নয়াদিল্লি, 30 মার্চ: রবিবার দিল্লিতে 'ইন্ডিয়া' জোটের মহামিছিল ৷ মিছিলকে ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে ৷ তবে মিছিলের একদিন আগেই কিছুটা চাপে বিরোধী শিবির ৷ আগে জানানো হয়েছিল, রবিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে নামছে 'ইন্ডিয়া' জোট ৷ শনিবার সেই দাবি থেকে সরে এসে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রতিবাদ কোনও ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য নয় ৷ বিরোধী জোটের নেতারা 'সংবিধান বাঁচাও' এই বক্তব্যকে সামনে রেখেই বিজেপির বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে শক্তি প্রদর্শন করবেন ৷
17 মার্চ মুম্বইতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির 'ভারত জোড়ো ন্যায়' যাত্রার সমাপ্তি হয় ৷ সেই সমাবেশে একত্রিত হয়ে শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন 'ইন্ডিয়া' জোটের নেতারা ৷ এরপর রবিবার মহামিছিলের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার এই ধরনের শক্তি প্রদর্শন করতে চলেছে বিরোধী শিবির। 31 মার্চের 'ইন্ডিয়া' জোটের মহামিছিলকে আপের তরফে আবগারি কেলেঙ্কারিকাণ্ডে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে ৷ তবে সমাবেশের একদিন আগে কংগ্রেস সেই দাবিকে ছাপিয়ে মহামিছিলকে বিরোধী ঐক্য শো হিসাবে তুলে ধরতে চাইল ৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বলেন, "আগামিকালের (রবিবার) মিছিল একজন ব্যক্তির সঙ্গে সংযুক্ত নয় ।'সংবিধান বাঁচাও' সমাবেশ । এটি কোনও একটি বিশেষ দলের নয়, 'ইন্ডিয়া' জোটের সমাবেশ । এই মিছিলে 27-28টি দল অংশ নেবে । এটি কোনও এক ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য নয়, ভারতের সংবিধানকে রক্ষা করার সমাবেশ। এই মিছিলের চারটি মূল বিষয় রয়েছে, মূল্যবৃদ্ধি ও ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক বৈষম্য, নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতি, বিরোধী নেতাদের লক্ষ্য করে কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার এবং সংবিধানের মূল ভাব রক্ষা । বিজেপি বলেছে যে বর্তমানের সংবিধান তার উদ্দেশ্য পূরণ করেছে এবং তাই এটি এবার পরিবর্তন করার প্রয়োজন রয়েছে ৷"
দিল্লির কংগ্রেস নেতা দীপক বাবরিয়া ইটিভি ভারতকে বলেছেন, "কেন্দ্রের অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে শক্তি প্রদর্শনের সময় এসেছে। আমরা সম্মিলিতভাবে দিল্লি থেকে একটি বার্তা দেব । অবশ্যই কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদের অন্যতম ইস্যু ৷ তবে এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি ইস্যুও রয়েছে ৷ আমাদের দিল্লিতে আপের সঙ্গে জোট আছে কিন্তু পঞ্জাবে নেই । পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গেও আমাদের জোট নেই। তবে তারাও সমাবেশে যোগ দেবে ৷"
দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অরবিন্দর সিং লাভলি বলেছেন, "আমরা দিল্লির জনগণকে বিপুল সংখ্যায় সমাবেশস্থলে আসার আহ্বান জানাই । বিজেপি অগণতান্ত্রিক উপায় অবলম্বন করছে। আমাদের এর বিরোধিতা করতে হবে । অন্য দলগুলিও এই সমাবেশের জন্য সমর্থন জোগাড় করছে ৷" কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি, এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব, আরজেডি'র তেজস্বী যাদব, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লাহ, পিডিপি'র মেহবুবা মুফতি, ডিএমকে'র তিরুচি শিবা, তৃণমূলের ডেরেক ও'ব্রায়েন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন এবং সিপিআইএমএল নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য রামলীলা ময়দানে আয়োজিত রবিবারের সমাবেশে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন: