ETV Bharat / sukhibhava

পুদিনা পাতার অশেষ গুণাগুণ

পুদিনা (মিন্ট) পাতা মানুষের পরিচিত সেই প্রাচীনতম গাছগাছড়া, যা রান্নায় ব্যবহৃত হয় । তবে এর অসাধারণ ঔষধি গুণাগুণও আছে এবং এটি পলিফেনলেরও গুরুত্বপূর্ণ উৎস । তাছাড়া এর বায়ুনাশকারী এবং অ্যান্টি স্প্যাজমোডিক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে ।

পুদিনা পাতার অশেষ গুণাগুণ
পুদিনা পাতার অশেষ গুণাগুণ
author img

By

Published : Mar 1, 2021, 12:54 PM IST

আরব্রো ফার্মার ডিরেক্টর সৌরভ অরোরা জানিয়েছেন, “পুদিনা পাতা মিন্টের ক্যালোরি খুব কম, প্রোটিন আর ফ্যাটের পরিমাণও খুব কম । তবে এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং বি–কমপ্লেক্স আছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে এবং ইমিউনিটিও বাড়ায় । পুদিনা পাতার আরও একটি পুষ্টিগুণ হল এটিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ আছে, যা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের ক্রিয়ার বিকাশ ঘটায় ।

পুদিনা পাতার দশটি গুণাগুণ বর্ণনা করা হল, যা সকলেরই জানা দরকার :

