ETV Bharat / state

হেমতাবাদে যুবতি খুনে গ্রেপ্তার শওহর ও প্রেমিকা

হেমতাবাদের যুবতি খুনে গতকালই রায়গঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল শওহর ও তার প্রেমিকাকে । এবার তাদের জেরা করে পুরো ঘটনার পুনর্নিমাণ করল পুলিশ ।

author img

By

Published : Oct 15, 2019, 11:37 PM IST

Updated : Oct 16, 2019, 4:10 AM IST

অভিযুক্ত

রায়গঞ্জ, 15 অক্টোবর : প্রথমে মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ । তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা টিপেছিল শওহর ও তার প্রেমিকা । বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছিল অলিভিয়া পারভিনকে । হেমতাবাদ খুনে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে এই তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ এই খুনের মামলায় দুই মূল অভিযুক্ত মহম্মদ হানিফ ও তার প্রেমিকা শিলা ভৌমিককে করা জেরায় উঠে আসছে আরও অনকে কিছু, জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা ।

গতকাল সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা ওই দু'জনকে । জেরা করতে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, প্রেমের সম্পর্কে নিজেদের পথের কাঁটাকে সরাতেই বেশ কিছুদিন ধরে পরিকল্পনা করেছিল তারা । ঘটনার দিন অর্থাৎ শুক্রবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়েই খুনের ছক কষে তারা । তারপরই সুযোগ বুঝে খুন করা হয় । পুরো বিষয়টা তারা জেরায় স্বীকার করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা পুলিশ । আজ দু'জনকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পাঠিয়ে সাতদিনের পুলিশি হেপাজতের জন্য আবেদন করেছে পুলিশ ।

শনিবার সকালে হেমতাবাদের হরিনারায়ণপুর এলাকার অলিভিয়া পারভিনের দেহ তাদের বাড়ির রান্নাঘরের মাটির চুলার নীচে পাওয়া যায় । অলিভিয়ার পরিবারের অভিযোগ, তার শওহর ও প্রেমিকা দু'জনে ষড়যন্ত্র করে তাদের পরিবারের মেয়েকে খুন করেছে । ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল মহম্মদ হানিফ ও শিলা ।

তদন্তে জানা যায়, খুনের পর থেকে কলকাতা এবং বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেরিয়েছিল অভিযুক্তরা । শেষমেশ টাকার অভাবে রায়গঞ্জে ফিরে আসে । গতকাল রায়গঞ্জ থেকেই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে । জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে মাথায় আঘাতের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গলায় নাইলনের তার জড়িয়ে ফাঁস লাগানোও হয়েছিল । সবশেষে ঘরের বাইরে থাকা রান্নাঘরে মাটির চুলার ভেতরে পুঁতে দেওয়া হয় দেহ । এবিষয়ে, রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, "হেমতাবাদ খুনের মামলায় আমরা গৃহবধূর শওহর ও তার প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করেছি । তারা জেরায় স্বীকার করেছে, পথের কাঁটা সরাতেই এই কাজ করেছিল ।"

দেখুন ভিডিয়ো

রায়গঞ্জ, 15 অক্টোবর : প্রথমে মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ । তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা টিপেছিল শওহর ও তার প্রেমিকা । বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছিল অলিভিয়া পারভিনকে । হেমতাবাদ খুনে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে এই তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ এই খুনের মামলায় দুই মূল অভিযুক্ত মহম্মদ হানিফ ও তার প্রেমিকা শিলা ভৌমিককে করা জেরায় উঠে আসছে আরও অনকে কিছু, জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা ।

গতকাল সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা ওই দু'জনকে । জেরা করতে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, প্রেমের সম্পর্কে নিজেদের পথের কাঁটাকে সরাতেই বেশ কিছুদিন ধরে পরিকল্পনা করেছিল তারা । ঘটনার দিন অর্থাৎ শুক্রবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়েই খুনের ছক কষে তারা । তারপরই সুযোগ বুঝে খুন করা হয় । পুরো বিষয়টা তারা জেরায় স্বীকার করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা পুলিশ । আজ দু'জনকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পাঠিয়ে সাতদিনের পুলিশি হেপাজতের জন্য আবেদন করেছে পুলিশ ।

