ETV Bharat / state

'চিকিৎসকদের মেরেছেন, এবারে আপনারা মরুন' - raigunj

মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে SSKM হাসপাতালে মিলল না বেড । তাই কলকাতায় বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হল রোগীর পরিবারের সদস্যরা । ঘটনা রায়গঞ্জের মিলনপাড়ার।

বহ্নিশিখা
author img

By

Published : Jun 14, 2019, 3:18 PM IST

Updated : Jun 14, 2019, 3:33 PM IST

রায়গঞ্জ , 14 জুন : মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের চিঠি থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে মিলল না বেড । উলটে, সহযোগী চিকিৎসকদের কাছে শুনতে হল, 'চিকিৎসকদের মেরেছেন, এবারে আপনারা মরুন' । তাই বিনা চিকিৎসার মানসিক ভারসাম্যহীন পক্ষাঘাতে আক্রান্ত রোগীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হল তাঁর পরিবার । ঘটনা রায়গঞ্জের মিলনপাড়ার।

আরও পড়ুন : RG কর হাসপাতালে 79 চিকিৎসকের ইস্তফা

রায়গঞ্জের মিলনপাড়ার বাসিন্দা পূর্ণিমা পাল । দিন কয়েক আগে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন । মালদা মেডিকেল কলেজে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয় । কিন্তু, অবস্থার অবনতি হওয়ায় 4 জুন পূর্ণিমাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে পূর্ণিমাকে নিয়ে বারবার বাঙ্গুর ও SSKM মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় । অভিযোগ, সেখানেও পূর্ণিমার সঠিক চিকিৎসা হয়নি । এমনকী তাঁকে কোনও বেড দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ।

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : গেটে তালা , বাইরে অ্যাম্বুলেন্সের লম্বা লাইন কলকাতা মেডিকেলে

পূর্ণিমার স্বামী প্রণববাবু পেশায় শ্রমিক । পূর্ণিমার চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি লেখেন প্রণব। সাতদিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের চিঠিতে বেড পাওয়ার নির্দেশও পেয়ে যান । কিন্তু, ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে বেড তো দূরের কথা মেলেনি নূন্যতম পরিষেবাও ।

ভিডিয়োয় শুনুন বহ্নিশিখার বক্তব্য

পূর্ণিমার বড় জা বহ্নিশিখা বলেন, "আমরা পূর্ণিমাকে SSKM হাসপাতালে নিয়ে গেছিলাম । সেখানে ডাক্তার দেখানোর পরও পূর্ণিমাকে কোনও বেড দেওয়া হয়নি । সেখান থেকে পূর্ণিমাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা । সেখানেও ৮ দিন চিকিৎসা হওয়ার পর ফের SSKM-এ নিয়ে আসি । এখানে আসার পর চিকিৎসকরা আমাদের জানান, আন্দোলন চলছে । চিকিৎসকদের মেরেছেন এবারে আপনারা মরুন ।"

স্থানীয় বাসিন্দা রাজু দাস বলেন, "বেশ কিছুদিন আগে পূর্ণিমা অসুস্থ হয়ে পড়েন । তাঁদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় চাঁদা তুলে তাঁকে কলকাতা পাঠাই । কিন্তু, চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে শেষ মুহূর্তে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে বাধ্য হন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ।"

রায়গঞ্জ , 14 জুন : মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের চিঠি থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে মিলল না বেড । উলটে, সহযোগী চিকিৎসকদের কাছে শুনতে হল, 'চিকিৎসকদের মেরেছেন, এবারে আপনারা মরুন' । তাই বিনা চিকিৎসার মানসিক ভারসাম্যহীন পক্ষাঘাতে আক্রান্ত রোগীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হল তাঁর পরিবার । ঘটনা রায়গঞ্জের মিলনপাড়ার।

আরও পড়ুন : RG কর হাসপাতালে 79 চিকিৎসকের ইস্তফা

রায়গঞ্জের মিলনপাড়ার বাসিন্দা পূর্ণিমা পাল । দিন কয়েক আগে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন । মালদা মেডিকেল কলেজে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয় । কিন্তু, অবস্থার অবনতি হওয়ায় 4 জুন পূর্ণিমাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে পূর্ণিমাকে নিয়ে বারবার বাঙ্গুর ও SSKM মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় । অভিযোগ, সেখানেও পূর্ণিমার সঠিক চিকিৎসা হয়নি । এমনকী তাঁকে কোনও বেড দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ।

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : গেটে তালা , বাইরে অ্যাম্বুলেন্সের লম্বা লাইন কলকাতা মেডিকেলে

পূর্ণিমার স্বামী প্রণববাবু পেশায় শ্রমিক । পূর্ণিমার চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি লেখেন প্রণব। সাতদিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের চিঠিতে বেড পাওয়ার নির্দেশও পেয়ে যান । কিন্তু, ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে বেড তো দূরের কথা মেলেনি নূন্যতম পরিষেবাও ।

ভিডিয়োয় শুনুন বহ্নিশিখার বক্তব্য

পূর্ণিমার বড় জা বহ্নিশিখা বলেন, "আমরা পূর্ণিমাকে SSKM হাসপাতালে নিয়ে গেছিলাম । সেখানে ডাক্তার দেখানোর পরও পূর্ণিমাকে কোনও বেড দেওয়া হয়নি । সেখান থেকে পূর্ণিমাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা । সেখানেও ৮ দিন চিকিৎসা হওয়ার পর ফের SSKM-এ নিয়ে আসি । এখানে আসার পর চিকিৎসকরা আমাদের জানান, আন্দোলন চলছে । চিকিৎসকদের মেরেছেন এবারে আপনারা মরুন ।"

