ETV Bharat / state

কিশোরী ধর্ষণে 7 বছরের কারাদণ্ড, খুশি নন সরকারি আইনজীবী - seven years of rigorous imprisonment

এই মামলার সাজা ঘোষণায় খুশি নন সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু । তিনি বলেন, "13 বছরের ওই কিশোরীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে । এতে যাবজ্জীবন হওয়া উচিত ছিল অভিযুক্তের । "

সাজা ঘোষণায় খুশি নন সরকারি আইনজীবী
author img

By

Published : Jun 19, 2019, 11:22 PM IST

বারাসত, 19 জুন : কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় 7 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা পেল যুবক । যুবকের নাম চন্দন সরকার । গতকাল দুপুরে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় । আজ বারাসত জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (সেকেন্ড কোর্ট) দুলাল চন্দ্র কর POCSO আইনে তার সাজা ঘোষণা করে । সাজার পাশাপাশি চন্দনের 1 লাখ টাকা জরিমানাও করা হয় । জরিমানা অনাদায়ে আরও 1 বছরের অতিরিক্ত সাজার নির্দেশ দেন বিচারক ।

তবে এই মামলার সাজা ঘোষণায় মোটেই খুশি নন সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু । তিনি বলেন, "13 বছরের ওই কিশোরীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে । এতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া উচিত ছিল অভিযুক্তের । এই রায় মানতে পারছি না । সাজা বেশি হলে ভালো হত ।" এই রায় নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী ।

তিনি আরও জানান, 2015 সালের 10 নভেম্বর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে । ওই দিন জগদ্দলের নবপল্লি এলাকায় পাড়ার কালিপুজোতে বাজি ফাটাচ্ছিল কিশোরী । সেই সময় প্রতিবেশী চন্দন সরকার তাকে নিজের ঘরে তুলে নিয়ে যায় । অভিযোগ, সেখানেই নৃশংসভাবে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে । এরপর নাবালিকার রক্তপাত হলে তার পরিবারের লোক বুঝতে পারে । তারপর সে তার পরিবারকে সবকিছু খুলে বলে । তার পরিবার জগদ্দল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে । পরের দিনই চন্দনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । এরপর থেকে সে জেল হেপাজতেই ছিল ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই মামলায় মোট 12 জন সাক্ষী দিয়েছেন । কিশোরীকে সাড়ে 4 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

বারাসত, 19 জুন : কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় 7 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা পেল যুবক । যুবকের নাম চন্দন সরকার । গতকাল দুপুরে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় । আজ বারাসত জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (সেকেন্ড কোর্ট) দুলাল চন্দ্র কর POCSO আইনে তার সাজা ঘোষণা করে । সাজার পাশাপাশি চন্দনের 1 লাখ টাকা জরিমানাও করা হয় । জরিমানা অনাদায়ে আরও 1 বছরের অতিরিক্ত সাজার নির্দেশ দেন বিচারক ।

তবে এই মামলার সাজা ঘোষণায় মোটেই খুশি নন সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু । তিনি বলেন, "13 বছরের ওই কিশোরীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে । এতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া উচিত ছিল অভিযুক্তের । এই রায় মানতে পারছি না । সাজা বেশি হলে ভালো হত ।" এই রায় নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী ।

তিনি আরও জানান, 2015 সালের 10 নভেম্বর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে । ওই দিন জগদ্দলের নবপল্লি এলাকায় পাড়ার কালিপুজোতে বাজি ফাটাচ্ছিল কিশোরী । সেই সময় প্রতিবেশী চন্দন সরকার তাকে নিজের ঘরে তুলে নিয়ে যায় । অভিযোগ, সেখানেই নৃশংসভাবে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে । এরপর নাবালিকার রক্তপাত হলে তার পরিবারের লোক বুঝতে পারে । তারপর সে তার পরিবারকে সবকিছু খুলে বলে । তার পরিবার জগদ্দল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে । পরের দিনই চন্দনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । এরপর থেকে সে জেল হেপাজতেই ছিল ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই মামলায় মোট 12 জন সাক্ষী দিয়েছেন । কিশোরীকে সাড়ে 4 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

অনলাইন পরিকাঠামোর অভাবে ঘোজাডাঙা সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ, কয়েকশো পণ্যবাহী ট্রাক সীমান্তে দাঁড়িয়ে, ক্ষতি প্রায় কোটি টাকা বসিরহাট ভারত বাংলাদেশ ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে মঙ্গলবার সকাল থেকে সীমান্ত বাণিজ্য আমদানি রপ্তানি বন্ধ করেছে ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ চলতি মাসের ১৩ই মে হঠাৎই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে অনলাইন পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত করতে হবে ব্যবসায়ীদের। এধরনের বাণিজ‍্যের প্রতিবাদে সকাল থেকে সীমান্ত ট্রাক বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলতে থাকে। অবশেষে বাণিজ্য বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে শতাধিক ব্যবসায়ী। এর ফলে সীমান্ত বাণিজ্য আমদানি রপ্তানি বন্ধ হয়ে পড়েছে। দাঁড়িয়ে আছে পাঁচ হাজারেরও পণ্যবাহী ট্রাক। একদিকে তাপপ্রবাহ অন্যদিকে কাঁচামাল, ফল, কমলালেবু, পেঁয়াজ, সবজি ও মাছ যত সময় যাচ্ছে পচন শুরু হবে। ক্ষতির পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। ঘোজাডাঙ্গা কাস্টমস আধিকারিক পি.টি. ভুটিয়া জানিয়েছেন যে ভাবে তাদের আছে কেন্দ্র সরকার থেকে নির্দেশিকা এসেছে তারা সেই ভাবে অনলাইন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাদের এ ব্যাপারে আর কিছু বলার নেই। সমস্যায় পড়েছে আমদানি-রপ্তানি সংস্থার ব্যবসায়ীরা। ঘোজাডাঙ্গা আমদানি ও রপ্তানি সংস্থার সম্পাদক মিহির ঘোষ বলেন, যেভাবে অনলাইন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তাতে সময় লাগবে, যার জন্য আমদানি ও রপ্তানি প্রক্রিয়া থমকে যাবে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শ্রমিকদের। এমনকি এর সঙ্গে যুক্ত যেসব ছোট-বড় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.