রায়গঞ্জ, 11 মে : রাজ্য সরকারের আংশিক লকডাউনের নির্দেশকে অমান্য করে খোলা রয়েছে হাটবাজার-দোকানপাট । রায়গঞ্জে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ৷ প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে মৃত্যু । তবুও অসচেতন মানুষ রাস্তায় নেমে বাজারহাট করতে মত্ত । নিজেদের সচেতন হয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আবেদন করছেন রায়গঞ্জ শহরের মানুষরা । পুলিশ প্রশাসন তৎপর হলেও আংশিক লকডাউন মানছেন না একশ্রেণির ব্যাবসায়ী ৷ রীতিমতো ভিড়ে ঠাসা বাজারে বেচা-কেনা চলছে ৷ রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে সকাল 10 টা থেকে বিকেল 3 টে পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার আবেদন করা হয়েছে ।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 13 হাজার পার করে গিয়েছে । মৃত্যু হয়েছে 117 জনের । রাজ্য প্রশাসন করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । সকাল 7 টা থেকে বেলা 10 টা পর্যন্ত এবং বিকেল 5 টা থেকে সন্ধ্যা 7 টা পর্যন্ত বাজারহাট, দোকানপাট খোলা রেখে বাকি সময় বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হলেও উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জের জনাকীর্ণ শহরে তা মানছেন না কেউই । নির্দিষ্ট সময়ের পরেও খোলা রাখা হচ্ছে হাটবাজার দোকানপাট । ভিড় দেখা যাচ্ছে রায়গঞ্জ শহরের আনাচে-কানাচে । এমনকি, অনেকেই মুখে মাস্কের ব্যবহারও করছেন না । ফলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা আরও তীব্র হচ্ছে রায়গঞ্জ শহরে ।
আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত শিল্পীর তুলির টানে সচেতনতার বার্তা
রায়গঞ্জ শহরের পৌর এলাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা । পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে আংশিক লকডাউন সফল করার প্রয়াস নিলেও কিছু অসচেতন মানুষের কারণে তা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে । এই অবস্থায় ব্যবসায়ীরা চাইছেন খাপছাড়া লকডাউন না করে সকাল 10 টা থেকে বিকেল 3 টে পর্যন্ত বাজার হাট, দোকানপাট খোলা রেখে তারপর সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হোক । সাধারণ মানুষের মতে, যেভাবে রায়গঞ্জ শহর তথা উত্তর দিনাজপুর জেলায় করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে তাতে নিজেদেরই সচেতন হয়ে সরকারের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত । বাজারের অনেক ব্যবসায়ীই বলছেন, কাঁচামাল অবিক্রিত থেকে যাওয়ার জন্য বেশি সময় ধরে খোলা রাখতে হচ্ছে । অনেকে আবার অজুহাত দেখাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য বাইরে বের হয়েছেন ।
রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কর্মকর্তা প্রবীর পোদ্দার বলেন, ‘‘করোনা মোকাবিলায় আমরা সর্বদা পুলিশ প্রশাসনের পাশেই আছি। ব্যবসায়ীদের হাটবাজার, দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধও করা হচ্ছে । তবে আমাদের আবেদন মালদা শহরের মতো আমাদের রায়গঞ্জ শহরেও সকাল 10 টা থেকে বিকেল 3 টে পর্যন্ত দোকানপাট খোলার অনুমতি দিক প্রশাসন ।’’