থাঞ্জাভুর, 20 নভেম্বর: স্কুলে তখন পুরোদমে ক্লাস চলছে ৷ সকলের চোখের সামনে হঠাৎ সরকারি স্কুলে ঢুকে শিক্ষিকাকে কোপানোর ঘটনা ঘটল ৷ তামিলনাড়ুর মল্লিপট্টিনামের একটি সরকারি স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে ৷ জানা গিয়েছে, 26 বছর বয়সি ওই শিক্ষিকার নাম রমণী। তিনি স্টাফরুমে বসেছিলেন ৷ হামলার পর সহকর্মীরা তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে পাট্টুকোট্টাই হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, পথেই শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মদন নামে ওই যুবক স্কুলের স্টাফরুমে প্রবেশ করে শিক্ষিকার ঘাড়ে ছুরি দিয়ে কোপ মারতে থাাকে ৷ এই ঘটনায় সেতুবাসাত্রম থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার নেপথ্যে আছে ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন ৷ পুলিশের দাবি, জেরায় মদন স্বীকার করেছে, সে শিক্ষিকা রমণীকে বিয়ে করতে চেয়েছিল ৷ ক'দিন আগে দুই পরিবারের মধ্যে এই নিয়ে কথাবার্তা হয় ৷ কিন্তু রমনী এই বিয়েতে 'না' করে দেন ৷ তিনি সাফ জানান, মদনকে বিয়ে করবেন না ৷ সেই রাগেই মদন এদিন রমণীর ঘাড়ে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, রমনী থাঞ্জাভুর জেলার মল্লিপট্টিনমের কাছে চিন্নামানাই এলাকার বাসিন্দা ৷ তিনি চার মাস আগে মল্লিপট্টিনম সরকারি উচ্চ-বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ৷ ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত তামিল পড়াতেন ৷
এদিকে, প্রকাশ্যে সরকারি স্কুলে শিক্ষিকাকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয় ৷ তামিলনাড়ুর স্কুলশিক্ষা মন্ত্রী আনবিল মহেশ পোয়ামোঝি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ৷ তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা একেবারেই মেনে নেওয়া হবে না ৷ আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে ৷ শোকাহত পরিবার এবং রমণীর সঙ্গে যাঁরা ওই স্কুলে শিক্ষকতা করেন, তাঁদের প্রতিও আমাদের সমবেদনা রইল ৷" মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন শিক্ষামন্ত্রী পোয়ামোঝিকে নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি যেন থাঞ্জাভুরে রমণীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার বার্তা দেন ৷