ব্যারাকপুর, 17 নভেম্বর: নৈহাটিতে 'বড়মা'র মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ৷ তাঁর পুজো দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ বাদ গেল না মহুয়া মৈত্রর প্রসঙ্গও ৷ বৃহস্পতিবার উত্তর 24 পরগনার হালিশহরের হাজিনগরে ছটপুজো উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু ৷
সেখানে মঞ্চে কারও নাম না উল্লেখ করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, "একটি চোর এখানে মাতৃ প্রতিমা দর্শন করতে এসেছিল ৷ চোরেরও মাতৃ প্রতিমা দর্শন করার অধিকার রয়েছে ৷ তা নিয়ে কিছু বলার নেই ৷ কিন্তু সেই চোর আসার আগেই যাঁরা চোরকে ধরবেন, তাঁরা মা-কে প্রণাম করে গিয়েছেন ৷ মা-ও তাঁদের আশীর্বাদ করেছেন ৷ দায়িত্বশীল সংস্থার চোরকে ধরার অধিকার রয়েছে ৷" এখানেই রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের অনুমান, কারও নাম না করলেও অভিষেকের সফরকেই কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু ।
মঞ্চ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিজেপি বিধায়ক ৷ শুভেন্দু বলেন, "এই সরকার চোরের সরকার ৷ নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে গোটা শিক্ষা দফতর এখন জেলে ৷ এরা গরিবের চাল-গম চুরি করতেও ছাড়ে না ৷ এই দুর্নীতিবাজ সরকারকে বাংলা থেকে উৎখাত করতেই হবে ৷ এছাড়া আর কোনও উপায় নেই ।"
শুভেন্দু বলেন, "বাঙালি-অবাঙালি ভেদাভেদ করতে চায় তৃণমূল ৷ এই ফাঁদে পা দেবেন না ৷ কোনও বাঙালি-অবাঙালি বিভাজন করা চলবে না ৷ আমাদের পরিচয়, আমরা ভারতীয় ও হিন্দু ৷ ছটপুজোর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে ৷ বাঙালিরাও এখন অংশগ্রহণ করেন এই পুজোয় ৷ তাই পশ্চিমবঙ্গের মসনদে যিনি বসে আছেন, তাঁর উদ্দেশ্যে বলব, বাঙালি-অবাঙালির মধ্যে কোনও বিভাজন তৈরি করা যাবে না ৷ এই সরকার হিন্দু বিরোধী ৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই সরকারকে উৎখাত করতেই হবে ৷"
অন্য একটি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "সামনেই অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্ধোধন ৷ সেদিন ঘরের মা-বোনেরা যেন শঙ্খ বাজিয়ে এর সঙ্গে যুক্ত হন ৷ প্রত্যেক মন্দির থেকে ভাণ্ডারার প্রসাদ বিতরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি ।" অন্যদিকে, এদিন ফের কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷
আরও পড়ুন: