দেগঙ্গা,5 জুলাই: এবার পঞ্চায়েত ভোটের বলি স্কুল পড়ুয়া ৷ মঙ্গলবার রাতে দেগঙ্গায় বাবার সামনেই বোমার আঘাতে নিহত নাবালক ৷ মৃত স্কুল পড়ুয়া ইমরান হাসানের বয়স মাত্র 17 ৷ ইমরানকে নিশানা করেই বোমা হামলা হয় বলে অভিযোগ ৷ কাঠগড়ায় আইএসএফ ও সিপিএম। দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুর অঞ্চলে মঙ্গলবার বিকেল থেকে প্রচার ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ রাত থেকে শুরু হয় বোমাবাজি ৷ নাবালকের মৃত্যুর পর থেকে দেগঙ্গা জুড়ে রাজনৈতিক হিংসা আরও তীব্র আকার নিয়েছে ৷ তৃণমূল ও আইএসএফের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ঘটনায় পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক৷
মূলত, শ্বেতপুর অঞ্চলের গাঙগাটি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান ৷ বাবা ইমাদুল হক তৃণমূল সমর্থক ৷ মঙ্গলবার বিকেলে বাবার সঙ্গেই তৃণমূলরে প্রচারে যায় ইমরান ৷ প্রচার শেষে বাাবার সঙ্গে গ্রামে ফেরার পথেই বোমাবাজি হয় ৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ইমরান ও তার বাবাকে লক্ষ্য করেই আইএসএফ সমর্থকরা বাড়ির ছাদ থেকে এলোপাথাড়ি বোমা ছুড়তে থাকে ৷ শুধু বোমা নয়, গুলি পর্যন্ত চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের ৷ হামলায় মারাত্মক জখম হয় ইমরান ৷ তাকে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, শেষপর্যন্ত বাঁচানো যায়নি ৷
নাবালকের মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি গাঙগাটি গ্রামে ৷ বেছে বেছে আইএসএফ সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল বলে অভিযোগ ৷ খরের গুদাম, ঘর-বাড়িতে অগ্নি সংযোগ থেকে বোমাবাজি লাগাতার ঘটে চলেছে ৷ এখনও পর্যন্ত নাবালকের মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ গোটা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম অবস্থায় পুলিশ ৷ অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও থমথমে গাঙগাটি৷ পুলিশ পিকেট বসেছে গ্রামে ৷
অন্যদিকে,এই ঘটনায় নিন্দা করে আইএসএফ এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন,"ভোটের মুখে রক্তের হোলি খেলা শুরু করেছে এই দুই রাজনৈতিক দল। পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে। এই ধরনের নোংরা রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না"।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অধীরের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে
কয়েকদিন আগেই তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয় বাসন্তী ৷ তার আগেও একাধিক মৃত্যু হয়ে গেছে বঙ্গে ৷ তবে, হতবাক করার মতো বিষয়, ভোটের হিংসায় রেহাই পেল না স্কুল পড়ুয়াও ৷ পঞ্চায়েত ভোটের বাকি আর তিন দিন ৷ তার আগে নাবালকের মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে ৷ রাজ্যপালের নিশানায় থাকা রাজ্য নির্বাচন কমিশন নতুন করেই প্রশ্নের মুখে ৷