কলকাতা, 2 ডিসেম্বর: আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারি তরফে বৈঠকে সোমবার কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি । মঙ্গলবার থেকে আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট বহাল থাকছে । ফলে আলুর দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েই গেল । এমনিতেই বাজারে জ্যোতি আলু 32 ও চন্দ্রমুখী আলু 38 টাকায় বিক্রি হচ্ছে । কোনও কোনও বাজারে আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ।
সোমবার খাদ্য দফতরে আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও সরকারি আধিকারিকদের বৈঠক হয় । কিন্তু ভিন রাজ্যে আলু রফতানিতে অনুমতি না দেওয়ায় ধর্মঘটের পথেই হাঁটছেন ব্যবসায়ীরা । যদিও মন্ত্রীর দাবি, আলু ব্যবসায়ীরা ফের বৈঠক করে সদর্থক ভূমিকা নেবেন ।নতুবা সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে ৷
তিনি আরও জানান, রাজ্যে এখনও প্রায় 6 লক্ষ 20 হাজার মেট্রিক টন আলু মজুত রয়েছে । ডিসেম্বর মাসে প্রায় 4 লক্ষ মেট্রিক টন আলু খরচ হবে ।জানুয়ারি মাসে ভিন রাজ্য থেকে নতুন আলু বাজারে উঠবে । তাই আলু ব্যবসায়ীদের তরফে দেড় লক্ষ মেট্রিক টন আলু রফতানিতে ছাড় দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল । কিন্তু সরকারি তরফে সে প্রস্তাবও মানা হয়নি । মঙ্গলবার ফের আলু ব্যবসায়ীদের মধ্যে বর্ধমানে আলোচনা হবে । সরকারিভাবে সুষ্ঠ সমাধানের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন । মাঝপথে এই ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে আগামিদিনে ব্যবসায়ীরাও আলু ব্যবসায় আগ্রহী হবে না । হিমঘর ব্যবসায় প্রভাব পড়বে । ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যা এড়ানোর জন্য সরকার সুস্পষ্ট নিয়ম তৈরি করুক ।
বৈঠক শেষে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচরাম মান্না বলেন, "আলু ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই বস্তা পিছু 300 টাকা করে লাভ করেছে । এবার বেশি দামের আশায় হিমঘর থেকে বাছাই করে অতিরিক্ত মূল্যে বাজারে আলু পাঠাচ্ছে । তাই খুচরো মার্কেটে আলুর দাম বাড়ছে । সরকার সুফল বাংলার মাধ্যমে 594টি কাউন্টার থেকে কম দামে আলু বিক্রি করছে । গ্রামীণ ক্ষেত্রে 25 টাকা এবং শহরাঞ্চলে 26 টাকা দামে আলু বিক্রি হচ্ছে । মঙ্গলবার ব্যবসায়ীরা জরুরি বৈঠক করে নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিক । আলুর ধর্মঘট হলেও সরকার পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে মানুষের কল্যাণ ও চাহিদা পূরণের জন্য যে কোনও কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত ।"
মন্ত্রী আরও বলেন, "এই মুহূর্তে রাজ্যের কোনও কৃষক ও খুচরো আড়তদারের কাছে আলু নেই । আমরা তদন্ত করে দেখেছি 40 জন হিমঘর মালিক ও ব্যবসায়ীর কাছে সম্পূর্ণ আলু চলে গিয়েছে । তাদের তালিকাও আমরা পেয়েছি । আজ থেকে আরও বেশি তদন্ত করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মানুষের চাহিদা মিটিয়ে পরবর্তী পর্যায় যদি আলু উদ্বৃত্ত থাকে তখন বাইরে যাবে ৷ না হলে সরকার কিনে নেবে ৷"