ETV Bharat / state

বাড়ির লোক থাকতে দেয়নি, রাস্তার পাশে ঠাঁই পরিযায়ী শ্রমিকের

author img

By

Published : Jun 3, 2020, 6:07 PM IST

রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজেশ সরকারকে হোম কোয়ারানটিনে থাকতে বলা হয় । কিন্তু, পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বাড়িতে থাকতে দেননি । সেকারণে রাস্তার পাশে আশ্রয় নিতে হয়েছে রাজেশবাবুকে ।

Migrant labour forced to stay on road after family rejected out of coronavirus panic
পরিবারের আপত্তিতে গুজরাত থেকে ফিরে রাস্তার ওপরে থাকছেন পরিযায়ী শ্রমিক

রায়গঞ্জ, 3 জুন : গুজরাত থেকে ফিরে নিজের বাড়িতে থাকতে পারছেন না এক পরিযায়ী শ্রমিক । বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে ত্রিপল টাঙিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই বানিয়েছেন তিনি । রায়গঞ্জের দেবীনগরের বাসিন্দা রাজেশ সরকার দু'দিন আগে বাড়ি ফেরেন । কিন্তু কোরোনা সংক্রমণের ভয়ে তাঁকে পরিবারের লোকজন বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না । এই অবস্থায় রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি ।

বাড়তি রোজগারের আশায় রায়গঞ্জের দেবীনগর থেকে গুজরাতে পাড়ি দিয়েছিলেন রাজেশ সরকার । সেখানে মোটরবাইক তৈরির একটি কারখানায় কাজ করতেন । লকডাউনে কারখানা বন্ধ হয়ে যায় । এরপর শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু হলে বাড়ির দিকে রওনা দেন রাজেশবাবু । দু'দিন আগে গুজরাত থেকে রায়গঞ্জ ফেরেন । প্রথমে রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান । সেখান থেকে তাঁঁকে হোম কোয়ারানটিনে থাকতে বলা হয় । কিন্তু পরিবারের লোকজন তাঁঁকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন ।

রাজেশবাবুকে হোম কোয়ারানটিনে রাখার জন্য তাঁঁর পরিবারকে বোঝান স্থানীয় কাউন্সিলর অভিজিৎ সাহা । পরিবারের লোক ও স্থানীয় বাসিন্দারা তারপরও আপত্তি জানান । এরপর কাউন্সিলর রাজেশবাবুকে একটি ত্রিপলের ব্যবস্থা করে দেন । বাড়ি থেকে কিছু দূরে রাস্তার পাশে সেই ত্রিপল টাঙিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি । পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা কখনও সখনও খাবার দিয়ে যাচ্ছেন তাঁকে । বাকি সময় অভুক্ত থাকতে হচ্ছে । এই অবস্থায় সরকারি সাহায্যের আশায় রয়েছেন তিনি ।

রায়গঞ্জ, 3 জুন : গুজরাত থেকে ফিরে নিজের বাড়িতে থাকতে পারছেন না এক পরিযায়ী শ্রমিক । বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে ত্রিপল টাঙিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই বানিয়েছেন তিনি । রায়গঞ্জের দেবীনগরের বাসিন্দা রাজেশ সরকার দু'দিন আগে বাড়ি ফেরেন । কিন্তু কোরোনা সংক্রমণের ভয়ে তাঁকে পরিবারের লোকজন বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না । এই অবস্থায় রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি ।

বাড়তি রোজগারের আশায় রায়গঞ্জের দেবীনগর থেকে গুজরাতে পাড়ি দিয়েছিলেন রাজেশ সরকার । সেখানে মোটরবাইক তৈরির একটি কারখানায় কাজ করতেন । লকডাউনে কারখানা বন্ধ হয়ে যায় । এরপর শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু হলে বাড়ির দিকে রওনা দেন রাজেশবাবু । দু'দিন আগে গুজরাত থেকে রায়গঞ্জ ফেরেন । প্রথমে রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান । সেখান থেকে তাঁঁকে হোম কোয়ারানটিনে থাকতে বলা হয় । কিন্তু পরিবারের লোকজন তাঁঁকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন ।

রাজেশবাবুকে হোম কোয়ারানটিনে রাখার জন্য তাঁঁর পরিবারকে বোঝান স্থানীয় কাউন্সিলর অভিজিৎ সাহা । পরিবারের লোক ও স্থানীয় বাসিন্দারা তারপরও আপত্তি জানান । এরপর কাউন্সিলর রাজেশবাবুকে একটি ত্রিপলের ব্যবস্থা করে দেন । বাড়ি থেকে কিছু দূরে রাস্তার পাশে সেই ত্রিপল টাঙিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি । পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা কখনও সখনও খাবার দিয়ে যাচ্ছেন তাঁকে । বাকি সময় অভুক্ত থাকতে হচ্ছে । এই অবস্থায় সরকারি সাহায্যের আশায় রয়েছেন তিনি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.