হায়দরাবাদ: খারাপ জীবনধারা এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে ডায়াবেটিসের সমস্যা আজকাল খুবই সাধারণ ঘটনা। এই রোগটি সব বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করে । সময়মতো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না-রাখলে এই রোগ মারাত্মক হতে পারে । আপনার খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর জিনিস অন্তর্ভুক্ত করে সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন । এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করাও জরুরি । যদি চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি নিয়ে সমস্যায় পড়ে থাকেন, তাহলে এই কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্যে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন ।
হলুদ: ঔষধি গুণে ভরপুর হলুদ আপনাকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। এতে উপস্থিত কারকিউমিন ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে । এছাড়া হলুদে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ । যা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে । আপনি বিভিন্ন উপায়ে খাদ্যতালিকায় হলুদ যোগ করতে পারেন ।
মেথি: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মেথি কোনও ভেষজর থেকে কম নয় । ফাইবার সমৃদ্ধ মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় । আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথির জল পান করুন ৷ যা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় ।
তুলসি পাতা: তুলসি পাতা অনেক রোগ নিরাময় করে। এতে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-বায়োটিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা শরীরকে নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে। তুলসি পাতা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে আপনি রোজ সকালে তুলসি চা খেতে পারেন ৷
দারুচিনি: দারুচিনিতে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দারুচিনি টাইপ-2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে ।
লবঙ্গ: লবঙ্গ ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ । খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী । লবঙ্গ ম্যাঙ্গানিজের একটি সমৃদ্ধ উৎস এবং এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এটি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক । লবঙ্গ জল পান রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।
জিরে: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জিরে খুবই উপকারী । এটি খাবারকে সুস্বাদু করে এবং বহু রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে । এটি শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়াতেও সহায়ক ৷ যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে । এ জন্য প্রতিদিন খালি পেটে জিরের জল পান করতে পারেন ।
আরও পড়ুন: এই পাত্রগুলি রান্নাঘরে উলটো করে করে রাখছেন ? ভুল শুধরে নিন আজই
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)