নয়াদিল্লি, 15 সেপ্টেম্বর: এক ভাড়াটের হাতে খুন অন্য দুই ভাড়াটে ৷ তাঁরা দু'জন সম্পর্কে ভাই ৷ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির গীতা কলোনি এলাকায় ৷ মৃতরা স্থানীয় রানি গার্ডেন অঞ্চলের বাসিন্দা শাহিদ ওরফে আশু (20) এবং ইরশাদ ৷ এই জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশ বাড়ির আরেক ভাড়াটে মুন্নার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ৷ কী কারণে এই খুন, তার কারণ তদন্ত করে দেখছে ৷ মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলের কাছে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে ৷ ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ৷
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, শহিদ ও ইরশাদ- দুই ভাইকে খুন করেছে মুন্না এবং তাঁর দুই ছেলে ৷ একটি ঘর খালি করা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বিতর্ক চলছিল ৷ সেই বিবাদ থেকেই গুলি চলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশের অনুমান, আগে দাদা ইরশাদকে খুন করা হয়। পরে ভাই শাহিদকে নিশানা করা হয়। যদিও ঘটনাচক্রে শাহিদের মৃত্যুর কথা আগে জানা যায়। পরে পরিবার এবং স্থানীয়রা জানতে পারেন ইরশাদকেও প্রাণে মেরে ফেলা হয়েছে।
শাহিদ তাঁর দোকানে হোয়াইটওয়াশ করছিলেন ৷ সেই সময় তাঁকে গুলি করা হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ স্থানীয়রা তাঁকে লোক নায়ক হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ স্বভাবতই ছেলের খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত বাবা-মা সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বড় ছেলে ইরশাদকে ফোন করেন ৷ বারবার ফোন করা সত্ত্বেও তাঁর ফোনে কোনও সাড়া পাওয়া যায় না ৷ পরিবারের সদস্যরা ইরশাদের খোঁজ করতে থাকে ৷ বেশ কয়েক ঘণ্টা পর সবাই ইরশাদের ঘরে যায় ৷ সেখানে ঘরটি তালা লাগানো অবস্থায় দেখা যায় ৷
ইরশাদের ঘরে বাইরে থেকে তালা লাগানো দেখে সবার সন্দেহ হয় ৷ তাই দরজা ভাঙেন পরিবারের সদস্যরা ৷ দরজা ভাঙতেই ঘরের ভিতর ইরশাদের গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মুন্না, শহিদ ও ইরশাদ একই বাড়িতে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকে ৷ সম্প্রতি একটি ঘর খালি করা নিয়ে মুন্নার সঙ্গে বাড়িওলার ঝামেলা বাধে ৷ এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে মুন্নার ছেলে চন্দ এবং ইমরান প্রথমে ইরশাদের ঘরে ঢুকেছিল এবং তাঁকে গুলি করে হত্যা করে ৷ পরে তাঁর ভাই ইরশাদকেও গুলি করে খুন করা হয় ৷"