রায়গঞ্জ, 17 অগস্ট: কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরের পর ইসলামপুরের কমলাগাঁও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ফের গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল ৷ আরও অভিযোগ, শাসকদলের পার্টি অফিসে বৈঠক চলাকালীন সেখানে ঢুকে পুলিশ গুলি চালায় ৷ সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভও ৷ এনিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই পঞ্চায়েতের ঢুলিগাঁও এলাকায় ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত প্রধান ৷ যদিও এনিয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কমলগাঁও সুজালি পঞ্চায়েত এলাকা ৷ ওই সংঘর্ষে ব্যাপক গোলাগুলি চলে ৷ 20 জনেরও বেশি আহত হয় ৷ ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ ৷ এদিন রাতে পুলিশ হানা দেয় ঢুলিগাঁও গ্রামে ৷ ওই গ্রামেই তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি ৷ রাতে পার্টি অফিসে সঞ্চালক কমিটি গঠন নিয়ে বৈঠক চলছিল ৷ সেখানে হাজির ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান নুরি বেগম, পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ-সহ সদস্যরাও ৷ বৈঠক চলাকালীনই পুলিশ নাকি সেখানে হানা দেয় ৷ অভিযোগ, কোনও কথা না বলেই এক পুলিশকর্মী গুলি চালিয়ে দেন ৷
প্রধান নুরি বেগমের দাবি, “আগামী 28 তারিখ পঞ্চায়েতে সঞ্চালক উপসমিতির মিটিং আছে ৷ তার জন্য পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ আমাদের পার্টি অফিসে এসেছিলেন ৷ আমরা 26 জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, তিনজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-সহ কয়েকজন কর্মী সেখানে ছিলাম ৷ তখনই 10 গাড়ি পুলিশ সেখানে চলে আসে ৷ কোনও কথা না বলেই পুলিশ সবাইকে মারতে শুরু করে ৷ গুলিও চালায় ৷ আমাদের লোকজনকে তুলে নিয়ে চলে গেল৷ আমাদের এখানে কোনও গোলমাল হয়নি ৷ কেন পুলিশ এখানে এসে আক্রমণ করল? এখানে আমাদের সঙ্গে সরকারি আধিকারিকও ছিলেন ৷ পুলিশ এখানে এসে ঠিক কাজ করেনি ৷ পুলিশের গুলিতে মঞ্জুর আলম নামে আমাদের এক কর্মী আহত হয়েছে ৷ পুলিশ প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারত ৷ পুলিশ প্রশাসনের এই কাজের জবাব চাই ৷ পুলিশ বলে কি নিজের হাতে আইন তুলে নেবে?”
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী এর আগে অনেক আশ্বাস দিয়েছিলেন, যাদবপুরকাণ্ডে মমতাকে কটাক্ষ নওশাদের
এদিকে মঙ্গলবারের ঘটনায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আবদুল হকের বক্তব্য, “পার্টি অফিসে মিটিং চলছিল ৷ বিডিও অফিস থেকে এগজিকিউটিভ বাবলুদাও এসেছিলেন ৷ আমি সব সদস্যদের ফোনে ডাকি ৷ তখনই পুলিশ আসে ৷ কোনও কথা না বলেই গুলি চালিয়ে দেয় ৷ পুলিশ প্রধানকে হুমকি দেয় ৷ তাঁকেও বন্দুক দেখায় ৷ তাঁকে এখান থেকে চলে যেতে বলে ৷ দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে একটা ঝামেলা হয়েছিল ৷ জেলা পরিষদের আসন নিয়ে সেই ঝামেলা হয়েছিল ৷ আমরা হামিদুল রহমানের গোষ্ঠী ৷ ওরা কানাইয়ালালের ৷ ওরা আমাদের প্রায় 90 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ৷ আমার নাম এক নম্বরে রেখেছে ৷ পুলিশ আমার বাড়িতে দু’বার রেইড করেছে ৷ আমি গোটা ঘটনাটি বিধায়কের নজরে আনব ৷”