রায়গঞ্জ, 28 জুন: বছরের পর বছর পেরিয়ে যায় ৷ নদীর উপর দিয়ে বয়ে যায় কত শত স্রোত । কিন্তু সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সমস্যার আর সমাধান হয় না । সরকারের তরফে গ্রাম বাংলার উন্নয়নের জোয়ার নিয়ে একদিকে যখন ব্যানার ফেস্টুন পড়েছে । সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র উঠে এল রায়গঞ্জ ব্লকের শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খলসি এলাকা থেকে । এই এলাকার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে কুলিক নদী । নদীর দুপারের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম একটি বাঁশের সাঁকো । বর্ষাকালে জল বাড়লে তখন আর অস্তিত্ব থাকে না এই পথটির । সেসময় একমাত্র ভরসা ডিঙি নৌকা ।
গ্রামবাসীরা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে যাতায়াতের সমস্যা একই রয়ে গিয়েছে । কোনো উন্নতি হয়নি । এখানকার মানুষজন আর পাঁচটা এলাকার মাত গণতান্ত্রিক অধিকার ভোট দান করেন । নির্বাচন করেন পঞ্চায়েত, বিধানসভা কিংবা লোকসভার প্রতিনিধিকে । কিন্তু তাদের কথা ভাবে না কেউ । সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছেন তারা ।
জানা গিয়েছে, এই পথ দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ নিত্যদিন যাতায়াত করেন । বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করে স্কুলের ছোট ছোট পড়ুয়ারা । পায়ে হেঁটে যাওয়াই দুস্কর । ভারী যান তো দুরঅস্ত । বাইক চলাচলেও ঝুঁকি থেকে যায় । এমনি সময় তাই নদীর জল দিয়ে বাইক নিয়ে বা হেঁটে পার হতে হয় । ভিজে যায় জামা কাপড় । অনেকেই দুর্ঘটনার কবলে পরেন । তবে সবচেয়ে বেশী সমস্যা হয় রোগী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ।
আরও পড়ুন: তৈরির বছরে ভাঙল সেতু, বাঁকুড়ায় ভোগান্তিতে গ্রামবাসী
মাত্র 7-8 কিমি পথ 40 কিমি ঘুরে যেতে হয় । ফলে মাঝ রাস্তায় প্রসব হয়ে যায় অনেক সময় । এমনই দুরাবস্থার কথা তুলে ধরলেন গ্রামের সহজ সরল মানুষজন । ভোট আসে ভোট যায় । নেতাদের ঝুড়ি ঝুড়ি প্রতিশ্রুতি মেলে । কিন্তু ভোট পার হয়ে গেলেই আর ফিরেও তাকায়না কেউই । এমনই অভিযোগ সাধারণ মানুষের। তাই অবিলম্বে পাকা সেতুর দাবিতে সরব সকলেই । সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন । তাই এখন সেতু ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন গ্রামবাসীরা । এখন কতদিনে এই অসহায় মানুষগুলোর ভাগ্যের শিকে ছেড়ে সেই আশাতেই বসে রয়েছেন তারা ।