বারাসত, 20: দুর্যোগের মধ্যেই বেতনের দাবিতে কোরোনা হাসপাতালের মেন গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশ। এর জেরে দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত হল হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। এমনকী, গেটে তালা ঝোলানো থাকায় কোরোনা আক্রান্ত রোগী নিয়ে দুটি অ্যাম্বুলেন্সকে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হল হাসপাতালের বাইরে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ দুপুরে বারাসতের কদম্বগাছির বেসরকারি কোরোনা চিকিৎসাকেন্দ্রে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হলেও দ্রুত বেতন মেটানো না হলে ফের আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন হাসপাতালের নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশ।
উত্তর 24 পরগনা জেলায় কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য যে 3টি হাসপাতাল রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কদম্বগাছির হাসপাতালটি। বারাসতে টাকি রোডের পাশেই অবস্থিত বেসরকারি এই কোরোনা নিরাময় কেন্দ্রটি। বারাসত ছাড়াও জেলার বিভিন্ন মহকুমা থেকে কোরোনা আক্রান্ত রোগীরা এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। স্বভাবতই এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে বেতনের দাবিতে নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই শুরু হয় বুধবারের বিক্ষোভ। বেতনের দাবিতে হাসপাতালের মেন গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশ। বিক্ষোভ চলে প্রায় দুঘণ্টা ধরে। যার জেরে ব্যহত হয় চিকিৎসা পরিষেবা। হাসপাতালের গেটের বাইরে কোরোনা আক্রান্ত রোগী নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকে দুটি অ্যাম্বুলেন্স। পরে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কথা বলেন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে। তারপর বিক্ষোভ উঠে গেলেও দ্রুত বকেয়া বেতন মেটানো না হলে ফের আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন হাসপাতালে নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশ।
ওই নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা অভিযোগ, "হাসপাতালের কিছু নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীর বেতন মেটানো হলেও অধিকাংশই গত দুমাসের বেতন এখনও পায়নি। কোরোনা আক্রান্তদের সেবায় আমরা দিনরাত কাজ করে চলেছি। অথচ, বেতন দেওয়ার সময় একপেশে মনোভাব। কাউকে বেতন দেওয়া হবে, আবার কাউকে দেওয়া হবে না। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই কর্তৃপক্ষের এই মনোভাবের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।"
এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে না চাইলেও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।"