ব্যারাকপুর, ২৭ ফেব্রুয়ারি : ২০১১ সালে ব্যবসায়ী খুনে ধৃত দুই রিকশা চালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন ব্যারাকপুরের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক সেশন জজ অভিজিৎ দে। পাশাপাশি ৮০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও চার বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।
২০১১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাতে বাগুইআটির অর্জুনপুর এলাকায় বাবা-মাকে পুজোর নতুন জামা কাপড় কেনার টাকা দিতে যাচ্ছিলেন মুদি ব্যবসায়ী পিন্টু দাস(২৯)। সেইসময় বসাকবাড়ির কাছে একটি রিকশা স্ট্যান্ডের সামনে দু'জন তাঁর পথ আটকায়। তাঁর কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা সহ হাতের চারটি সোনার আংটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তখন ওই ছিনতাইকারীদের বাধা দিতে গেলে পিন্টু দাসকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তারপর মাটিতে ফেলে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। পরেরদিন সকালে বসাকবাড়ির পাশে একটি ঝোপের ভেতর থেকে পিন্টু দাসের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে দমদম থানার পুলিশ। পিন্টু দাসের ভাই সেন্টু দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে দমদম থানার পুলিশ। ঘটনায় ওই রিকশা স্ট্যান্ডের দুই রিকশাচালক বাবলু সিং ও শেখ সিকান্দর নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা ও পিন্টু দাসের দুটি সোনার আংটি উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। অবশেষে গতকাল দু'জনকে দোষীসাব্যস্ত করেন বিচারক। আজ তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৮০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৪ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।
অভিযুক্তদের আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, "২০১১ সালে এক ব্যক্তি খুন হন। জমি সংক্রান্ত ঝামেলার জন্য বাড়ির লোকজন খুন করে তাঁকে। কিন্তু এই ঘটনায় দু'জন গরিব রিকশা চালককে ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস উচ্চ আদালতে আবেদন করলে এরা দুজনেই নির্দোষ প্রমাণিত হবে।"