রায়গঞ্জ, 12 ডিসেম্বর : করোনা আবহে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের মানবিক রূপ লক্ষ্য করেছি আমরা। এরাজ্যের পুলিশ যে কতটা মানবিক, তা আবারও ফুটে উঠল রায়গঞ্জ ব্লকের মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ কসবা গ্রামে (Humanity form of policemen makes headline at Dakshin Kasba village in Raiganj)। অনাহারে অর্ধাহারে থাকা ৭৫ বছর বয়সের বৃদ্ধা সুখদা দাসের পেট চলছে এক পুলিশ কনস্টেবল-সহ দুই পুলিশ অফিসারের দৌলতে। পুলিশের এই মানবিকতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত থেকেও ওই বৃদ্ধাকে দেওয়া হচ্ছে বার্ধক্যভাতা ও অন্যান্য সাহায্য।
রায়গঞ্জ ব্লকের মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ কসবা গ্রামের বৃদ্ধা অসহায় প্রতিবন্ধী সুখদা দাসের মাথা গোঁজার জন্য ঘর থাকলেও নেই অন্ন সংস্থানের কোনও ব্যবস্থা। একমাত্র ছেলে গণেশ কোনও এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে দিন গুজরান করেন। ফলে সহায় সম্বলহীন বৃদ্ধা সুখদাদেবীর অন্নের সংস্থান করতে এগিয়ে এলেন পুলিশ কর্মীরা। রাজ্য পুলিশের চতুর্থ আরক্ষা বাহিনীর কসবা ব্যারাকের সাব ইন্সপেক্টর শম্ভু রায়, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর অজয় পাল এবং কনস্টেবল রামপ্রসাদ রায়, এই তিনজন মিলে বিগত ছ'মাস ধরে অন্ন জোগাচ্ছেন বৃদ্ধাকে।
আরও পড়ুন : Train accident : রেল লাইনে ভিডিও গেমে বুঁদ, ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল 4 কিশোরের
সাব ইন্সপেক্টর শম্ভু রায় জানান, কসবা পুলিশ ব্যারাক থেকে বস্ত্র বিতরণ করতে এসে দেখেছিলাম বৃদ্ধার করুন দুর্দশা। তা দেখেই আমরা প্রতিদিন দুপুরবেলা সুখদাদেবীকে খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আমরা চাই প্রশাসন থেকেও বৃদ্ধাকে সাহায্য সহযোগিতা করা হোক। স্থানীয় মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কমল সরকার জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত থেকে ওই বৃদ্ধার বার্ধক্যভাতা করে দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনমতো সহযোগিতা করা হচ্ছে। কসবা ব্যারাকের চতুর্থ আরক্ষা বাহিনীর পুলিশ কর্মীদের এই মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কমল সরকার।