ETV Bharat / state

বিধাননগরের পরবর্তী মেয়র সুজিত ? - sabyasachi dutta

রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত, আসলে সুজিতকে মেয়র করে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে তৃণমূল । প্রথমত, সুজিতের সঙ্গে সব্যসাচীর সম্পর্ক যে কতটা 'সুমধুর' তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । তাই, সুজিতকে মেয়র করলে বার্তা যাবে সব্যসাচীর কাছে । দ্বিতীয়ত, নিউটাউন-রাজারহাটে সব্যসাচীর দাপট যথেষ্টই । সুজিতের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে সব্যসাচীর হাত থেকে ওই এলাকাগুলোও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হবে ।

সুজিত
author img

By

Published : Jul 20, 2019, 5:06 AM IST

বিধাননগর, 20 জুলাই : মেয়র পদ থেকে ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন সব্যসাচী দত্ত । বিধাননগরের পরবর্তী মেয়র তাহলে কে ? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে । উঠে আসছে বিভিন্ন নাম । তালিকায় আছেন চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় । তবে, তাঁরা কি সব্যসাচীর সমগোত্রীয় ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, না । তাহলে উপায় ? তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধাননগরের মেয়র পদে পাল্লা ভারী সুজিত বসুর ।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত, আসলে সুজিতকে মেয়র করে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে তৃণমূল । প্রথমত, সুজিতের সঙ্গে সব্যসাচীর সম্পর্ক যে কতটা 'সুমধুর' তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । তাই, সুজিতকে মেয়র করলে বার্তা যাবে সব্যসাচীর কাছে । দ্বিতীয়ত, নিউটাউন-রাজারহাটে সব্যসাচীর দাপট যথেষ্টই । সুজিতের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে সব্যসাচীর হাত থেকে ওই এলাকাগুলোও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হবে ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা সব্যসাচীর

সুজিত যে মেয়র হচ্ছেনই তা তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি । তবে, তোড়জোড় যথেষ্ট । এমন কী, বিধাননগরের ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদনও করে ফেলেছেন । সুজিত বসু বিধাননগরের বিধায়ক । কিন্তু, তিনি দক্ষিণ দমদম পৌরসভা (শ্রীভূমি) এলাকার ভোটার । সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সেখানকার ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি । এদিকে, সুজিতের সল্টলেকে একটি অফিস আছে । সেই ঠিকানা দেখিয়ে তিনি বিধাননগরের ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন জানিয়েছেন । গতকাল SDO দপ্তরে সেই আবেদনপত্র জমা করেন এক মেয়র পারিষদ । এই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার আবেদনও জানানো হয়েছে ।

এ বিষয়ে মহকুমাশাসক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, "একাধিক আবেদনপত্র জমা পড়েছে । বিশেষভাবে কারোর নাম মনে পড়ছে না ।" তিনি এও জানান, কেউ এলাকার বাসিন্দা না হয়েও মেয়র হতে পারেন । তবে, তাঁকে 6 মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে জিতে আসতে হবে ।

এদিকে, সুজিতের আগমনের বার্তা পেয়েই চনমনে কাউন্সিলররা । ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ও বেশ খুশি । তিনি বলেন, "মেয়র হিসেবে নতুন মুখ দেখতে পেলে আশা করছি উন্নয়নের কাজে বাধা থাকবে না । আমরাও নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে পারব ।"

বিধাননগর, 20 জুলাই : মেয়র পদ থেকে ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন সব্যসাচী দত্ত । বিধাননগরের পরবর্তী মেয়র তাহলে কে ? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে । উঠে আসছে বিভিন্ন নাম । তালিকায় আছেন চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় । তবে, তাঁরা কি সব্যসাচীর সমগোত্রীয় ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, না । তাহলে উপায় ? তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধাননগরের মেয়র পদে পাল্লা ভারী সুজিত বসুর ।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত, আসলে সুজিতকে মেয়র করে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে তৃণমূল । প্রথমত, সুজিতের সঙ্গে সব্যসাচীর সম্পর্ক যে কতটা 'সুমধুর' তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । তাই, সুজিতকে মেয়র করলে বার্তা যাবে সব্যসাচীর কাছে । দ্বিতীয়ত, নিউটাউন-রাজারহাটে সব্যসাচীর দাপট যথেষ্টই । সুজিতের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে সব্যসাচীর হাত থেকে ওই এলাকাগুলোও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হবে ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা সব্যসাচীর

সুজিত যে মেয়র হচ্ছেনই তা তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি । তবে, তোড়জোড় যথেষ্ট । এমন কী, বিধাননগরের ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদনও করে ফেলেছেন । সুজিত বসু বিধাননগরের বিধায়ক । কিন্তু, তিনি দক্ষিণ দমদম পৌরসভা (শ্রীভূমি) এলাকার ভোটার । সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সেখানকার ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি । এদিকে, সুজিতের সল্টলেকে একটি অফিস আছে । সেই ঠিকানা দেখিয়ে তিনি বিধাননগরের ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন জানিয়েছেন । গতকাল SDO দপ্তরে সেই আবেদনপত্র জমা করেন এক মেয়র পারিষদ । এই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার আবেদনও জানানো হয়েছে ।

