ইসলামপুর, 27 এপ্রিল : ভৌতবিজ্ঞানের পর এবার অঙ্ক পরীক্ষা বয়কট করল দাড়িভিট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা । আজ অঙ্ক পরীক্ষা ছিল তাদের । অভিযোগ দীর্ঘ চার মাসের মধ্যে একদিনও অঙ্কের ক্লাস হয়নি। সিলেবাস শেষ হয়নি। তাই তারা পরীক্ষা দিতে পারেনি। এর আগে বৃহস্পতিবার ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষাও বয়কট করেছিল ছাত্রছাত্রীরা।
এই বিষয়ে দাড়িভিট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র বাচ্চু সিকদার বলে, "আজ আমাদের অঙ্ক পরীক্ষা ছিল। শিক্ষক নেই অঙ্ক পরীক্ষা দিইনি। এর আগেরদিনও ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষা দিইনি। আমাদের দাবি শিক্ষক এলেই পরীক্ষা দেব। আমাদের দুটো দাদা মারা গেল। এরপরেও শিক্ষক দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছিল ভোটের পর বিষয়টি দেখা হবে। স্যারকে আমরা জানিয়েছি। স্যার বলছেন হবে হবে।" বৃহস্পতিবার একই অভিযোগ জানিয়ে পরীক্ষা বয়কট করেছিল ছাত্রছাত্রীরা। তারা জানিয়েছিল, স্কুলে বহুদিন ধরেই অঙ্ক ও ভৌতবিজ্ঞান পড়ানোর জন্য শিক্ষক নেই । তাদের কোর্স শেষ হয়নি তাই তারা পরীক্ষা দেবে না ।
বিষয়টি মেনেও নিয়েছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল মণ্ডল । শিক্ষক না থাকার বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন । এই বিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল মণ্ডল বলেন, "আমাদের স্কুলে ওই দুই বিষয়ে পড়ানোর জন্য একজন শিক্ষকই রয়েছেন । নাম সুদীপ্ত কুমার সিনহা । তবে আগের ঘটনার পর থেকে তিনি আসছেন না । আমি ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত । ওরা বারবার আমার কাছে আসে । বলে স্যার ক্লাস হচ্ছে না । কিন্তু এই মুহূর্তে আমার ব্যক্তিগতভাবে কিছুই করার নেই । বিষয়টি আমি আবার উপরমহলে জানাব ।"
গতবছর 20 সেপ্টেম্বর ইসলামপুর ব্লকের দাড়িভিট স্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রথম বিক্ষোভ শুরু করে দাড়িভিট স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা । তাদের দাবি ছিল, স্কুলে উর্দু নয়, নানা বিষয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকা প্রয়োজন। তা সত্ত্বেও শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে না । এর ঠিক দু'দিন পর ফের একই দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা । ছাত্র- পুলিশ সংঘর্ষের জেরে মারা যায় ওই স্কুলেরই দুই প্রাক্তন ছাত্র তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকার । ঘটনার পর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দাড়িভিট স্কুল । শেষমেশ প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে স্কুল খোলা হয় । কিন্তু শিক্ষকের অভাবে সমস্যা এখনও মেটেনি।