ETV Bharat / state

মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব, দেগঙ্গায় বন্ধ হল দু'টি পাইকারি বাজার - corona

একাধিকবার বারণ সত্ত্বেও জমায়েত করে চলছিল বাজার-হাট । তাই সংক্রমণের আশঙ্কায় দেগঙ্গার দুটি পাইকারি সবজি-হাট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিল প্রশাসন ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 25, 2020, 2:44 PM IST

দেগঙ্গা, 25 এপ্রিল : সংক্রমণের আশঙ্কায় দেগঙ্গার দু'টি পাইকারি সবজি বাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিল প্রশাসন । অভিযোগ, লকডাউনে দেগঙ্গার বাজার ও আকুঞ্জির হাটে কিছুতেই সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছিল না । প্রশাসনের সতর্কতার পরও ওই দু'টি হাটে বহু চাষি ভিড় করে তাঁদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করছিলেন । আর গা ঘেঁষাঘেষি করেই সেই সবজি কেনাবেচা চলছিল । একাধিকবার সচেতন করা হলেও কথা কানে তোলেননি কেউই । শেষে বাজার দু'টি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হল দেগঙ্গা ব্লক প্রশাসন ।

প্রশাসনের তরফে দু'টি হাটই বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে , মানুষজন যাতে সেখানে প্রবেশ করতে না পারেন । এদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দেগঙ্গার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কয়েক হাজার চাষি । কারণ, এই বাজারের উপর দেগঙ্গা ব্লকের অন্তত 10 হাজার চাষি নির্ভরশীল । স্বাভাবিকভাবে তা বন্ধ হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের । তাই চাষিরা চাইছেন, প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে অবিলম্বে ওই দুটি হাট খোলার অনুমতি দেওয়া হোক । যদিও, প্রশাসনের সাফ কথা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হলে তবেই হাট খোলার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে ।



স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেগঙ্গার বেডাচাঁপা 1 নম্বর পঞ্চায়েতের অধীনে এই আকুঞ্জি হাট । প্রায় 30 বিঘা জমি নিয়ে বিস্তৃত । সপ্তাহে পাঁচদিন হাট বসে এখানে । অপরদিকে, দেগঙ্গা বাজার-হাটও কয়েক বিঘা জমিতে বিস্তৃত । সেখানে সপ্তাহে 2 দিন হাট বসে । লকডাউনের মধ্যেও ওই দুটি হাটই রমরমিয়ে চলছিল । মানা হচ্ছিল না লকডাউনের কোনও নিয়মবিধি । বাজায় থাকছিল না সামাজিক দূরত্বও । এই বিষয়ে, বাজার কমিটিকে বারবার সতর্ক ও সচেতন করাও হয় দেগঙ্গা ব্লক প্রশাসনের তরফে । কিন্তু, তারপরও পরিস্থিতির কোনও বদল না হওয়ায় সম্প্রতি ওই দুটি হাটই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সেইমতো গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিল করে দেওয়া হয় হাট দুটিকে । স্থানীয় চাষি শেখ জালালউদ্দিন ও শেখ আব্দুল হামিদ জানিয়েছেন, উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যে পরিমাণ পটল, আলু, আম সহ মরশুমি সবজির চাষ হয়, তা জেলার অন্য কোথাও হয় না । চাষিরা এই সমস্ত উৎপাদিত সবজি ওই দুটি হাটে গিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন । কিন্তু এখন হাট বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা । তাই প্রশাসনের কাছে আর্জি , প্রয়োজনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক । তারপর চালু করা হোক হাট দুটি ।

প্রসঙ্গত, কোরোনা আক্রান্তের নিরিখে ইতিমধ্যেই উত্তর 24 পরগনাকে হটস্পট অর্থাৎ রোড জো়ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । কিন্তু তারপরও লকডাউন উপেক্ষা করেই বিভিন্ন বাজার-হাট ও মুদিখানার দোকানে ভিড় করে চলছিল খাদ্যসামগ্রী কেনাবেচা । বারবার সচেতন ও সতর্ক করা হচ্ছিল প্রশাসনের তরফে । কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় সংক্রমণ রুখতে জেলার বেশকিছু হাট ও বাজারও ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এবার একই অভিযোগ ওঠায় দেগঙ্গার দুটি পাইকারি হাট বন্ধ করে দেওয়া হল প্রশাসনের তরফে।

দেগঙ্গা, 25 এপ্রিল : সংক্রমণের আশঙ্কায় দেগঙ্গার দু'টি পাইকারি সবজি বাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিল প্রশাসন । অভিযোগ, লকডাউনে দেগঙ্গার বাজার ও আকুঞ্জির হাটে কিছুতেই সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছিল না । প্রশাসনের সতর্কতার পরও ওই দু'টি হাটে বহু চাষি ভিড় করে তাঁদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করছিলেন । আর গা ঘেঁষাঘেষি করেই সেই সবজি কেনাবেচা চলছিল । একাধিকবার সচেতন করা হলেও কথা কানে তোলেননি কেউই । শেষে বাজার দু'টি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হল দেগঙ্গা ব্লক প্রশাসন ।

প্রশাসনের তরফে দু'টি হাটই বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে , মানুষজন যাতে সেখানে প্রবেশ করতে না পারেন । এদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দেগঙ্গার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কয়েক হাজার চাষি । কারণ, এই বাজারের উপর দেগঙ্গা ব্লকের অন্তত 10 হাজার চাষি নির্ভরশীল । স্বাভাবিকভাবে তা বন্ধ হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের । তাই চাষিরা চাইছেন, প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে অবিলম্বে ওই দুটি হাট খোলার অনুমতি দেওয়া হোক । যদিও, প্রশাসনের সাফ কথা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হলে তবেই হাট খোলার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে ।



স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেগঙ্গার বেডাচাঁপা 1 নম্বর পঞ্চায়েতের অধীনে এই আকুঞ্জি হাট । প্রায় 30 বিঘা জমি নিয়ে বিস্তৃত । সপ্তাহে পাঁচদিন হাট বসে এখানে । অপরদিকে, দেগঙ্গা বাজার-হাটও কয়েক বিঘা জমিতে বিস্তৃত । সেখানে সপ্তাহে 2 দিন হাট বসে । লকডাউনের মধ্যেও ওই দুটি হাটই রমরমিয়ে চলছিল । মানা হচ্ছিল না লকডাউনের কোনও নিয়মবিধি । বাজায় থাকছিল না সামাজিক দূরত্বও । এই বিষয়ে, বাজার কমিটিকে বারবার সতর্ক ও সচেতন করাও হয় দেগঙ্গা ব্লক প্রশাসনের তরফে । কিন্তু, তারপরও পরিস্থিতির কোনও বদল না হওয়ায় সম্প্রতি ওই দুটি হাটই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সেইমতো গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিল করে দেওয়া হয় হাট দুটিকে । স্থানীয় চাষি শেখ জালালউদ্দিন ও শেখ আব্দুল হামিদ জানিয়েছেন, উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যে পরিমাণ পটল, আলু, আম সহ মরশুমি সবজির চাষ হয়, তা জেলার অন্য কোথাও হয় না । চাষিরা এই সমস্ত উৎপাদিত সবজি ওই দুটি হাটে গিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন । কিন্তু এখন হাট বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা । তাই প্রশাসনের কাছে আর্জি , প্রয়োজনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক । তারপর চালু করা হোক হাট দুটি ।

প্রসঙ্গত, কোরোনা আক্রান্তের নিরিখে ইতিমধ্যেই উত্তর 24 পরগনাকে হটস্পট অর্থাৎ রোড জো়ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । কিন্তু তারপরও লকডাউন উপেক্ষা করেই বিভিন্ন বাজার-হাট ও মুদিখানার দোকানে ভিড় করে চলছিল খাদ্যসামগ্রী কেনাবেচা । বারবার সচেতন ও সতর্ক করা হচ্ছিল প্রশাসনের তরফে । কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় সংক্রমণ রুখতে জেলার বেশকিছু হাট ও বাজারও ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এবার একই অভিযোগ ওঠায় দেগঙ্গার দুটি পাইকারি হাট বন্ধ করে দেওয়া হল প্রশাসনের তরফে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.