শনিবার সকালে হেমতাবাদের হরিনারায়ণপুর এলাকার অলিভিয়া পারভিনের দেহ তাদের বাড়ির রান্নাঘরের মাটির চুলার নীচে পাওয়া যায় । অলিভিয়ার পরিবারের অভিযোগ, তার শওহর ও প্রেমিকা দু'জনে ষড়যন্ত্র করে তাদের পরিবারের মেয়েকে খুন করেছে । ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল মহম্মদ হানিফ ও শিলা ।

তদন্তে জানা যায়, খুনের পর থেকে কলকাতা এবং বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেরিয়েছিল অভিযুক্তরা । শেষমেশ টাকার অভাবে রায়গঞ্জে ফিরে আসে । গতকাল রায়গঞ্জ থেকেই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে । জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে মাথায় আঘাতের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গলায় নাইলনের তার জড়িয়ে ফাঁস লাগানোও হয়েছিল । সবশেষে ঘরের বাইরে থাকা রান্নাঘরে মাটির চুলার ভেতরে পুঁতে দেওয়া হয় দেহ । এবিষয়ে, রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, "হেমতাবাদ খুনের মামলায় আমরা গৃহবধূর শওহর ও তার প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করেছি । তারা জেরায় স্বীকার করেছে, পথের কাঁটা সরাতেই এই কাজ করেছিল ।"

দেখুন ভিডিয়ো
Intro:রায়গঞ্জ,১৫ অক্টোবরঃ- মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত করার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা টিপেছিল স্বামী ও এবং তার প্রেমিকা।হেমতাবাদের গৃহবধূর খুনের মামলায় দুই মূল অভিযুক্তকে ধরে করা জেরায় এমনই তথ্য হাতে পেয়েছে তদন্তকারী অফিসারেরা।সোমবার সন্ধ্যেবেলায় রায়গঞ্জ স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হেমতাবাদের গৃহবধূ খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত মহঃ হানিফ ও তার প্রেমিকা শীলা ভৌমিককে।তাদের জেরা করতে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন পথের কাটাকে সরাতেই বেশ কিছুদিন ধরেই পরিকল্পনা করেছিল তারা।ঘটনার দিন ১১ অক্টোবর রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়েই তারা এই ঘটনা ঘটায়।জেরায় তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে বলে দাবী করেছে জেলা পুলিশ।এদিন দুজনকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পাঠিয়ে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের জন্য আবেদন করেছে পুলিশ।

গত ১২ অক্টোবর সকালে হেমতাবাদের হরিনারায়ণপুর এলাকার গৃহবধূ অলিভিয়া পারভিনের দেহ তাদের বাড়ির রান্নাঘরের মাটির চুলোর নীচে পুতে ফেলা অবস্থায় পাওয়া যায়।অলিভিয়ার পরিবারের অভিযোগ ছিল তার স্বামী এবং প্রেমিকা দুজনে ষড়যন্ত্র করে তাকে খুন করেছে।ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল স্বামী মহঃ হানিফ ও তার প্রেমিকা।যদিও পুলিশ ঘটনার পর থেকেই হানিফ ও তার প্রেমিকাকে ধরতে তাদের বিভিন্ন সোর্সকে কাজে লাগায়।ঘটনার পর কলকাতা থেকে শুরু করে নানান জায়গায় পালিয়ে বেরিয়েছিল তারা।শেষমেশ টাকার অভাবে রায়গঞ্জে ফিরে আসে তারা।গতকাল সাদা পোশাকের পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে ঘটনার দিন রাতে যখন বাড়িতে কেউ ছিল না হানিফ ও তার প্রেমিকা ঢুকে আচমকা অলিভিয়ার উপর হামলা করে।কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে।তবে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গলায় নাইলনের তার জড়িয়ে ফাস লাগানো হয়েছিল।সবশেষে ঘরের বাইরে থাকা রান্নাঘরে মাটির চুলোর ভেতরে পুতে দেওয়া হয় দেহ।নিজেদের প্রেম সম্পর্কে বাধা দেওয়ার কারণেই তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছিল বলেই স্বীকার করেছেন তারা।

রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন,হেমতাবাদ খুনের মামলায় আমরা গৃহবধূর স্বামী ও তার প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করেছি।তারা জেরায় স্বীকার করেছে যে পথের কাটা সরাতেই এই কাজ করেছিল।

Body:AjConclusion:j
Last Updated : Oct 16, 2019, 4:10 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.