রায়গঞ্জ, 14 নভেম্বর: রায়গঞ্জ ব্লকের গৌরী গ্রামপঞ্চায়েত ৷ এই অঞ্চল দিয়েই বয়ে গিয়েছে নাগর নদী ৷ যার একদিকে রয়েছে রায়গঞ্জ ব্লকের নয়াটুলি, দুপদুয়ার, ছিট মহারাজপুর, ট্যাগরা-সহ অংসখ্য গ্রাম ৷ আর উলটোদিকে রায়গঞ্জ ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামের পাশাপাশি বিহার রাজ্য ৷ আর যার মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে নাগর ৷ আর এই নদী পারাপারের একমাত্র উপায় একটি বাঁশের সাকোঁ ৷ যে সাকোঁ প্রতি বর্ষায় জলের তোড়ে ভেসে যায় ৷ এবার সেই সাকোঁর বদলে স্থায়ী সেতুর দাবি তুলেছেন রায়গঞ্জ ব্লকের বাসিন্দারা (Raiganj People Demand for Permanent Bridge on Nagar River) ৷
রায়গঞ্জ শহরে একাধিক হাট ও বড় বাজার বসে ৷ রয়েছে অনেক অফিস ৷ এই সব জায়গায় যেতে হয় নদী পার করেই ৷ কিন্তু, বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় প্রায় 80টি গ্রামের বাসিন্দাদের ৷ শীত ও গ্রীষ্মকালে নদীর জলস্তর কম থাকায় সমস্যা হয় না ৷ তাও বাঁশের সাকোঁ যখন তখন ভেঙে পড়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যায় ৷ আর বর্ষার সময় নাগর নদীর জলস্তর বাড়লে বাঁশের সাঁকোই পুরোপুরি ভেঙে ভেসে যায় ৷ এই পরিস্থিতিতে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে হয় বাসিন্দাদের ৷
বিশেষ করে অফিস যাত্রী, স্কুল ও কলেজের পড়ুয়া এবং রোগীদের রায়গঞ্জ হাসাপাতালে নিয়ে যেতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় নদীর ওপার অর্থাৎ, বিহারের দিকের গ্রামের বাসিন্দাদের ৷ বাংলার সীমানার কাছে অবস্থিত বিহারের বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজনও এ রাজ্যে আসেন অনেক কাজে ৷ তাঁদেরও সমস্যায় পড়তে হয় ৷ বিশেষ করে বর্ষাকালে নৌকা ছাড়া উপায় থাকে না গ্রামবাসীদের ৷ কৃষকদের বাজারে ফসল বিক্রি করতে যেতে হলেও, এই সাকোঁই ভরসা ৷ এই পরিস্থিতিতে স্থায়ী সেতুর দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা ৷
আরও পড়ুন: আজও দুই জেলার যোগাযোগে দামোদরে নড়বড়ে বাঁশের সেতুই ভরসা
এ নিয়ে নয়াটুলি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তাঁরা জ্ঞানত এই সমস্যা দেখে আসছেন ৷ দীর্ঘদিন ধরে নাগর নদীর উপর স্থায়ী বাঁধের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা ৷ সমস্যার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ফুলু খাতুন ৷ তিনি বলেন, ‘‘নাগর নদীর উপর দিয়ে পারাপারের সমস্যা দীর্ঘদিনের ৷ নদী পার করে যাতায়াতে চরম সমস্যায় পড়তে হয় বাসিন্দাদের ৷ কিন্তু, পঞ্চায়েতের পক্ষে সেতু নির্মাণ করা সম্ভব নয় ৷ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে নাগর নদীর উপর সেতু তৈরির আবেদন করা হয়েছে ৷ সেখান থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে ৷’’