবে ।
কবি সম্মেলন কিংবা অন্য কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই । তবে এই মঞ্চ থেকে কোনওরকম রাজনৈতিক বক্তব্য রাখা যাবে না । সদ্ভাবনা দিবস এবং গান্ধি জয়ন্তী পালনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন ৷ কিন্তু শুধুমাত্র দেশের একতার কথা ছাড়া এই মন্ত্র থেকে কোনওরকম রাজনৈতিক বক্তব্য রাখা যাবে না ।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সরকারি খরচে কোনও ইফতার পার্টির আয়োজন করা যাবে না । তবে কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে নিজের বাড়ি কিংবা বাড়ির পরিসরে কোনও ইফতার পার্টি রাখতে চান, সে বিষয়ে কোনও বাধা নেই ।
যে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় নেতা বা মন্ত্রীরা স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করতে পারবেন । তবে সেক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে, শুধুমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রশস্তি গাঁথা ছাড়া অন্য কোনও রকম বক্তব্য যা ভোটারদের প্রভাবিত করবে, তা রাখা যাবে না । নজরে রাখতে হবে যে এই অনুষ্ঠান কোনও রকম রাজনৈতিক দলের প্রচার করার মঞ্চ নয় । যদিও প্রজাতন্ত্র দিবস ইতিমধ্যে পেরিয়ে গিয়েছে ৷ স্বাধীনতা দিবসের দু’মাস আগেই নতুন সরকার পেয়ে যাবে দেশ ৷
সব রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের উদ্দেশে জারি করা এক নির্দেশিকায় কমিশন জানিয়েছে, কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সরকারি অর্থ খরচ করা উচিৎ নয় । বিশেষ করে এই মুহূর্তে দেশে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ রয়েছে । তবে কোনও ব্যক্তির উদ্যোগে ও তাঁর ব্যক্তিগত খরচে অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনও বাধা নেই ।
আরও পড়ুন: