রায়গঞ্জ, ২৯ মার্চ : দিনভর প্রচারের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হেমতাবাদে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করতে এসে কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন BJP প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরি। প্রায় ঘণ্টা চারেক পর প্রার্থী আসার কারণে ক্ষোভ ছড়ায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে প্রার্থী এবং দলের জেলা নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর হেমতাবাদ বিধানসভার নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন দেবশ্রী। বিক্ষোভের বিষয়টি স্বীকার করে নিলেও ঘটনাটিকে দলীয় কর্মীদের অত্যাধিক প্রত্যাশা হিসেবে দেখছেন দেবশ্রী।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল সকাল থেকে হেমতাবাদ বিধানসভার বিভিন্ন ব্লকে প্রচার করেন দেবশ্রী। দুপুর তিনটে নাগাদ হেমতাবাদে নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করতে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল। হেমতাবাদের বকুল ভবন এলাকায় দলীয় কর্মী সমর্থকরা অপেক্ষা করছিলেন দেবশ্রীর জন্য। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা সন্ধে সাড়ে সাতটা পেরিয়ে গেলেও দেবশ্রী না আসায় ক্ষোভ ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত রাত আটটা নাগাদ প্রার্থী হেমতাবাদ পৌঁছাতেই ক্ষোভ উগরে দেন কর্মী সমর্থকদের একাংশ। তাঁদের সামলাতে বেগ পেতে হয় প্রার্থী এবং জেলা নেতৃত্বকে।
দলীয় সূত্রে খবর হেমতাবাদ বিধানসভা এলাকার ভাটোল সহ একাধিক এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে সকাল থেকে ব্যস্ত ছিলেন দেবশ্রী। BJP নেতাদের দাবি ওইসব এলাকার বিভিন্ন গ্রামে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ BJP
প্রার্থীকে উৎসাহ দিয়েছে। তাদের নানা আবদার সামলাতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়। তাই হেমতাবাদ পৌঁছতে দেরি হয়।
হেমতাবাদে দলীয় কার্যালয়ে না গিয়ে সদ্য কংগ্রেস থেকে BJP-তে আসা এক নেতার বাড়িতে দেবশ্রী আগে গিয়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। কোনও রাখঢাক না করে সেই নেতার নাম করে কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
দেবশ্রী বলেন, "আমি দেরিতে এসেছি সেই কারণে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কর্মীরা আমার কাছ থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা করে। আজ প্রায় ২২ থেকে ২৩টি বুথের মানুষের সঙ্গে দেখা করতে হয়েছে। প্রতিদিনই নির্দিষ্ট কর্মসূচি থেকে অনেক বেশি কর্মসূচি অনেক বেশি কাজ আমায় করতে হয়। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে BJP-কে সমর্থন জানাচ্ছে। তাদের আবদার মেটাতে কিছুটা দেরি হয়েছে তা আমি মানছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মানুষ নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার আশায় BJP-কে সমর্থন জানাচ্ছে। বিক্ষোভ দেখালেও তাদের সমর্থন খুবই আশাব্যঞ্জক।"