বারাসত, 18 এপ্রিল : "দেশে যতজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তার মধ্যে নিকৃষ্টতম প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদি।" আজ বারাসত আদালতে একটি মামলার শুনানিতে এসে একথা বলেন CPI(M) নেতা সুশান্ত ঘোষ। নিজের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢোকার অনুমতি পাওয়ার জন্য বারাসত স্পেশাল কোর্টের দ্বারস্থ হন সুশান্ত। আজ তার শুনানি ছিল। কিন্তু সরকারি আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় সেই আবেদনের শুনানি হয়নি। এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।
একাধিক মামলা আছে সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে। এই কারণে আদালতের নির্দেশে তাঁর পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢোকাও নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আজ শুনানি না হওয়ায় তিনি বলেন, "যেহেতু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় যাওয়া আমার নিষিদ্ধ, নির্বাচনের দিনে ভোট দিতে গেলেও আমায় আদালতের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে। 2014- র নির্বাচনে অনুমতি নিয়ে ভোট দিতে গেছিলাম। আজও সেই আবেদনের শুনানির জন্য এসেছিলাম। কিন্তু এখানে সরকারি PP নেই। নতুন PP নিয়োগ করা হয়নি। আমাদের দেশের সাংবিধানিক অধিকার ভোট দেওয়া। তাই মাননীয় বিচারক বলেছেন, কাগজপত্রগুলো দেখে ভোট দেওয়ার আদেশ দিয়ে দেবেন।"
লোকসভা নির্বাচনে হিংসা ও সাংবাদিকদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে সুশান্ত ঘোষ বলেন, "গোটা সমাজটাই এখন জাহান্নামে চলে গেছে। সাংবাদিকরাও সমাজের বাইরে নয়। সবার ওপরই আঘাত নেমে আসছে। আমরা সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। কেউ রেহাই পাবে না। যেভাবে রাজ্য পুলিশের ওপর মানুষ রিঅ্যাক্ট করছে, তাতে রাজ্য সরকার যদি এইসব নিয়ে চিন্তাভাবনা না করে তাহলে এলাকায় এলাকায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে। আজ হোক, কাল হোক সেটা গৃহযুদ্ধের দিকে যাবে।" কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠিক মতো ব্যবহার করছে না রাজ্য সরকার। যার ফলে তারা থাকার পরেও বিভিন্ন জায়গায় গন্ডগোল হচ্ছে। যেখানে দরকার নেই, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। আবার যেখানে দরকার, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে না।"
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ও BJP প্রার্থী ভারতী ঘোষকে আক্রমণ করে সুশান্ত ঘোষ বলেন, "উনি (মমতা ব্যানার্জি) যাকে মা বলে ডাকতেন, তিনি এখন ওঁর সৎ মা হয়েছেন। তবে, তিনি ও উনি (মমতা ব্যানার্জি) যা অপরাধ করেছেন,তা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কখনই ক্ষমা করবে না। উনি(ভারতী ঘোষ) এখন জার্সি বদলে মাকে ছেড়ে দিয়ে বাবাকে ধরেছেন। সেখানেও মানুষ তাঁকে ক্ষমা করবে না।"