কলকাতা, 25 অক্টোবর: দেবাংশু ভট্টাচার্যকে আইনি চিঠি পাঠালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী ৷ চিকিৎসকের আইনজীবী মারফত আইনি চিঠি পাঠানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের প্রধানকে । 2001 সালে আরজি কর হাসপাতালে চতুর্থ বর্ষের চিকিৎসক পড়ুয়া সৌমিত্র বিশ্বাসের আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা ৷ তারপরই এই চিঠি পাঠান পূর্ব বর্ধমানের সিএমওএইচ ।
চিকিৎসক গোস্বামীর হুঁশিয়ারি, "যদি এই চিঠির কোনও উত্তর না-আসে, তাহলে আমি মানহানির মামলা করব ।" আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি ৷ ঘটনার সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ তাঁদের সেই আন্দোলনকে প্রথম থেকেই সমর্থন জানিয়ে এসেছেন সিনিয়র চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী ৷ আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন তিনি ৷ সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য ৷
2001 সালের 25 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে চতুর্থ বর্ষের চিকিৎসক পড়ুয়া সৌমিত্র বিশ্বাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ অভিযোগ ওঠে, হাসপাতাল চত্ত্বরে পর্ণ চক্র চালাতো এসএইআই ৷ দেবাংশুর অভিযোগ, সেই সময় ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিয়েছিলেন হাসপাতালের তৎকালীন এসএফআই নেতা সুবর্ণ গোস্বামী ৷ তিনিও সেই ঘটনায় জড়িয়ে রয়েছেন বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতার ৷ এই বিষয়ে সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও করেন দেবাংশু ৷ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার তাঁর বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠালেন সিনিয়র চিকিৎসক সুবর্ণ ৷
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী ইটিভি ভারতকে বলেন, "এফআইআর, চার্জ, জুডিশিয়ারি রিপোর্ট- কোথাও আমার নাম নেই । অথচ দেবাংশু একটা আষাঢ়ে গল্প বানিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করছেন । তাই আমি এই আইনি চিঠি পাঠিয়েছি । সব থেকে বড় বিষয় যখন এই ঘটনা ঘটেছে, সেই সময় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ছিল এই তৃণমূল কংগ্রেস । সেই সময় দেখলাম না শহর কলকাতার সরকারি হাসপাতালে এত বড় একটা ঘটনার কাউকে প্রতিবাদ করতে । তাদের কোথায় ধরে নিলাম তখন থ্রেট কালচারের জন্য বলতে পারিনি । কিন্তু সরকারে আসার পর কেন বিচার চাইলেন না ?"