এ বিষয়ে মহকুমাশাসক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, "একাধিক আবেদনপত্র জমা পড়েছে । বিশেষভাবে কারোর নাম মনে পড়ছে না ।" তিনি এও জানান, কেউ এলাকার বাসিন্দা না হয়েও মেয়র হতে পারেন । তবে, তাঁকে 6 মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে জিতে আসতে হবে ।

এদিকে, সুজিতের আগমনের বার্তা পেয়েই চনমনে কাউন্সিলররা । ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ও বেশ খুশি । তিনি বলেন, "মেয়র হিসেবে নতুন মুখ দেখতে পেলে আশা করছি উন্নয়নের কাজে বাধা থাকবে না । আমরাও নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে পারব ।"

Intro:


বিধাননগর, ১৯ জুলাই: বিধাননগরের পরবর্তী মেয়র কে? চেয়ারপারসন কৃষ্ণা চক্রবর্তী ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের বদলে নতুন নাম উঠে আসছে তৃণমূল সূত্রে। তৃণমূল সূত্রে খবর পরবর্তী মেয়র হতে পারেন বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু। জানা গিয়েছে সল্টলেকের ভোটার হতে চেয়ে বিধাননগর সাব ডিভিশনাল অফিসে দরখাস্ত করেছেন সুজিত বসু। মনে করা হচ্ছে মেয়র হওয়ার পথ প্রশস্ত করে রাখছেন বিধাননগরের বিধায়ক।

সব্যসাচী দত্ত মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করতেই পরবর্তী মেয়রের নাম নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বিধাননগর পুরনিগমে। তারই মধ্যে শুক্রবার দুপুরে বিধাননগরের বাসিন্দা হিসাবে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে আবেদন পত্র জমা করার জন্য লোক পাঠান সুজিত বোস। শ্রীভূমি এলাকার বাসিন্দা সুজিত বোসকে বিধাননগরের বাসিন্দা হিসাবে প্রমাণ করতে অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছিলেন। বিধাননগর পুরনিগমের কাউন্সিলর এবং কর্মীদের একাংশের দাবি আগামী মেয়র হিসাবে দল থেকে সুজিত বোসের নাম ভাবনাচিন্তার রয়েছে। কিন্তু বিধাননগর পুরনিগম এলাকার বাসিন্দা না হওয়ায় সেই প্রক্রিয়ায় বাধা তৈরি হয়েছিল। সেই কারণেই বাধা সরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীতে সুজিত বোস অধিকারিকভাবে বিধাননগরের ডিএ ব্লকের বাসিন্দা হিসাবে দেখানো গেলে তাঁর মেয়র হতে কোনও বাধাই থাকবে না। সেক্ষেত্রে কলকাতার মেয়র বদলের মত ছয় মাসের মধ্যেই বিধাননগর পুরনিগমের কোনও একটি ওয়ার্ড থেকে তাঁকে জয়লাভ করে আসতে হবে।

Body:এদিন বিধাননগরের এক এম আই সি নিজেই ওই আবেদনপত্র জমা দেন বিধাননগর এসডিও দপ্তরে। জানা গিয়েছে এই প্রক্রিয়াকে দ্রুত শেষ করার জন্যও আবেদন করা হয়েছে। যাতে দ্রুত বিধাননগর পুরনিগমের নতুন মেয়রের নাম ঘোষনা করা যায়। এপ্রসঙ্গে মহকুমা শাসক সৈকত চক্রবর্তীকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, "হাজার খানেক আবেদন এসেছে বিধাননগরের ভোটার হওয়ার জন্য। আলাদা করে কারো নাম মনে পড়ছে না। তবে কেউ এলাকার আবাসিক না হয়েও মেয়র হতে পারেন। তাকে ৬ মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে জিতে আসযে হবে"।


Conclusion:বিধাননগর পুরনিগম এলাকাতে উন্নয়নের কাজ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, "মেয়র হিসাবে নতুন মুখ আমরা দেখতে পেলে আশা করছি উন্নয়নের কাজে আর কোনও বাধা থাকবে না। আমরাও নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে পারব।" অন্যদিকে সব্যসাচীর ফেলে যাওয়া মেয়রের ঘরের দরজা এদিন বন্ধ ছিল। এমনকি মেয়রের ঘরের বাইরের ফলকে যে নীল আলো দিয়ে মেয়রের নাম লেখা থাকে সেটাও বন্ধ করে সব্যসাচীর নাম মুছে ফেলা হয়েছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.