  • হজমে সাহায্য করে – পুদিনা পাতায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে, মেন্থল আর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে, যা উৎসেচকগুলিকে সাহায্য করে খাবার হজম করতে । পুদিনা পাতায় থাকা এসেনশিয়াল অয়েলের শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণাগুণ রয়েছে, যা পেটের ক্র‌্যাম্পকে উপশম করতে এবং অ্যাসিডিটি ও পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে ।
  • অ্যাস্থমা সারায়– নিয়মিত পুদিনা পাতা সেবন করলে বুকে জমা সর্দি দূর হয় । মিন্টের মেথানল ‘ডিকনজেসট্যান্ট’ হিসাবে কাজ করে, যা ফুসফুসে জমা হওয়া মিউকাসকে নরম করতে সাহায্য করে এবং পাশাপাশি নাকের ফুলে ওঠা মেমব্রেনগুলিকেও সংকুচিত করে দেয়, যাতে সহজে শ্বাস নেওয়া যেতে পারে । পুদিনা সেবনের আগে নিশ্চিতভাবে খেয়াল রাখবেন যেন কখনওই এটা ওভারডোজ় না হয় । কারণ তা হলে কিন্তু নাকের এয়ার প্যাসেজের সমস্যা দেখা দেবে ।
  • মাথাব্যথার উপশম করে– পুদিনায় মেন্থল রয়েছে, যা মাংসপেশীকে বিশ্রাম করতে সাহায্য করে এবং ব্যথারও উপশম করে । কপালে এবং মাথার ‘টেম্পল’ অংশে পুদিনা পাতার রস লাগালে মাথাব্যথা কমে । তাছাড়াও পুদিনা দিয়ে তৈরি বাম বা পুদিনা তেল মাথাব্যথা সারাতে কার্যকরী ।
  • মানসিক চাপ ও অবসাদ কমায়– পুদিনার অন্যতম উপকারিতা হল এটি অ্যারোমাথেরাপি বা গন্ধ চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত হয় । পুদিনা তথা মিন্টের কড়া অথচ সজীব গন্ধ মানসিক চাপ কমাতে এবং শরীর ও মনকে তরতাজা করতে সাহায্য করে । পুদিনার ‘অ্যাপপটোজেনিক’ গুণাগুণ রক্তে কর্টিসলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে । এই বিষয়টিই স্ট্রেস তথা মানসিক চাপ কমানোর শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া । পুদিনা এসেনশিয়াল অয়েলের ঘ্রাণ নিলে সঙ্গে সঙ্গে রক্তে সিরোটোনিন নিঃসৃত হয়, যা একটি নিউরোট্রান্সমিটার এবং এটি মানসিক চাপ ও অবসাদ হ্রাস করতে সুপরিচিত ।
  • ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল করে– পুদিনা পাতার প্রদাহনিরোধক এবং অ্যান্টি–ব্যাকটিরিয়াল গুণাগুণ রয়েছে যা ব্রণ, পিম্পল সারাতে কাজে লাগে । পুদিনা পাতায় প্রচুর পরিমাণে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড আছে, যা ব্রণ দূর করে । তাছাড়া এটি ত্বক পরিস্কার করতেও ভাল কাজে আসে । পুদিনার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণও রয়েছে যা শরীর থেকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল দূর করে ত্বককে পরিষ্কার এবং তরুণ বানাতে সাহায্য করে । আর যেভাবে পুদিনা পাতা ত্বককে স্বাস্থ্যবান করে তোলে , তা হল এটি ত্বকের আর্দ্রতা দরে রাখে, মরা কোষ পরিষ্কার করে দেয় এবং ত্বক থেকে ময়লাও দূর করে দেয় । ফলে ত্বক টোনড এবং উজ্জ্বল লাগে ।
  • মুখের যত্ন– পুদিনা পাতা চিবোলে মুখের স্বাস্থ্য ভাল হয়, দাঁতও ভাল থাকে । পুদিনায় এসেনশিয়াল অয়েল রয়েছে, যা খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় । তাছাড়াও যে মাউথওয়াশে পেপারমেন্ট অয়েল থাকে, তা মুখের ব্যাকটিরিয়া দূর করতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকর মাড়ি ও দাঁত হয় ।
  • মেমরি বাড়ায়– সমীক্ষা অনুসারে, পুদিনা পাতা সেবনে স্মৃতিশক্তির বিকাশ হয় এবং মস্তিষ্কে জ্ঞানভিত্তিক ক্রিয়া করতে সাহায্য করে । পুদিনা পাতা রোজ সেবন করলে মস্তিষ্কের কাজ করার শক্তি বাড়ে, তৎপরতা বাড়ে, স্মৃতিশক্তির উন্নতি হয় এবং অন্যান্য জ্ঞানভিত্তিক ক্রিয়ারও বিকাশ হয় ।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে– অ্যারোম্যাটিক হার্ব অর্থাৎ গন্ধযুক্ত গাছগাছড়া, পুদিনা ওজন কমাতেও সাহায্য করে । পুদিনায় থাকা এসেনশিয়াল অয়েল পাচনকারী উৎসেকচকগুলিকে উদ্দীপ্ত করে যাতে ‘বাইল’–এর প্রবাহ বাড়ে এবং হজমশক্তি ভাল হয় । এটি খাবার থেকে সক্রিয়ভাবে পুষ্টিগুণ শোষণেও সাহায্য করে । যখন শরীর পুষ্টি শোষণ এবং আত্তীকরণে সক্ষম হয়, তখন বিপাকের হার বাড়ে । বিপাক বাড়লে ওজন হ্রাস পায় ।
  • সাধারণ সর্দি-কাশি সারায়– যদি কেউ সর্দি-কাশিতে ভোগেন এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, তাহলে তাদের জন্য পুদিনা পাতা হল সেরা রেমেডি । বেশিরভাগ ভেপার রাব এবং ইনহেলারেই মিন্ট থাকে । মিন্ট প্রাকৃতিকভাবে গলা এবং নাকে জমে থাকা সর্দি দূর করে, ব্রঙ্কাইটিস সারায় এবং ফুসফুসে জমে থাকা সর্দি দূর করে । রেসপিরেটরি চ্যানেলগুলি ছাড়াও মিন্ট বার বার কাশির সমস্যাকেও দূর করে ।
  • বমিভাব উপসর্গ কমিয়ে দেয়– পুদিনা বমি বমি ভাব লাঘব করতে খুব সক্রিয়। তাই প্রায়ই একে মর্নিং সিকনেসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় । পুদিনার কয়েকটা পাতা খেয়ে নেওয়া বা সকালে গন্ধ শোঁকাও অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাদের বমি বমি ভাবের সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে ।

আরব্রো ফার্মার ডিরেক্টর সৌরভ অরোরা জানিয়েছেন, “পুদিনা পাতা মিন্টের ক্যালোরি খুব কম, প্রোটিন আর ফ্যাটের পরিমাণও খুব কম । তবে এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং বি–কমপ্লেক্স আছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে এবং ইমিউনিটিও বাড়ায় । পুদিনা পাতার আরও একটি পুষ্টিগুণ হল এটিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ আছে, যা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের ক্রিয়ার বিকাশ ঘটায় ।

পুদিনা পাতার দশটি গুণাগুণ বর্ণনা করা হল, যা সকলেরই জানা দরকার :

  • হজমে সাহায্য করে – পুদিনা পাতায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে, মেন্থল আর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে, যা উৎসেচকগুলিকে সাহায্য করে খাবার হজম করতে । পুদিনা পাতায় থাকা এসেনশিয়াল অয়েলের শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণাগুণ রয়েছে, যা পেটের ক্র‌্যাম্পকে উপশম করতে এবং অ্যাসিডিটি ও পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে ।
  • অ্যাস্থমা সারায়– নিয়মিত পুদিনা পাতা সেবন করলে বুকে জমা সর্দি দূর হয় । মিন্টের মেথানল ‘ডিকনজেসট্যান্ট’ হিসাবে কাজ করে, যা ফুসফুসে জমা হওয়া মিউকাসকে নরম করতে সাহায্য করে এবং পাশাপাশি নাকের ফুলে ওঠা মেমব্রেনগুলিকেও সংকুচিত করে দেয়, যাতে সহজে শ্বাস নেওয়া যেতে পারে । পুদিনা সেবনের আগে নিশ্চিতভাবে খেয়াল রাখবেন যেন কখনওই এটা ওভারডোজ় না হয় । কারণ তা হলে কিন্তু নাকের এয়ার প্যাসেজের সমস্যা দেখা দেবে ।
  • মাথাব্যথার উপশম করে– পুদিনায় মেন্থল রয়েছে, যা মাংসপেশীকে বিশ্রাম করতে সাহায্য করে এবং ব্যথারও উপশম করে । কপালে এবং মাথার ‘টেম্পল’ অংশে পুদিনা পাতার রস লাগালে মাথাব্যথা কমে । তাছাড়াও পুদিনা দিয়ে তৈরি বাম বা পুদিনা তেল মাথাব্যথা সারাতে কার্যকরী ।
  • মানসিক চাপ ও অবসাদ কমায়– পুদিনার অন্যতম উপকারিতা হল এটি অ্যারোমাথেরাপি বা গন্ধ চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত হয় । পুদিনা তথা মিন্টের কড়া অথচ সজীব গন্ধ মানসিক চাপ কমাতে এবং শরীর ও মনকে তরতাজা করতে সাহায্য করে । পুদিনার ‘অ্যাপপটোজেনিক’ গুণাগুণ রক্তে কর্টিসলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে । এই বিষয়টিই স্ট্রেস তথা মানসিক চাপ কমানোর শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া । পুদিনা এসেনশিয়াল অয়েলের ঘ্রাণ নিলে সঙ্গে সঙ্গে রক্তে সিরোটোনিন নিঃসৃত হয়, যা একটি নিউরোট্রান্সমিটার এবং এটি মানসিক চাপ ও অবসাদ হ্রাস করতে সুপরিচিত ।
  • ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল করে– পুদিনা পাতার প্রদাহনিরোধক এবং অ্যান্টি–ব্যাকটিরিয়াল গুণাগুণ রয়েছে যা ব্রণ, পিম্পল সারাতে কাজে লাগে । পুদিনা পাতায় প্রচুর পরিমাণে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড আছে, যা ব্রণ দূর করে । তাছাড়া এটি ত্বক পরিস্কার করতেও ভাল কাজে আসে । পুদিনার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণও রয়েছে যা শরীর থেকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল দূর করে ত্বককে পরিষ্কার এবং তরুণ বানাতে সাহায্য করে । আর যেভাবে পুদিনা পাতা ত্বককে স্বাস্থ্যবান করে তোলে , তা হল এটি ত্বকের আর্দ্রতা দরে রাখে, মরা কোষ পরিষ্কার করে দেয় এবং ত্বক থেকে ময়লাও দূর করে দেয় । ফলে ত্বক টোনড এবং উজ্জ্বল লাগে ।
  • মুখের যত্ন– পুদিনা পাতা চিবোলে মুখের স্বাস্থ্য ভাল হয়, দাঁতও ভাল থাকে । পুদিনায় এসেনশিয়াল অয়েল রয়েছে, যা খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় । তাছাড়াও যে মাউথওয়াশে পেপারমেন্ট অয়েল থাকে, তা মুখের ব্যাকটিরিয়া দূর করতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকর মাড়ি ও দাঁত হয় ।
  • মেমরি বাড়ায়– সমীক্ষা অনুসারে, পুদিনা পাতা সেবনে স্মৃতিশক্তির বিকাশ হয় এবং মস্তিষ্কে জ্ঞানভিত্তিক ক্রিয়া করতে সাহায্য করে । পুদিনা পাতা রোজ সেবন করলে মস্তিষ্কের কাজ করার শক্তি বাড়ে, তৎপরতা বাড়ে, স্মৃতিশক্তির উন্নতি হয় এবং অন্যান্য জ্ঞানভিত্তিক ক্রিয়ারও বিকাশ হয় ।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে– অ্যারোম্যাটিক হার্ব অর্থাৎ গন্ধযুক্ত গাছগাছড়া, পুদিনা ওজন কমাতেও সাহায্য করে । পুদিনায় থাকা এসেনশিয়াল অয়েল পাচনকারী উৎসেকচকগুলিকে উদ্দীপ্ত করে যাতে ‘বাইল’–এর প্রবাহ বাড়ে এবং হজমশক্তি ভাল হয় । এটি খাবার থেকে সক্রিয়ভাবে পুষ্টিগুণ শোষণেও সাহায্য করে । যখন শরীর পুষ্টি শোষণ এবং আত্তীকরণে সক্ষম হয়, তখন বিপাকের হার বাড়ে । বিপাক বাড়লে ওজন হ্রাস পায় ।
  • সাধারণ সর্দি-কাশি সারায়– যদি কেউ সর্দি-কাশিতে ভোগেন এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, তাহলে তাদের জন্য পুদিনা পাতা হল সেরা রেমেডি । বেশিরভাগ ভেপার রাব এবং ইনহেলারেই মিন্ট থাকে । মিন্ট প্রাকৃতিকভাবে গলা এবং নাকে জমে থাকা সর্দি দূর করে, ব্রঙ্কাইটিস সারায় এবং ফুসফুসে জমে থাকা সর্দি দূর করে । রেসপিরেটরি চ্যানেলগুলি ছাড়াও মিন্ট বার বার কাশির সমস্যাকেও দূর করে ।
  • বমিভাব উপসর্গ কমিয়ে দেয়– পুদিনা বমি বমি ভাব লাঘব করতে খুব সক্রিয়। তাই প্রায়ই একে মর্নিং সিকনেসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় । পুদিনার কয়েকটা পাতা খেয়ে নেওয়া বা সকালে গন্ধ শোঁকাও অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাদের বমি বমি ভাবের সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.