হায়দরাবাদ: বাংলার চিকিৎসক মহলে ধন্বন্তরি হিসাবে খ্যাত চিকিৎসক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যু দিন 1 জুলাই ৷ আজকের দিনটি অবশ্য আরেকটি অন্য কারণেও পরিচিত কারণ চিকিৎসকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের দিনটি পালন করা হয় জাতীয় চিকিৎসক দিবস রূপে ৷ ডাঃ বিধান রায়কে 1961 সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান, ভারতরত্ন পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয়েছিল ৷ বিধান রায় সমাজের কল্যাণে প্রচুর অবদান রেখেছিলেন ৷ ভারতের বহু চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছিলেন তিনি । তাই এই দিনে দেশের জন্য তার অবদানকে স্মরণ করা হয়(History of National Doctors Day)।
জাতীয় চিকিৎসক দিবস প্রথমবার পালন করা হয় 1991 সালে ৷ প্রতি বছর 1 জুলাই এই দিনটি উদযাপিত হয়। শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে চিকিৎসক দিবস উদযাপিত হয়, তবে তারিখগুলি ভিন্ন । এ বছর আমাদের দেশে এই দিবসের থিম ‘ফ্যামিলি ডক্টরস ইন দ্য ফ্রন্ট লাইন ।’ চিকিৎসকরা সাদা অ্যাপ্রোনধারী সৈনিক বললেও ভুল বলা হয় না ৷ তাঁরা সমাজের সেবায় এবং মানুষের জীবন বাঁচাতে ত্যাগ স্বীকার করেন । কিন্তু আমরা তাঁদের মূল্য কতটা দিই ? এবারের থিমও একই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছে ।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথা বললে একথা ঠিক যে ভারত অনেক দূর এগিয়েছে এবং প্রযুক্তিগতভাবেও উন্নত হয়েছে । তবে আমাদের দেশে রোগ এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার কথা মাথায় রাখলে দেখা যায় চিকিৎসকের প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত বাড়ছে । বিগত দুই বছরের কথা মাথায় রাখলে, যখন বিশ্ব কোভিড-19 অতিমারিতে আক্রান্ত এবং হঠাৎ করে সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল, তখন চিকিৎসকরা নিজেদের ঝুঁকির মধ্যে রেখে লক্ষ লক্ষ জীবন বাঁচাতে নিরলসভাবে কাজ করেছিলেন । চিকিৎসকরা এই মারাত্মক ভাইরাসের সংস্পর্শেও এসেছিলেন এবং অনেকেই প্রাণও হারিয়েছেন ।
আরও পড়ুন : জেনে নিরাপদ গর্ভপাতের ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম রয়েছে ভারতে
IMA-এর সঙ্গে যুক্ত একজন ডাক্তার বলেন, "গত বছর ভারত জুড়ে 748 জন চিকিৎসক করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের প্রাণ দিয়েছেন ৷ দ্বিতীয় তরঙ্গেও অল্প সময়ের মধ্যে আমরা 730 জন ডাক্তারকে হারিয়েছি ৷" তাই এই দিনটি আমাদের কাছে তাঁদের শ্রদ্ধা জানানোর দারুণ সুযোগ। এছাড়াও, এই দিনে সচেতনতা বাড়াতে এবং পেশাদারদের সম্মান জানাতে বিনামূল্যে মেডিকেল চেকআপ এবং স্বাস্থ্য শিবিরেরও ব্যবস্থা করা হয়।