স্থানীয় বাসিন্দা রাজু দাস বলেন, "বেশ কিছুদিন আগে পূর্ণিমা অসুস্থ হয়ে পড়েন । তাঁদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় চাঁদা তুলে তাঁকে কলকাতা পাঠাই । কিন্তু, চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে শেষ মুহূর্তে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে বাধ্য হন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ।"

Intro:রায়গঞ্জ,১৩ জুনঃ- মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের চিঠি হাতে থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে মিলল না বেড।তাই কলকাতায় বিনা চিকিৎসার ফলে মানসিক ভারসাম্য হারানো রায়গঞ্জের মিলনপাড়ার প্যারালাইজড রোগীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে বাধ্য হল তার পরিবার।পরিবারের অভিযোগ,তাদের রোগী পূর্ণিমা পালকে প্রায় সাতদিন কলকাতার নানান সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার চেষ্টা করার পরও মেলেনি বেড।তবে,গত ১১ তারিখ যখন এসএসকেএমে চিকিৎসার জন্য বেড মেলার সামান্য সম্ভাবনা দেখা যায়।সেদিনই চিকিৎসকেদের কর্মবিরতি ঘোষণা হয়ে যায়।তাই তাদের প্রেসক্রিপশনে 'নো-বেড' লিখে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।পরিবারের দাবি,চিকিৎসকের সহযোগীরা তাদের খোঁচা দিয়ে বলেন,চিকিৎসকদের মেরেছেন এবারে আপনারা মরুন।

রায়গঞ্জের মিলনপাড়ার বাসিন্দা দিন পচিশেক আগে পূর্ণিমাদেবী হটাৎ প্যারালাইজড হয়ে যান।প্রথমে ২৪ মে রায়গঞ্জ ও পরে ২৫ মে মালদা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গেলেও চিকিৎসায় তেমন সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি।৩ জুন মালদা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। স্বামী প্রণব পাল সামান্য শ্রমিকের কাজ করেন।পরিবারের আয়ও নগণ্য। অসুস্থ পূর্ণিমাদেবীকে সুস্থ করে তোলার জন্য এলাকাবাসীরা এগিয়ে আসেন।প্রতিবেশি,আত্মীয় স্বজনকে সঙ্গে নিয়ে টাকা তুলে অসুস্থ রোগীকে সঙ্গে নিয়ে তার বড় জা ৪জুন বহ্নিশিখা পাল যান কলকাতা।একবার বাঙ্গুর মেডিক্যাল কলেজ একবার এসএসকেএম বারবার ঘুরতে থাকলেও সঠিক চিকিৎসা পাননি।প্রায় সাতদিন পর মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের রেফারেন্স চিঠি হাতে পাওয়ার পর ১১ তারিখ এসএসকেএমে বেড মেলার সম্ভাবনা দেখা যায়।কিন্তু তার আগের দিন চিকিৎসক ও রোগীর পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় NRS।সেদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু হয় রাজ্যজুড়ে।আর এরই মাঝে পড়ে পূর্ণিমাদেবীর চিকিৎসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন চিকিৎসকরা।তার প্রেসক্রিপশন 'নো বেড' লিখে ফিরিয়ে দেন চিকিৎসক।সঙ্গে তার সহযোগীর টিটকিরি ডাক্তারদের মেরেছেন,এবারে আপনারা মরুন।

চিকিৎসা না পেয়ে ইতিমধ্যেই মানসিক ভারসাম্য হারান পূর্ণিমাদেবী।একদিকে চিকিৎসা না পেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন জা অন্যদিকে চাঁদার ফুরিয়ে যাওয়ায় আর কোনভাবেই কলকাতায় থাকার ঝুঁকি নিতে রাজি হননি বহ্নিশিখাদেবী।অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ১১ জুন রাতেই তিনি রওনা দেন কলকাতা থেকে।বুধবার সকালে রায়গঞ্জে পৌছান তিনি।আর মানসিক ভারসাম্য হারানো জা পূর্ণিমাদেবী এখনও ঘরের ভেতরে বসে ডাক্তারের জন্য আর্তনাদ করে চলছেন।
বহ্নিশিখাদেবী বলেন,আমার জা প্যারালাইজড হয়ে পড়ায় তাকে নিয়ে আমরা কলকাতায় যাই।সাতদিন ধরে বহু চেষ্টার পর যখন এসএসকেএমে ভর্তি করার সুযোগ মেলে তখন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছিল।যার ফলে আমাদের বেড দেওয়া হয়নি।ডাক্তারের সহযোগী আমাদের বলেন চিকিৎসকদের মেরেছেন এবারে আপনারা মরুন।বিনা চিকিৎসায় আমার জা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা রাজু দাস বলেন,বেশ কিছুদিন আগে পূর্ণিমাদেবী প্যারালাইজড হয়ে পড়েন।তার চিকিৎসার টাকা না থাকায় আমরা চাঁদা তুলে কলকাতা পাঠাই।কিন্তু চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে শেষ মুহুর্তে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে বাধ্য হন তাদের পরিবারের সদস্যরা।এখন তার কী গতি হবে সেটাই চিন্তা করছি।

বাইট-- বহ্নিশিখা পাল।।রাজু দাস।।

তারক চক্রবর্তী,, রায়গঞ্জ।। Body:জাConclusion:আজগ
Last Updated : Jun 14, 2019, 3:33 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.