নয়াদিল্লি, 2 ফেব্রুয়ারি: চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে দিল্লিতে বিজেপি সদর দফতরের বাইরে আম আদমি পার্টির বিক্ষোভ হয় শুক্রবার । দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এই বিক্ষোভে অংশ নেন ৷
এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রাজধানী দিল্লির রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে ৷ সেই কারণে বিজেপি ও আম আদমি পার্টি বা আপের কার্যালয়ের বাইরে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে ৷ দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি আধা-সেনার জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে দুই জায়গায় ৷
আপের অভিযোগ, চণ্ডীগড়ে কারচুপি করে মেয়র নির্বাচনে জিতেছে বিজেপি । দিল্লিতে আপের রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি পঙ্কজ গুপ্তা বলেন, "আমরা সবাই দেখেছি যে কেন্দ্রের মোদি সরকার কিভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায় ৷ চণ্ডীগড় নির্বাচনে আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেস জোট জিতেছিল ৷ কিন্তু শেষ মুহূর্তে এই লোকেরা কারচুপি করেছে, যা দেশের মানুষ দেখেছে । বিজেপি দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায় ।"
আম আদমি পার্টির অন্য এক নেতা বরুণ রাজ সিং বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের নেতৃত্বে সারা দেশ থেকে আম আদমি পার্টির সমস্ত কর্মী এখানে এসেছেন ৷ আমাদের কর্মীদের থামাতে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল । বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায় । আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি । আমাদের দাবি, বিজেপি কারচুপি করা বন্ধ কর, গণতন্ত্র হত্যা বন্ধ কর ।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, জনসাধারণ সঙ্গে নিয়ে আম আদমি পার্টি রাজনীতি করে ৷ মাটির সঙ্গে সরাসরি যোগ আছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের৷ আর বিজেপি শুধু গুন্ডামি করছে ৷
উল্লেখ্য, চণ্ডীগড়ে মেয়র নির্বাচনের জন্য 36টি ভোট ছিল ৷ বিজেপি 16-12 ফলাফলে জিতে যায় ৷ মেয়র হন মনোজ সোনকর ৷ আপ ও কংগ্রেস জোট করে মেয়র নির্বাচনে নেমেছিল ৷ তাদের কাছে 20টি ভোট ছিল ৷ হিসেব মতো তাদের জেতার কথা ৷ কিন্তু তাদের আটটি ভোট বাতিল হয়ে যাওয়ায় তারা হেরে যায় ৷ এই নিয়েই আপ ও কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে কারচুপি করার অভিযোগ ওঠে ৷
আরও পড়ুন: