হায়দরাবাদ: আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই প্রথমেই সর্দি, কাশির সমস্যা হতে থাকে ৷ এটি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের কারণে সৃষ্টি একটি রোগ । এই সংক্রমণ দ্রুত একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে । যা একজন অসুস্থ ব্যক্তি কাশি বা হাঁচি দিলে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে । ঠান্ডা বা ফ্লু ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয় যা শ্বাসতন্ত্রকে প্রভাবিত করে ।
সর্দির লক্ষণগুলি কী কী ?
নাক চুলকানো, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ, মাথাব্যথা, চোখ জ্বালা, কাশি, জ্বর, হাঁচি ৷ কিন্তু সর্দি-কাশির ওষুধ না খেয়ে ঘরে রাখা ঘরোয়া ওষুধ ব্যবহার করাই ভালো কারণ এগুলি শরীরের কোনও ক্ষতি করে না । তাহলে চলুন জেনে নিন, ঠান্ডা মোকাবিলার কিছু ঘরোয়া উপায় ৷
হলুদ দুধ: এক গ্লাস গরম দুধে দুই চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন । এটি অবরুদ্ধ নাক এবং গলা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় । নাক দিয়ে জল পড়া বন্ধ হয়ে যায় ।
তুলসি: ঠান্ডায় ওষুধের মতো ফল দেয় তুলসি । সর্দি-কাশি হলে 8 থেকে 10 টি পাতা পিষে জলে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন । তারপর এটি পান করুন । ছোট বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে 6-7 ফোঁটা আদা ও তুলসির রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ান । এটি নাক বন্ধ করা এবং সর্দি বন্ধ করা উভয় ক্ষেত্রেই সহায়ক ।
মেথি এবং শণ বীজ: 4-5 গ্রাম মেথি ও শণের বীজ নিয়ে এক গ্লাস জলে ফুটিয়ে নিন । ভালো করে ফুটে উঠলে উভয় নাসারন্ধ্রে 4 ফোঁটা করে দিন । এটি ঠান্ডা থেকে মুক্তি দেয় ।
গোল মরিচ: মধুর সঙ্গে গোল মরিচের গুঁড়ো খেলে সর্দি থেকে আরাম পাওয়া যায় এবং নাক দিয়ে জল পড়া কমে যায় । এছাড়াও হাফ চা চামচ কালো গোলমরিচের গুঁড়ো এবং এক চা চামচ চিনি মিশিয়ে দিনে দু'বার এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে পান করুন ।
সর্ষে তেল: ঘুমানোর আগে দুই-দুই ফোঁটা সর্ষে তেল নাকে দিন । এতে নাকের কোনও ধরনের রোগ হয় না ।
আদা: কফ-সহ কাশির জন্য আদা দুধে ফুটিয়ে পান করুন । আদার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চাটলেও ঠান্ডা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । 1-2টি আদা, 2টি গোল মরিচ, 4টি লবঙ্গ এবং 5-7টি তুলসি পাতা পিষে এক গ্লাস জলে ফুটিয়ে নিন । ফুটে উঠলে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন ।
রসুন: রসুনে পাওয়া অ্যালিসিন নামক রাসায়নিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল । এটি ঠান্ডা এবং ফ্লু সংক্রমণ দূর করে । এর জন্য 6-8টি রসুনের কুঁচি ঘিতে ভেজে খেলে ঠান্ডা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ব্রেকফাস্টে রাখুন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)