রায়গঞ্জ, ৩ জুন : দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য প্রথমপক্ষের বউকে ভিনরাজ্যে পাচারের অভিযোগ উঠল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ি লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের।
পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার কুলহারা গ্রামে বাসিন্দা মহম্মদ আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় বিহারের বাসিন্দা মহমুদা খাতুনের। বিয়ের পর তাঁদের একটি কন্যা সন্তান হয়। এরপর মহম্মদ আলমের শিলিগুড়ির এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠে। মহমুদার পরিবারের অভিযোগ, সেই সম্পর্কের জেরে তাঁদের মেয়েকে বাড়ি থেকে তাড়াতে শুরু হয় শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মহমুদা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর চোপড়ার একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ শুরু করেন। ফেব্রুয়ারি মাসে মালিকের কাছ থেকে বেতন নিয়ে বাপের বাড়ি ফিরছিলেন মহমুদা । অভিযোগ, সেই সময় রায়গঞ্জের কাছে মহম্মদ আলম ও তার পরিবারের লোকেরা মহমুদাকে অজ্ঞান করে অপহরণ করে । এরপর মহমুদাকে হরিয়ানায় মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয় । পুলিশ সূত্রে খবর, হরিয়ানায় গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে পালিয়ে যায় মহমুদা । এরপর হরিয়ানার উছালা থানায় আশ্রয় নেন তিনি । সেখানকার পুলিশ চোপড়া থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে । চোপড়া থানা মহমুদার পরিবারকে বিষয়টি জানায় । এরপর লকডাউনের জেরে আটকে পড়ায় দীর্ঘ চার মাস পর বাড়ি ফেরেন মহমুদা ।
এরপরই মহমুদার পরিবার চোপড়া থানায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অপহরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মহমুদার স্বামী এবং শ্বশুড়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় BJP নেতা শাহিন আক্তার জানিয়েছেন, মহিলার স্বামী-সহ পরিবারের লোকরাই তাকে মোটা টাকার বিনিময়ে ভিনরাজ্যে বিক্রি করে দিয়েছিল । পুলিশ এই ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তবে আদালতে ছাড়া পেয়ে যায় ধৃতরা ।