ETV Bharat / bharat

ক্রমশ দুর্বল হয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অস্তিত্ব হারাবে ঘূর্ণিঝড় দানা

দিল্লির মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই মুহূর্তে উত্তর ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়টি সাধারণ নিম্নচাপ অঞ্চল রূপে অবস্থান করছে ৷ শক্তি হারাচ্ছে দানা ৷

CYCLONE DANA UPDATE
ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 26, 2024, 12:28 PM IST

ভুবনেশ্বর, 26 অক্টোবর: শক্তি হারিয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা ৷ শনিবার এমনটা জানাল দিল্লির মৌসম ভবন ৷ আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই মুহূর্তে উত্তর ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়টি সাধারণ নিম্নচাপ অঞ্চল রূপে অবস্থান করছে ৷ ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কিছুক্ষণের মধ্যে মিলিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস ৷

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভুবনেশ্বরের কেন্দ্রপাড়া জেলার ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যানের কাছে ঘূর্ণিঝড় দানা আছড়ে পড়ে ৷ শুক্রবার সকাল 10টা পর্যন্ত চলে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া ৷ এরপর ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে থাকে ঘূর্ণিঝড়টি ৷ প্রতি ঘণ্টায় 100 থেকে 110 কিলোমিটার গতিবেগে বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া ৷

ওড়িশার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বেশ কয়েকটি গাছ উপড়ে পড়ে, বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং চাষের জমিরও বিপুল ক্ষতি হয় ৷ যদিও কোন প্রাণহানী হয়নি দাবি ওড়িশা সরকারের ৷ তবে পশ্চিমবঙ্গে দু'জন মারা গিয়েছেন বলে খবর ৷

শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠক করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি ৷ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তিনি বলেন, "আর কোনও ভয় নেই ৷ ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে সকলে একসঙ্গে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েন ৷ সেই কারণে, একটিও প্রাণ হারাতে হয়নি ৷ এখনও পর্যন্ত বহু ত্রাণ শিবির খোলা রয়েছে ৷ বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়ার কাজ চলছে ৷"

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় নয় ৷ বরং একটানা বৃষ্টির কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে বেশ কিছু নিচু এলাকায় ৷ প্রায় 1 লক্ষ 75 হাজার হেক্টর চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মাঝি ৷ তবে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশাবাদী ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই সঙ্গে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই দুর্যোগ মোকাবিলা করায় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ৷

উল্লেখ্য়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থেকে বাঁচতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রায় 8 লক্ষ মানুষকে নীচু এলাকা থেকে সরিয়ে নিরাপদে আশ্রয় দেওয়া হয় সরকারের তরফে ৷ এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রায় 4 হাজার 431 জন প্রসূতি মহিলাকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তাঁদের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন সুস্থ শিশুর জন্মও দেন বলে জানানা খোদ মুখ্যমন্ত্রী ৷

পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে কোনও প্রাণহানি হয়নি, জন্ম 1600 শিশুর; জনালেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী

ভুবনেশ্বর, 26 অক্টোবর: শক্তি হারিয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা ৷ শনিবার এমনটা জানাল দিল্লির মৌসম ভবন ৷ আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই মুহূর্তে উত্তর ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়টি সাধারণ নিম্নচাপ অঞ্চল রূপে অবস্থান করছে ৷ ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কিছুক্ষণের মধ্যে মিলিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস ৷

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভুবনেশ্বরের কেন্দ্রপাড়া জেলার ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যানের কাছে ঘূর্ণিঝড় দানা আছড়ে পড়ে ৷ শুক্রবার সকাল 10টা পর্যন্ত চলে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া ৷ এরপর ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে থাকে ঘূর্ণিঝড়টি ৷ প্রতি ঘণ্টায় 100 থেকে 110 কিলোমিটার গতিবেগে বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া ৷

ওড়িশার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বেশ কয়েকটি গাছ উপড়ে পড়ে, বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং চাষের জমিরও বিপুল ক্ষতি হয় ৷ যদিও কোন প্রাণহানী হয়নি দাবি ওড়িশা সরকারের ৷ তবে পশ্চিমবঙ্গে দু'জন মারা গিয়েছেন বলে খবর ৷

শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠক করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি ৷ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তিনি বলেন, "আর কোনও ভয় নেই ৷ ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে সকলে একসঙ্গে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েন ৷ সেই কারণে, একটিও প্রাণ হারাতে হয়নি ৷ এখনও পর্যন্ত বহু ত্রাণ শিবির খোলা রয়েছে ৷ বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়ার কাজ চলছে ৷"

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় নয় ৷ বরং একটানা বৃষ্টির কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে বেশ কিছু নিচু এলাকায় ৷ প্রায় 1 লক্ষ 75 হাজার হেক্টর চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মাঝি ৷ তবে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশাবাদী ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই সঙ্গে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই দুর্যোগ মোকাবিলা করায় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ৷

উল্লেখ্য়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থেকে বাঁচতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রায় 8 লক্ষ মানুষকে নীচু এলাকা থেকে সরিয়ে নিরাপদে আশ্রয় দেওয়া হয় সরকারের তরফে ৷ এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রায় 4 হাজার 431 জন প্রসূতি মহিলাকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তাঁদের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন সুস্থ শিশুর জন্মও দেন বলে জানানা খোদ মুখ্যমন্ত্রী ৷

পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে কোনও প্রাণহানি হয়নি, জন্ম 1600 শিশুর; জনালেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.