রায়গঞ্জ , 2 মে : রায়গঞ্জ থানার এক পুলিশ অফিসার এবং চারজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে হোম কোয়ারানটিনে পাঠালেন জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকেরা । ওই পাঁচজন পুলিশকর্মী রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগেই কোরোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা হাসপাতালের চিকিৎসক , নার্স এবং অ্যাকাউন্টটেন্ট লালা রস পরীক্ষা করতে গিয়েছিল ৷ সে কারণেই বৃহত্তর স্বার্থে ওই পাঁচজনকে বর্তমানে হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে রায়গঞ্জ জেলার পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা । যদিও এই পাঁচজন পুলিশ কর্মীর মধ্যে কোনওরকমের কোরোনা ভাইরাসের উপসর্গ মেলেনি ।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলা সূত্রে জানা গেছে , তিনদিন ধরে পুলিশকর্মীদের লালা রস পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে । লকডাউনের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা । তাই কোনওভাবে তাঁরা সংক্রমিত কি না তা যাচাই করতেই এই ব্যবস্থা করেছে জেলা পুলিশ । অল্প অল্প করে পুলিশকর্মীদের লালা রস সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে । গতকাল রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক , নার্স এবং অ্যাকাউন্টটেন্ট যারা উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কোরোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে এসেছিলেন , তাঁদের লালা রস সংগ্রহ করা হয়েছিল । যেখানে এই লালা রস সংগ্রহ করার কাজ হয়েছিল পরবর্তীকালে সেখানেই জেলা পুলিশের নির্দেশ মেনে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক এবং সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁদের লালা রস দিতে গিয়েছিলেন । সেই কারণেই আজ তাঁদের হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার । যদিও এই কাজ শুধুমাত্র অন্যান্য পুলিশ কর্মী এবং সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি । ওই পুলিশ কর্মীদের কারও মধ্যেই কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও উপসর্গ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলা সুপার সুমিত কুমার বলেন , "পুলিশকর্মীরা কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করছে । সে কারণেই বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার তাঁদের যাতায়াত করতে হচ্ছে । এই কারণেই আমরা গত তিনদিন ধরে নিজেদের লালা রস সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার কাজ চালাচ্ছি । যাতে কোনওভাবেই পুলিশকর্মীরা সংক্রমিত না হন । রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের কয়েকজন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে এসেছিলেন ৷ তা জানতে পেরেই আমরা খোঁজখবর শুরু করি । ওই তিনজনের লালা রস সংগ্রহ করার পর আমাদের এক পুলিশ অফিসার এবং চারজন সিভিক ভলান্টিয়ার , সেখানে তাঁদের লালারস পরীক্ষার জন্যে দিতে গিয়েছিলেন ৷ তা জানতে পেরেই তাঁদের হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"