কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর: 'ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে' আজ। আর এই হার্ট অর্থাৎ হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে হলে কী করা জরুরি তা নিয়ে নানা মুনীর নানা পরামর্শ আমরা নিয়ে থাকি । কিন্তু সবটা করে উঠতে পারি কি? পারি না বলেই আমাদের সঙ্গে ঘটে যায় সময়ে-অসময়ে নানা বিপদ। বিপদের নাম 'হার্ট অ্যাটাক'।
একটা সময় ছিল যখন কারও হার্ট অ্যাটাক হওয়া মানেই আমরা ধরে নিতাম তার বয়স পঞ্চাশোর্ধ। এখন চিত্রটা একেবারে আলাদা। বয়স 20 হোক বা 25 কিংবা তার বেশি যে কোনও সময়েই হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। সাম্প্রতিকতম ঘটনা, অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা মাত্র 40 বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন অমৃতলোকে। এমন ঘটনা আজ প্রায়শই ঘটে। অকালে ঝরে যায় কত প্রাণ। তাই হার্টের প্রতি যত্নশীল হলে বাঁচলেও বাঁচতে পারে কিছু তাজা প্রাণ। সেই কথা মাথায় রেখেই হার্ট সুস্থ রাখার কিছু টিপস সংগ্রহ করা হয়েছে স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত ফুড টেকনোলজিস্ট তথা ডায়েটিশিয়ান ঈশানী ভৌমিক বারুইয়ের কাছ থেকে।
হার্ট সুস্থ রাখতে যে টিপসগুলি তিনি দিলেন-
1) সপ্তাহে দুবার খালি পেটে রসুনের সঙ্গে একটি লবঙ্গ খেতে হবে।
2) দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় থাকবে ফাইবার সমৃদ্ধ ওটস, কুইনোয়া এবং পাতাযুক্ত সবুজ শাক।
3) খাদ্যতালিকায় মাছ আমিষাশীদের স্বাস্থ্যকর চর্বির চাহিদা পূরণ করে। নিরামিষাশীরা বীজ এবং বাদাম দিয়ে তাদের কোটা পূরণ করতে পারে।
4) হার্ট সুস্থ রাখতে প্রতিদিনের রান্নার জন্য ন্যূনতম তেল এবং লবণ ব্যবহার করুন।
5) কড়াইতে বেশি সময় ধরে তেল গরম করার পরিবর্তে, আপনার কড়াই ভালভাবে গরম করুন এবং তারপর তেল যোগ করুন।
6) প্যাকেট বন্দি খাবার কেনার আগে পুষ্টির তথ্য পড়ুন। একটি কম চর্বিযুক্ত পণ্যে উচ্চ পরিমাণে চিনির পরিমাণ থাকতে পারে যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর।
7) রান্নার স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি হল- বেকিং, রোস্টিং, সাউটিং।
8) মন প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করুন।
9) প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি। যেমন- পর্যায়ক্রমিক কার্ডিয়াক প্যাকেজ, বিপি মনিটরিং, প্রতি মাসে অন্তত একবার লিপিড প্রোফাইলের অর্ধ-বার্ষিক পর্যবেক্ষণ, এইচবিএওয়ানসি, এবং আপনার ইকো কার্ডিওগ্রাফি অথবা ইসিজি প্রতি বছর একবার করানো জরুরি।
10) যে কোনও শারীরিক সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
11) নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করা জরুরি।