বীজপুর (উত্তর 24 পরগনা), 18 এপ্রিল: মুকুল রায়ের দিল্লি যাত্রা ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য ৷ যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায়ও ৷ মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন যে বাবার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারছেন না ৷ মুকুল রায়ের ফোন বন্ধ ৷ এমনকী, তাঁর সঙ্গে যে দু’জন রয়েছেন, সেই রাজু মণ্ডল ও ভগীরথ মাহাতোরও সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না ৷ সেই কারণেই তিনি চিন্তিত ৷
তবে এর মধ্যেও তিনি রাজনৈতিক চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন ৷ তাঁর আশঙ্কা, যেহেতু তাঁর বাবা মুকুল রায় মানসিক ভাবে স্থিতিশীল নন, তাই তাঁকে ভুল বুঝিয়ে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে ৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেও এই কাজ করা হতে পারে বলেও তাঁর আশঙ্কা ৷ সেই কারণে তিনি চান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুকুল রায়কে কলকাতায় ফিরিয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তি করতে ৷ যাতে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো যায় ৷
প্রসঙ্গত, মুকুল রায়কে নিয়ে যাবতীয় রহস্যের সূত্রপাত সোমবার সন্ধ্যায় তৈরি হয় ৷ প্রাথমিকভাবে খবর ছড়ায় যে মুকুলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ৷ তার পর জানা যায় যে তিনি দিল্লিতে ৷ দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁর উপস্থিতির একটি ভিডিয়ো সামনে আসে ৷ যদিও শুভ্রাংশু দাবি করেছেন যে তিনি বাবার দিল্লি যাত্রা ঠেকাতে সন্ধ্যায় চেষ্টা করেছিলেন ৷
এদিন তিনি জানান, গতকাল তিনি যখন খবর পান, তখনই তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়ে এয়ারপোর্ট অথরিটি ও বিমানবন্দর থানায় মুকুল রায়কে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানান । কিন্তু এয়ারপোর্ট অথরিটি ও সিআইএসএফের কাছ থেকে তিনি কোনও সহযোগিতা পাননি ৷ ফ্লাইট টেকঅফের প্রোটোকল দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে অসহযোগিতা করা হয় ।
স্বাভাবিকভাবে এই পরিস্থিতি তিনি কী করবেন, সেই নিয়ে চিন্তিত ৷ বাবার শারীরিক সুস্থতা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন তিনি ৷ তাঁর বক্তব্য, তাঁর বাবার যা শারীরিক অবস্থা, তাতে তাঁকে (মুকুল) অন্য দল নিলেও কোনও লাভ হবে না ৷
আরও পড়ুন: দো ফুল, এক মালি! শিবির বদলের জল্পনা উসকে রাজধানীতে রায়সাহেব