রায়গঞ্জ, 15 অক্টোবর : প্রথমে মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ । তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা টিপেছিল শওহর ও তার প্রেমিকা । বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছিল অলিভিয়া পারভিনকে । হেমতাবাদ খুনে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে এই তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ এই খুনের মামলায় দুই মূল অভিযুক্ত মহম্মদ হানিফ ও তার প্রেমিকা শিলা ভৌমিককে করা জেরায় উঠে আসছে আরও অনকে কিছু, জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা ।
গতকাল সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা ওই দু'জনকে । জেরা করতে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, প্রেমের সম্পর্কে নিজেদের পথের কাঁটাকে সরাতেই বেশ কিছুদিন ধরে পরিকল্পনা করেছিল তারা । ঘটনার দিন অর্থাৎ শুক্রবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়েই খুনের ছক কষে তারা । তারপরই সুযোগ বুঝে খুন করা হয় । পুরো বিষয়টা তারা জেরায় স্বীকার করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা পুলিশ । আজ দু'জনকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পাঠিয়ে সাতদিনের পুলিশি হেপাজতের জন্য আবেদন করেছে পুলিশ ।
শনিবার সকালে হেমতাবাদের হরিনারায়ণপুর এলাকার অলিভিয়া পারভিনের দেহ তাদের বাড়ির রান্নাঘরের মাটির চুলার নীচে পাওয়া যায় । অলিভিয়ার পরিবারের অভিযোগ, তার শওহর ও প্রেমিকা দু'জনে ষড়যন্ত্র করে তাদের পরিবারের মেয়েকে খুন করেছে । ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল মহম্মদ হানিফ ও শিলা ।
তদন্তে জানা যায়, খুনের পর থেকে কলকাতা এবং বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেরিয়েছিল অভিযুক্তরা । শেষমেশ টাকার অভাবে রায়গঞ্জে ফিরে আসে । গতকাল রায়গঞ্জ থেকেই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে । জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে মাথায় আঘাতের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গলায় নাইলনের তার জড়িয়ে ফাঁস লাগানোও হয়েছিল । সবশেষে ঘরের বাইরে থাকা রান্নাঘরে মাটির চুলার ভেতরে পুঁতে দেওয়া হয় দেহ । এবিষয়ে, রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, "হেমতাবাদ খুনের মামলায় আমরা গৃহবধূর শওহর ও তার প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করেছি । তারা জেরায় স্বীকার করেছে, পথের কাঁটা সরাতেই এই কাজ করেছিল ।"